admin
প্রকাশ: ২০১৭-১০-২১ ০৮:৩০:২৬ || আপডেট: ২০১৭-১০-২১ ০৮:৩৪:৪২
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, চট্টগ্রামঃ জেলার জোরালগঞ্জে ( মিরেরসরাই) ‘পরকিয়ার’ জেরে প্রাক্তন স্বামীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডিভোর্সপ্রাপ্ত স্ত্রী, শ্যালিকা ও প্রেমিক মিলে ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের জোরারগঞ্জ থানাধীন মাঈন উদ্দিন পেট্রোল পাম্পের পশ্চিম পাশে মকবুল আলী মাঝির বাড়ির সামনে থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওমর ফারুক হিঙ্গুলী ইউনিয়নের মেহেদীনগর গ্রামের সুজাউল হকের পুত্র। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওমর ফারুকের সাবেক স্ত্রী জেসমিন সুলতান সোনিয়া, শ্যালিকা আবিদা সুলতানা ও স্ত্রীর প্রেমিক নুরুল আবছার রুবেলকে আটক করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানায় নিহতের ছোট ভাই ইব্রাহীম বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
নিহত ওমর ফারুকের মা হোসনে আরা জানান, প্রায় ৫ বছর আগে তার ছেলের সাথে ফেনীর জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের নাঙ্গল মোরা গ্রামের গোলাম রব্বারি মেয়ে জেসমিন সুলতানার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার পুত্রবধূ জেসমিন সুলতানা সোনিয়া পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তাদের সংসারে বিভিন্ন সময় কলহ লেগে থাকতো। গত বছরের জুলাই তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এসময় জেসমিন সুলতানা তার পরিবার নিয়ে জোরারগঞ্জ থানাধীন চিনকির আস্তানার উত্তর সোনাপাহাড় এলাকায় কবির সওদাগর বাড়িতে ভাড়া থাকতো। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার প্রাক্তন পুত্রবধূ জেসমিন সুলতানা ফোনে ওমর ফারুককে ফল ও মিষ্টি নিয়ে তাদের বাসায় ছেলেকে দেখতে যেতে বলে। তিনি ওমর ফারুককে যেতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু সে শুনেনি। ফারুক বৌয়ের কথা বিশ্বাস করে তাদের বাসায় যায়। শুক্রবার সকালে তার ছেলে লাশ উদ্ধার করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। তিনি অভিযোগ করেন তার সাবেক পুত্রবধূ ও তার প্রেমিক মিলে ওমর ফারুককে খুন করেছে।
নিহতের ছোট ভাই ইব্রাহীম জানায়, এর আগেও তার ভাইকে ফোন করে নিয়ে গিয়ে সাবেক ভাবী, শ্বশুর, ও শ্যালিকা মিলে নির্যাতন করেছে। তিনি তার ভাইয়ের খুনিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল কবির জানান, শুক্রবার সকালে জোরারগঞ্জ থানাধীন মাঈন উদ্দিন পেট্রোল পাম্পের পাশে একটি বাড়ি সামনে থেকে ওমর ফারুকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওমর ফারুকের সাবেক স্ত্রী জেসমিন আক্তার, শ্যালিকা আবিদা সুলতানা ও প্রেমিক রুবেলকে আটক করে। আটককৃতরা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সুত্রঃ সুপ্রভাত।