admin
প্রকাশ: ২০১৭-১০-২১ ১২:৫২:৫২ || আপডেট: ২০১৭-১০-২১ ১২:৫২:৫২
ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ পলিসির মূল স্তম্ভ হলো বাংলাদেশ। ভারত মহাসাগরে নিজের এজেন্ডা সম্প্রসারণের চেষ্টা চালাচ্ছে চীন। এর প্রেক্ষিতে সন্ত্রাস বিরোধী ও আঞ্চলিক সংযুক্তির ক্ষেত্রে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে ভারতীয় কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ও দেশ (এলিমেন্ট) হলো বাংলাদেশ। তাই সোমবার ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তার দু’দিনের এ সফরে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে বড় ধরনের অর্থায়নের পরিকল্পনা করছে ভারত। নয়া দিল্লির অর্থায়নে ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
নয়া দিল্লিতে এ নিয়ে প্রতিবেদন লিখেছেন সাংবাদিক দীপাঞ্জন রয় চৌধুরী। তিনি লিখেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার প্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতির অধীনে আঞ্চলিক ফ্রন্টলাইন অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশ। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে তাই ঢাকা সফরে যাচ্ছেন ভারতের শীর্ষ স্থানীয় দ্বিতীয় মন্ত্রী হিসেবে সুষমা। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ওই সফরের সময় তিনি ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
ভারতের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা পাওয়া দেশ হলো বাংলাদেশ। ২০১০ সাল থেকে তারা মোট ৮০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা পেয়েছে। ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়, বিবিআইএন, বিমসটেক সহ আঞ্চলিক গ্রুপিংয়ের ক্ষেত্রে ঢাকা শুধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাই রাখছে এমন নয়। তারা ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ পলিসিরও মূল পিলার বা স্তম্ভ। সফরের সময় অরুণ জেটলি বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে সফলতার জন্য কানেকটিভিটি বা সংযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি বলেছেনস, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন সবচেয়ে উত্ম পর্যায়ে আছে। বাকি দেশগুলোর জন্য এটা একটি অনুকরণীয় মডেল।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সুষমা স্বরাজ এমন এক সময়ে ঢাকা সফরে যাচ্ছেন যখন মিয়ানমারের রাখাইনে নৃশংসতার শিকার হয়ে পালিয়ে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে। সঙ্কট সমাধানে ঢাকার কাছে ভারতের মানবিক সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুটি আলোচনায় আসবে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এটা বোধগর্ম যে, সীমান্ত পাড় হয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ যাতে বন্ধ হয় এমন পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করা হবে সুষমাকে।
এ ছাড়া ২০১৫ সালের জুনে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় এবং ২০১৭ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তা বাস্তবায়নের অগ্রগতি কতটুকু তা রিভিউ করবে ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট কমিশন। এতে সভাপতিত্ব করবেন সুষমা স্বরাজ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশে রাশিয়ার সমর্থনে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করভে ভারত। উৎসঃ মানবজমিন,