, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

জেদ্দায় বাংলাদেশী স্কুলের চেয়ারম্যান ও ভাইস প্রিন্সিপাল গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২০১৭-১০-২৪ ০৯:১৫:৫০ || আপডেট: ২০১৭-১০-২৪ ০৯:১৫:৫০

Spread the love

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, নিউজ ডেস্কঃ 
বাংলাদেশ ইন্টারন্যশনাল স্কুল জেদ্দা শাখার চেয়ারম্যান কাজী নিয়ামুল বশির ও ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি পুলিশ। স্থানীয় সময় সোমবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কাজী নিয়ামুল বশির ও ভাইস-চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ এবং ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুমসহ আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে তিন মিলিয়ন রিয়ালের দুর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে তাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে সৌদি পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে দুই জনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা এখনও পলাতক। 

প্রায় আট বছর ধরে ম্যনেজিং কমিটির দুর্নীতি, অনিয়ম ও অদক্ষ শিক্ষকের অনভিজ্ঞতার কারণে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যশনাল স্কুল ইংলিশ শাখা তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলতে বসেছে এবং শিক্ষার মান দিনের পর দিন নষ্ট হয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম দৈন্যদশা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ এনেছেন অনেক অভিভাবক। সূত্র মতে, বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নিয়ামুল বশির, ভাইস-চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দীন মাহমুদ, সদস্য মাহবুবুল্লাহসহ স্কুলের চেয়ারম্যানের সাথে হাত মিলিয়ে স্কুলের উন্নয়নমূলক কোনো কার্যক্রম বা ভবন নির্মাণে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিভিন্ন অজুহাতে স্কুল থেকে টাকা তুলে বিভিন্ন নামে বেনামে লুটপাট করে আসছে। সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত করে অডিট রিপোর্ট দেয়া এবং লাইসেন্স নবায়ন করার সময় বেধে দিলেও সেদিকে তারা লক্ষ দেয়নি বলে জানান অভিভাবক কমিটির নির্বাহী সদস্য মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল। এদিকে ফান্ডের অভাবে সঠিকভাবে স্কুল পরিচালনা করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু কয়েক মাস আগে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ৭০ হাজার রিয়াল করে ভাগ পেয়েছেন বলে লোকমুখে শুনতে পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নিয়ামুল বশির ও সদস্যরা এই স্কুলের অদক্ষতা ও ফায়দা লুটার জন্যই তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্পৃক্ত হয়েছেন এমনটাই মনে করছেন অনেকে। স্কুলের অভিভাবক কমিটির সভাপতি কাসেম মজুমদার জানান, বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে স্কুল গাডিয়ান ফোরাম আগের জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এ কে এম শহিদুল করিম সাহেবের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হইনি। 

কনসাল জেনারেল তদন্ত করে অডিট রিপোর্ট পেশ করার কথা থাকলেও মান্যবর কনসাল সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়াই দেশে চলে যেতে হয়। তিনি বলেন, বর্তমান কমিটি দায়িত্ব শেষ হলেও নতুন কমিটি দেয়ার কোনো নাম গন্ধ নেই। এ কমিটি বছরের আইজিসিএসই ও এ লেভেল পরীক্ষায় বন্দরের মধ্যে নতুন স্কুলগুলো যেখানে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে, সেখানে অত্র স্কুল নামমাত্র ফলাফল করেছে বলে জানা গেছে। অতি সম্প্রতি স্কুলের প্রিন্সিপাল ড. আব্দুল বাকিকে লাঞ্ছিত করে কর্তৃক থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। জানা গেছে আব্দুল বাকী ম্যানেজিং কমিটির দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা বললে এবং তাদের সহযোগীতায় অপারগতা জানায়।

 অত্র স্কুল কমিটি বাকীর নামে ছাত্রীকে মিথ্যা যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্ত করার অপবাদ দিয়ে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। বিষয়টি স্থানীয় ও প্রবাসীদের মুখে মুখে হওয়াই কমিটি ব্রিটিশ প্রিন্সিপাল নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে গ্রেপ্তার হয় চেয়ারম্যান ও ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুম। অভিভাবক কমিটির নির্বাহী সদস্য ক্যাপ্টেন বাহার বলেন, ‘স্কুলের প্রিন্সিপাল না থাকায় সেই সুযোগে স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুম দুর্নীতি অনিয়ম চলে আসছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমছে এবং শিক্ষার মানে চরম হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ভাইস প্রিন্সিপাল নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভাইস প্রিন্সিপাল শিক্ষকের কক্ষে বসে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে আলাপচারিতায় মশগুল থাকেন এবং শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাস নিচ্ছে কিনা সে ধরনের কোনো তদারকি করেন না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।’ 

