কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলোর বিরোধ মিটে যেতে পারে, শুক্রবার প্রকাশিত এমন একটি খবরকে টুইটারে নিজের শেষ পোস্টে স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি।
ওই খবরে বলা হয়েছিল, জুনে শুরু হওয়া বিরোধ মেটানোর পথ নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
এর প্রতিক্রিয়ায় টুইটার পোস্টে আবদাহ বলেন, ‘তাদের জনগণের মঙ্গলের জন্য আল্লাহ তাদের পরস্পরের হৃদয়কে মিলিয়ে দিন।’ কিন্তু ‘সত্য ঘটনা বিকৃতির’ অভিযোগ তুলে সৌদি আরব কাতারের সঙ্গে সংলাপ স্থগিত করলে দুই পক্ষের বিরোধ মেটানোর আশা নিভে যায়।
কাতার ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে এমন অভিযোগ এনে দেশটির সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর। অবশ্য কাতার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আবদাহকে নিয়ে গত সপ্তাহে সৌদি কর্তৃপক্ষ দুইজন ধর্মীয় নেতা ও অপর ১৮ জনকে আটক করেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে টুইটারে ।
প্রকাশিত খবরগুলোতে বলা হয়েছে, টুইটারে ২২ লাখ অনুসারী থাকা আরেকজন প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতা আওয়াদ আল কারনিকেও আটক করেছে সৌদি পুলিশ।
আবদাহের মতো কারনিও কাতারের সঙ্গে আরব দেশগুলোর বিরোধ মিটিয়ে ফেলার পক্ষে কথা বলেছিলেন।
এই দুই ধর্মীয় নেতাকে গ্রেফতারের বিষয়ে মন্তব্যে বা বিজ্ঞপ্তি কোন কিছুই প্রকাশ করেনি কতৃপক্ষ ।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে রিয়াদে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ আলেম শাঈখ সালমান আল-আবদাহর স্ত্রী-পুত্র ।