, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

অবশেষে তদন্ত হচ্ছে এস আলম গ্রুপের ঋনের পরিমান

প্রকাশ: ২০১৭-১১-২৭ ১১:৩৮:১৩ || আপডেট: ২০১৭-১১-২৭ ১১:৩৮:১৩

Spread the love

অবশেষে তদন্ত হচ্ছে এস আলম গ্রুপের ঋনের পরিমান
চট্টগ্রাম-ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের ঋণের রেকর্ডের বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজস্ব সমন্বয় ও বাজেট বাস্তবায়নের দুই বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি এস আলম গ্রুপ বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের মালিকানা নেয়ার জন্য গ্রহণ কৃত ঋণ ব্যবহার করছে। আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি এস আলম গ্রুপের ঋণের পরিমাণ কত। ”

তিনি আরো বলেন, এ তথ্য সংক্রান্ত অগ্রগতির ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন।

সোস্যাল সলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) এর প্রায় ৪০ শতাংশ শেয়ার ক্রয়ের বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছে অর্থমন্ত্রী ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে, অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান যে, ৩০ অক্টোবর এসআইবিএলের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন ৩ দিন পর এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

১লা নভেম্বর এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্তের জন্য এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে অভিযোগ পাঠায়, যা পরে অর্থ মন্ত্রনালয় বরাবর পেশ করা হয়।

তবে তদন্তের জন্য আবেদনকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

মুহিত বলেন যে, এস আলম গ্রুপ কঠিন উপায়ে বিভিন্ন ব্যাংকের মালিকানা নিয়েছে। তা বন্ধ করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর বেসরকারি খাতের সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের আগস্ট-অক্টোবর মাসে ব্যাংকটির প্রায় ৪০ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় এস আলম গ্রুপ। নিজের নাম ছাড়াও কয়েকটি নতুন প্রতিষ্ঠানের নামে শেয়ার কেনা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবরের সভায় ব্যাংকটির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসে।

নতুন নতুন কোম্পানির নামে কেনা এসব প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা দেওয়া হয় রাজধানীর দিলকুশার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ক্যাপিটেল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অফিসের। এই প্রতিষ্ঠানটি এস আলম গ্রপের মালিকানাধীন। এ ছাড়া চট্টগ্রামের আছদগঞ্জের এস আলম ভবনের ঠিকানা ব্যবহার করেও নতুন কোম্পানির শেয়ার কেনা হয়।

সূত্রমতে, গত বছরের জুলাই থেকে ব্যাংকটির শেয়ার কেনা শুরু করেছিল ঢাকার ইউনাইটেড গ্রুপ। আগস্ট পর্যন্ত ইউনাইটেড গ্রুপ-সংশ্লিষ্টরা শেয়ারবাজারের মাধ্যমে ব্যাংকটির প্রায় ৩১ শতাংশ শেয়ার কেনে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগও করে। কিন্তু ব্যাংকটির পর্ষদে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তারা এসব শেয়ার চট্টগ্রাম ভিত্তিক এস আলম গ্রুপের কাছে বিক্রি করে।

১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু করা এসআইবিএলের শাখা ১৩৫টি। ব্যাংকটিতে ১২ হাজার কোটি টাকা আমানত রয়েছে। ২০০০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এখন এর শেয়ারধারীর সংখ্যা প্রায় ৩৯ হাজার। তবে গতকালের শেয়ারবাজারে এর দামের ওপর কোনো প্রভাব পড়েনি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার কেনে এস আলম গ্রুপ। ওই সময় ব্যাংকটির ২৫ শতাংশ শেয়ার কেনা হয়। এরপরই জানুয়ারিতে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসে।

ইসলামী ব্যাংকের সবচেয়ে বড় গ্রাহকও চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ। গ্রুপটির মালিকানায় রয়েছে খাদ্য, সিমেন্ট, স্টিল, বিদ্যুৎ, পরিবহন, শিপিং, কৃষি ও গণমাধ্যমের কমপক্ষে ৩০ প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী, ইউনিয়ন, এনআরবি গ্লোবাল, বাংলাদেশ কমার্স, রিলায়েন্স ফাইন্যান্সেও মালিকানা রয়েছে গ্রুপটির। দেশের ইসলামি ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক্সিম ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ছাড়া সব কটিই এখন চট্টগ্রামভিত্তিক এই গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে। #সিটিজি টাইমস।

Logo-orginal