স্কুলেটি যে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলো, সে উদ্দেশ্যে আজ ঘুষখোর ম্যনেজিং কমিটি ও অদক্ষ শিক্ষকের অনভিজ্ঞতার কারণে ভূলুণ্ঠিত হতে বসেছে। তাই অত্র অদক্ষ ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দিয়ে অচিরেই নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ, নিবেদিত প্রাণ ও দক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিয়ে অত্র স্কুলের শিক্ষার মান উন্নয়ন করার দাবি সকলের।
বাংলাদেশ ইন্টারন্যশনাল স্কুল জেদ্দা শাখার চেয়ারম্যান কাজী নিয়ামুল বশির ও ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি পুলিশ।
স্থানীয় সময় সোমবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কাজী নিয়ামুল বশির ও ভাইস-চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ এবং ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুমসহ আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে তিন মিলিয়ন রিয়ালের দুর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে তাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে সৌদি পুলিশ।

অভিযোগের ভিত্তিতে দুই জনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা এখনও পলাতক। প্রায় আট বছর ধরে ম্যনেজিং কমিটির দুর্নীতি, অনিয়ম ও অদক্ষ শিক্ষকের অনভিজ্ঞতার কারণে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যশনাল স্কুল ইংলিশ শাখা তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলতে বসেছে এবং শিক্ষার মান দিনের পর দিন নষ্ট হয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম দৈন্যদশা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ এনেছেন অনেক অভিভাবক।
সূত্র মতে, বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নিয়ামুল বশির, ভাইস-চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দীন মাহমুদ, সদস্য মাহবুবুল্লাহসহ স্কুলের চেয়ারম্যানের সাথে হাত মিলিয়ে স্কুলের উন্নয়নমূলক কোনো কার্যক্রম বা ভবন নির্মাণে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিভিন্ন অজুহাতে স্কুল থেকে টাকা তুলে বিভিন্ন নামে বেনামে লুটপাট করে আসছে। সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত করে অডিট রিপোর্ট দেয়া এবং লাইসেন্স নবায়ন করার সময় বেধে দিলেও সেদিকে তারা লক্ষ দেয়নি বলে জানান অভিভাবক কমিটির নির্বাহী সদস্য মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল।
এদিকে ফান্ডের অভাবে সঠিকভাবে স্কুল পরিচালনা করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

কিন্তু কয়েক মাস আগে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ৭০ হাজার রিয়াল করে ভাগ পেয়েছেন বলে লোকমুখে শুনতে পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নিয়ামুল বশির ও সদস্যরা এই স্কুলের অদক্ষতা ও ফায়দা লুটার জন্যই তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্পৃক্ত হয়েছেন এমনটাই মনে করছেন অনেকে। স্কুলের অভিভাবক কমিটির সভাপতি কাসেম মজুমদার জানান, বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে স্কুল গাডিয়ান ফোরাম আগের জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এ কে এম শহিদুল করিম সাহেবের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হইনি। কনসাল জেনারেল তদন্ত করে অডিট রিপোর্ট পেশ করার কথা থাকলেও মান্যবর কনসাল সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়াই দেশে চলে যেতে হয়।
তিনি বলেন, বর্তমান কমিটি দায়িত্ব শেষ হলেও নতুন কমিটি দেয়ার কোনো নাম গন্ধ নেই। এ কমিটি বছরের আইজিসিএসই ও এ লেভেল পরীক্ষায় বন্দরের মধ্যে নতুন স্কুলগুলো যেখানে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে, সেখানে অত্র স্কুল নামমাত্র ফলাফল করেছে বলে জানা গেছে। অতি সম্প্রতি স্কুলের প্রিন্সিপাল ড. আব্দুল বাকিকে লাঞ্ছিত করে কর্তৃক থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। জানা গেছে আব্দুল বাকী ম্যানেজিং কমিটির দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা বললে এবং তাদের সহযোগীতায় অপারগতা জানায়।
অত্র স্কুল কমিটি বাকীর নামে ছাত্রীকে মিথ্যা যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্ত করার অপবাদ দিয়ে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। বিষয়টি স্থানীয় ও প্রবাসীদের মুখে মুখে হওয়াই কমিটি ব্রিটিশ প্রিন্সিপাল নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে গ্রেপ্তার হয় চেয়ারম্যান ও ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুম। অভিভাবক কমিটির নির্বাহী সদস্য ক্যাপ্টেন বাহার বলেন, ‘স্কুলের প্রিন্সিপাল না থাকায় সেই সুযোগে স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুম দুর্নীতি অনিয়ম চলে আসছে।
এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমছে এবং শিক্ষার মানে চরম হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ভাইস প্রিন্সিপাল নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভাইস প্রিন্সিপাল শিক্ষকের কক্ষে বসে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে আলাপচারিতায় মশগুল থাকেন এবং শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাস নিচ্ছে কিনা সে ধরনের কোনো তদারকি করেন না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।’ স্কুলেটি যে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলো, সে উদ্দেশ্যে আজ ঘুষখোর ম্যনেজিং কমিটি ও অদক্ষ শিক্ষকের অনভিজ্ঞতার কারণে ভূলুণ্ঠিত হতে বসেছে।
তাই অত্র অদক্ষ ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দিয়ে অচিরেই নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ, নিবেদিত প্রাণ ও দক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিয়ে অত্র স্কুলের শিক্ষার মান উন্নয়ন করার দাবি সকলের।

