, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
admin
প্রকাশ: ২০১৭-১১-২৭ ২৩:৩৬:২৭ || আপডেট: ২০১৭-১১-২৭ ২৩:৩৬:২৭
গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় হাসপাতালের মেডিসিন-৪ ইউনিটে এ ঘটনা ঘটে। এতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত কবির জমাদ্দারের ছেলে পাবেল ও তার এক স্বজন গুরুত্বর আহত হয়।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, মূল ঝামেলা ছিল সেবিকাদের সঙ্গে। রোগীর মৃত্যুর পর ওয়ার্ডের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রোগীর স্বজনরা।
মৃত কবির জমাদ্দারের ছেলে পাবেল জানান, তাকে আটকে চিকিৎসক ও ওয়ার্ডের অন্য স্টাফরা মারধর করে। অপর এক স্বজন জানান, গতকালও রোগীর অবস্থা ভালো বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা, হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়া সত্ত্বেও সেবক পর্যায়ের কাউকেই হাতের কাছে পাওয়া যায়নি।
শেবাচিম হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল কাদির জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন, পরে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২৪শে নভেম্বর নগরীর কাউনিয়া এলাকার কবির জমাদ্দার হৃদরোগ নিয়ে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ৪ ইউনিটে ভর্তি হয়। গতকাল মৃত্যুর পর স্বজনরা মৃতদেহ নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় সেবিকা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়লে মৃতের ছেলে পাবেলসহ দুজনকে আটকে মারধর করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সভাপতি রাজু আহমেদ জানান, মূল ঝামেলা সেবিকাদের সঙ্গে হয়েছে, কিন্তু রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডের ভেতরে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যে সবাই আতঙ্কে ছিল।
এই বিষয়ে ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সেবিকারা জানান, মারা যাওয়ার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল কিন্তু মৃতদেহ নেয়ার সময় ১৫-২০ জন এসে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করে ওয়ার্ডে সাধারণ রোগীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে সবাই মিলে এর প্রতিবাদ জানালে চিকিৎসকদেরও লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে মৃতের স্বজনরা। এসময় দুজনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বেপরোয়া হয়ে উঠছে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। গত এক মাসে একাধিক রোগীর স্বজনদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা। এবার বাবার লাশের সামনে ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
