admin
প্রকাশ: ২০১৭-১০-২৪ ১১:৫১:৫৬ || আপডেট: ২০১৭-১০-২৪ ১১:৫১:৫৬
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, সোশ্যাল ডেস্কঃ নিজের ছেলের খুনিকে চোখ বেঁধে দাঁড় করানো হয়েছে ফাঁসির বেদিতে, গলায় লাগানো হয়েছে ফাঁসির দড়ি। বাকি শুধু নিহতের পরিবারের কাউকে গিয়ে তাঁর পায়ের নিচ থেকে চেয়ারটা সরিয়ে দিয়ে ফাঁসি কার্যকর করা। ঠিক সেই মুহুর্তে এগিয়ে আসলেন নিহতের মা-বাবা।
দ্রুত গিয়ে খুনিকে চড় মেরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা, আর বাবা খুলে দিলেন ফাঁসির দড়ি। এক মা এভাবেই বাঁচালেন তাঁর নিজের ছেলের খুনিকে। এই মা কে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন আরেক মা ও। এক মা কাঁদলেন ছেলে হারানোর বেদনায়, আরেক মা কাঁদলেন ছেলের প্রাণ বেঁচে যাওয়ায়।
দেশের আইন অনুযায়ী প্রকাশ্যে ফাঁসি কার্যকরের সময় সম্প্রতি এই ক্ষমাশীলতার ঘটনা ঘটেছে ইরানে। সাত বছর আগে ২০ বছর বয়সী বেলাল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগিবতণ্ডায় জড়িয়ে ছুরির আঘাতে কেড়ে নিয়েছিলেন ১৮ বছর বয়সী আবদুল্লাহ হোসেনজাদেহর প্রাণ।
ইরানের মাজানদারান প্রদেশের ছোট্ট শহর রোয়ানে এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। পুলিশের হাতে ধরা পড়েন বেলাল। বিচার শুরু হয় তাঁর। অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় ফাঁসির রায় হয় তাঁর।#ফেইচবুক।