বাংলাদেশ ইন্টারন্যশনাল স্কুল জেদ্দা শাখার চেয়ারম্যান কাজী নিয়ামুল বশির ও ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি পুলিশ।

স্থানীয় সময় সোমবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কাজী নিয়ামুল বশির ও ভাইস-চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ এবং ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুমসহ আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে তিন মিলিয়ন রিয়ালের দুর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে তাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে সৌদি পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে দুই জনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা এখনও পলাতক। প্রায় আট বছর ধরে ম্যনেজিং কমিটির দুর্নীতি, অনিয়ম ও অদক্ষ শিক্ষকের অনভিজ্ঞতার কারণে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যশনাল স্কুল ইংলিশ শাখা তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলতে বসেছে এবং শিক্ষার মান দিনের পর দিন নষ্ট হয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম দৈন্যদশা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ এনেছেন অনেক অভিভাবক।

সূত্র মতে, বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নিয়ামুল বশির, ভাইস-চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দীন মাহমুদ, সদস্য মাহবুবুল্লাহসহ স্কুলের চেয়ারম্যানের সাথে হাত মিলিয়ে স্কুলের উন্নয়নমূলক কোনো কার্যক্রম বা ভবন নির্মাণে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিভিন্ন অজুহাতে স্কুল থেকে টাকা তুলে বিভিন্ন নামে বেনামে লুটপাট করে আসছে। সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত করে অডিট রিপোর্ট দেয়া এবং লাইসেন্স নবায়ন করার সময় বেধে দিলেও সেদিকে তারা লক্ষ দেয়নি বলে জানান অভিভাবক কমিটির নির্বাহী সদস্য মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল।

এদিকে ফান্ডের অভাবে সঠিকভাবে স্কুল পরিচালনা করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু কয়েক মাস আগে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ৭০ হাজার রিয়াল করে ভাগ পেয়েছেন বলে লোকমুখে শুনতে পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নিয়ামুল বশির ও সদস্যরা এই স্কুলের অদক্ষতা ও ফায়দা লুটার জন্যই তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্পৃক্ত হয়েছেন এমনটাই মনে করছেন অনেকে। স্কুলের অভিভাবক কমিটির সভাপতি কাসেম মজুমদার জানান, বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে স্কুল গাডিয়ান ফোরাম আগের জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এ কে এম শহিদুল করিম সাহেবের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হইনি। কনসাল জেনারেল তদন্ত করে অডিট রিপোর্ট পেশ করার কথা থাকলেও মান্যবর কনসাল সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়াই দেশে চলে যেতে হয়।

তিনি বলেন, বর্তমান কমিটি দায়িত্ব শেষ হলেও নতুন কমিটি দেয়ার কোনো নাম গন্ধ নেই। এ কমিটি বছরের আইজিসিএসই ও এ লেভেল পরীক্ষায় বন্দরের মধ্যে নতুন স্কুলগুলো যেখানে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে, সেখানে অত্র স্কুল নামমাত্র ফলাফল করেছে বলে জানা গেছে। অতি সম্প্রতি স্কুলের প্রিন্সিপাল ড. আব্দুল বাকিকে লাঞ্ছিত করে কর্তৃক থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। জানা গেছে আব্দুল বাকী ম্যানেজিং কমিটির দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা বললে এবং তাদের সহযোগীতায় অপারগতা জানায়।

অত্র স্কুল কমিটি বাকীর নামে ছাত্রীকে মিথ্যা যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্ত করার অপবাদ দিয়ে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। বিষয়টি স্থানীয় ও প্রবাসীদের মুখে মুখে হওয়াই কমিটি ব্রিটিশ প্রিন্সিপাল নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে গ্রেপ্তার হয় চেয়ারম্যান ও ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুম। অভিভাবক কমিটির নির্বাহী সদস্য ক্যাপ্টেন বাহার বলেন, ‘স্কুলের প্রিন্সিপাল না থাকায় সেই সুযোগে স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুম দুর্নীতি অনিয়ম চলে আসছে।

এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমছে এবং শিক্ষার মানে চরম হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ভাইস প্রিন্সিপাল নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভাইস প্রিন্সিপাল শিক্ষকের কক্ষে বসে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে আলাপচারিতায় মশগুল থাকেন এবং শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাস নিচ্ছে কিনা সে ধরনের কোনো তদারকি করেন না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।’ স্কুলেটি যে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলো, সে উদ্দেশ্যে আজ ঘুষখোর ম্যনেজিং কমিটি ও অদক্ষ শিক্ষকের অনভিজ্ঞতার কারণে ভূলুণ্ঠিত হতে বসেছে।

তাই অত্র অদক্ষ ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দিয়ে অচিরেই নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ, নিবেদিত প্রাণ ও দক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিয়ে অত্র স্কুলের শিক্ষার মান উন্নয়ন করার দাবি সকলের।

Logo-orginal