admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-০৮ ১৯:৪৬:৩৮ || আপডেট: ২০১৭-০৯-০৮ ১৯:৪৬:৩৮
প্রতীকি ছবি,
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, অনলাইন সংবাদঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রথমে ধর্ষণ করে তা মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছয়-সাতবার ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ওই মেয়ে ও মেয়ের বাবা সখীপুর থানায় হাজির হয়ে সখীপুরের একটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে লিটন আহাম্মেদকে (৪৩) আসামি করে একটি মামলা করেন। মেয়েটি বর্তমানে প্রায় পাঁচ মাসের অন্ত:সত্ত্বা।
সখীপুর থানা পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি লিটন আহম্মেদকে ধরতে মাঠে নেমেছে। লিটন আহম্মেদের বাড়ি উপজেলার বড়চওনা গ্রামে। তার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা ও কালিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান।
মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, এ বছরের ফেব্রয়ারির আনুমানিক ২৮ তারিখ বিকেলে মেয়েটি পাশের বাড়ি লিটনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে লিটন কৌশলে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় সে মেয়েটির ছবি ও ভিডিও ধারন করে। এ ঘটনা প্রকাশ হলে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ও বাবা-মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় লিটন।
মেয়েটি জানায়, লিটন ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কয়েক মাসে আরও ছয়-সাতবার তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে সে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
মেয়েটির বাবা বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে বিষয়টি এলাকায় প্রকাশ হলে লিটন আমাদের পরিবারকে মামলা না করার হুমকি-ধমকি দেয়। মেয়ের নামে জমি লিখে দিতে চায়।
লিটনের এলাকার একাধিক সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধি বলেন, লিটন আগে থেকে খারাপ প্রকৃতির। নারী সংক্রান্ত অনেক কুকর্ম তার রয়েছে। তার বিচার হওয়া দরকার।
লিটনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সে ফোন কেটে দেয়।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, মামলাটি রেকর্ড করার প্রস্তুতি চলছে। আসামি লিটন আহম্মেদকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। শনিবার মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে ও বিচারিক হাকিমের কাছে গিয়ে জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।সুত্রঃ আমাদের সময় ।