admin
প্রকাশ: ২০১৭-১০-০৮ ২১:৩৮:২২ || আপডেট: ২০১৭-১০-০৮ ২১:৩৮:২২
তাওহীদুল ইসলাম খান, আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, লোহাগাড়াঃ গত দু’বারের মত এবার আমরা ভোরে বের হয়নি কারণ সেনা বাহিনী কর্তৃক সময়ের বিধি-নিষেধের জন্য। দিনের পুরোটা সময় যাতে রোহিঙ্গাদের দিতে পারি সেজন্য আমরা রাত ৩ টার পর লোহাগাড়া থেকে রওনা দিয়েছিলাম।
ক্যাম্পের ভিতরে যাওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একজন সদস্য আমাদের সাথে ছিলেন এবং সার্বক্ষণিক আমাদের টিমের সাথে কাজ করে গেছেন।
বিগত সময় গুলাতে আমরা দেখে আসছিলাম রোহিঙ্গাদের খাওয়া, নলকূপ, টয়লেট সহ আরো কিছু সমস্যা। কিন্তু এবার পুরোটা ভিন্ন এক বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছি আমরা।
এতসব মানুষের অসুস্থতা নিজ চোঁখে দেখাটা সত্যিই অনেক কষ্টের। পুরো দিনে আমরা প্রায় অনেক গুলা রোহিঙ্গা রোগীকে ফ্রী চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছি। তাদের সমস্যা গুলা নিয়ে অনেক কথা বলেছি, দেওয়ার চেষ্টা করেছি ভাল মানের সব ঔষধ।
সবচেয়ে বেশী কষ্ট পেয়েছি প্রেগন্যান্ট মহিলা গুলাকে দেখে। এমনিতেই তাদের করুণ অবস্থা তারউপর পেটে বাচ্চা থাকা অবস্থায় বিভিন্ন রোগ তাদের।
লক্ষ্য করে দেখেছি অধিকাংশ রোগী ছিল, শিশু ও মহিলা। চোট চোট বাচ্চা গুলার অসহায় অবস্থা সত্যিই বেদনাময়।
অনেক গুলা সংস্থা তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতেছে কিন্তু সেটা তাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
আমাদের টিম দু’জন চিকিৎসক সহ প্রায় অনেক ঔষধ সামগ্রী নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের অবস্থা দেখে সেটা কিছুই মনে হয়নি। তবুও প্রভুর কাছে শুকরিয়া, কিছু ভাইদের দেওয়া অামানত গুলা সুষ্টভাবে বন্ঠন করতে পেরেছি।
আমরা তাদের সমসময় বলার চেষ্টা করেছি আমাদের জন্য দোয়া করার প্রয়োজন নেই, অাল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন।
কেননা এটা আপনাদের কোন স্থানী ঠিকানা নয়, এখানে আপনারা সারাজীবন থাকতে পারবেন না।