, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Avatar 1prewettmary1987

ইয়াবা ব্যবসায়ীর মুক্তির দাবিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ-ভাঙচুর; ওসির ক্ষোভ

প্রকাশ: ২০১৭-১১-১৩ ০৭:৫৯:৩২ || আপডেট: ২০১৭-১১-১৩ ১৯:৫১:৪৯

Spread the love

23406093_384935301946096_4709239529762454867_o

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় ইয়াবা ব্যবসায়ী শফিউল আলম সোহেলের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগকর্মীরা।

শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে কেরানীহাট এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর করে এবং শনিবার বিকেলে সাতকানিয়া পৌরসভার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন ছাড়াও বেশ কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

23517518_884146678414262_1798431051735554807_n

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কেরানীহাট-বান্দরবান রাস্তার মাথায় মুখোশধারী এক দল ছাত্রলীগকর্মী ঝটিকা মিছিল বের করে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু/কেরানীহাটের মাটি, সোহেল ভাইয়ের ঘাঁটি’ বলে চার-পাঁচবার স্লোগান দেয়। এরপর তারা সড়কের ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সাতকানিয়ার কেরানীহাট স্টেশনে দুটি এসি বাস, দুটি ট্যাক্সি ও একটি ট্রাকে ভাঙচুর চালায়।

এর ১০ মিনিট পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কেরানীহাটের উত্তর মাথায় শাহ আমাত হাসপাতালের সামনে একই স্লোগান দিয়ে ঝটিকা মিছিল বের করে একটি ট্রাক, একটি প্রাইভেট কার ও দুটি যাত্রীবাহী বাসে ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের ছোড়া ইট ও লাঠির আঘাতে মহিলাসহ ১১ জন আহত হয়। লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে।।মুহূর্তের মধ্যে কেরানীহাট স্টেশন যানবাহনশূন্য হয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায় এবং ধীরে ধীরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এব্যাপারে সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক এস এম আজিজ বলেন, ‘গত ৯ নভেম্বর রাতে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শফিউল আলম সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কেরানীহাটে যারা মিছিল করেছে এবং সোহেলের নামে স্লোগান দিয়েছে তারা মূলত সোহেল এবং তাঁর পক্ষের নেতাকর্মীদের ফাঁসানোর জন্য মিছিলের নামে সড়কে টায়ার জ্বালিয়েছে এবং যানবাহন ভাঙচুর করেছে।’

তবে সাতকানিয়া থানার ওসি মোঃ রফিকুল হোসেন বলেন, ‘বুধবার রাতে আমরা কেরানীহাট থেকে ইয়াবাসহ শফিউল আলম সোহেল ও নবাব আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। গতকাল রাত ৮টার দিকে হঠাৎ ৮-১০ জন মুখোশধারী যুবক কেরানীহাটে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন দেয় এবং কয়েকটি যানবাহনের কাচ ভাঙচুর করে। ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

এদিকে, কেরানীহাটে ছাত্রলীগের গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে শনিবার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সিএনজি-ট্যাক্সি শ্রমিকরা।

অপরদিকে, ইয়াবা ব্যবসায়ী সোহেলের মুক্তির দাবিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ-ভাঙচুরের  ব্যাপারে সাতকানিয়া থানার ওসি রোববার তার নিজ ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
আপনারাই বলুন।
^^^^^^^^^^^^^^^

মাস তিনেক আগে একটি গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ অনেক কষ্ট করে কেরাণীহাট ও কলেজ রোড এলাকা থেকে ২জন মূল আসামী গ্রেফতার করে। তখন একজন স্থানীয় নেতা তো বলেই ফেললেন, তারা নির্দোষ, তারা তাঁর দল করে, আমরা কারো (!) নির্দেশে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ধরেছি ইত্যাদি।

কিন্তু পরদিন সেই নির্দোষ আসামী ২জনকে আদালতে পাঠানো হলে তারা আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
আত্নস্বীকৃত এই ধর্ষক ২জন সেখানে তাদের অপর ৩জন সঙ্গির নামও প্রকাশ করে। আমরা এরপর বাকী ২জনকেও গ্রেফতার করি। পলাতক আছে ১জন।

এই জঘন্য ঘটনা উদঘাটনের প্রাথমিক পর্যায়ে ওই একই ব্যক্তি আমার একজন এসআই’র সাথে উচ্চকন্ঠে ঘেউ ঘেউ করেছিলেন। এসআই এর মোবাইলে রেকর্ড করা ওই কন্ঠ শুনে আমার যেনো মনে হয়েছিল তিনি জলাতঙ্ক রোগে ভূগছেন। টিকা দিলে ঠিক হয়ে যাবে। আমরা তার রোগমুক্তিও কামনা করেছি।

কিন্তু না, কাজ হয়নি। সম্ভবত জটিলাবস্থা। তিনি এখন নাকি নেমেছেন ইয়াবার পাইকারি ব্যবসায়িদের রক্ষা করতে. . . (!)

মাশাআল্লাহ্।
এই অবস্থায় প্রিয় সাতকানিয়াবাসি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বলুনতো, আমাদের এখন কী করা উচিত।

Logo-orginal