, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

চট্টগ্রাম বন্দরে একটি পদে নিয়োগ পাওয়া ৯২ জনের মধ্যে ৯০ জনই মন্ত্রী শাজাহান খানের মাদারীপুরের

প্রকাশ: ২০১৭-১১-১৯ ২২:৪২:৫৫ || আপডেট: ২০১৭-১১-১৯ ২২:৪২:৫৫

Spread the love

চট্টগ্রাম বন্দরে চতুর্থ শ্রেণির একটি পদে নিয়োগ পাওয়া ৯২ জনের মধ্যে মাত্র দুজন চট্টগ্রামের এবং বাকি ৯০ জন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের এ
চট্টগ্রাম বন্দরে চতুর্থ শ্রেণির একটি পদে নিয়োগ পাওয়া ৯২ জনের মধ্যে মাত্র দুজন চট্টগ্রামের এবং বাকি ৯০ জন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের এ
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে চতুর্থ শ্রেণির একটি পদে নিয়োগ পাওয়া ৯২ জনের মধ্যে মাত্র দুজন চট্টগ্রামের এবং বাকি ৯০ জন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের এলাকা মাদারীপুর জেলার। নিয়োগের এমন প্রক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি এ নিয়ে অভিযোগ এনে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের দুই সংসদ সদস্য।

রোববার সংসদে চট্টগ্রামের একটি আসন থেকে নির্বাচিত জাসদ নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল আক্ষেপ করে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর চট্টগ্রামের আত্মার মতো। এই বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামবাসী নানাভাবে যুক্ত। অথচ এই বন্দরের ছোট পদ লস্করে ৯২ জনের মধ্যে ৯০ জনই অন্য অঞ্চলের, চট্টগ্রামের মাত্র দুজন।’
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর আইডিতে লিখেন, ‘সুসংবাদ: বন্দরের লস্কর পদের নিয়োগের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে।

কয়েকজনের আবেগতাড়িত বক্তব্য শুনে বুঝতে পারলাম চট্টগ্রাম বন্দরটি মাদারীপুর জেলায় অবস্থিত। ৯২ জন লস্কর সাহেবের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুজন চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। অভিনন্দন জানাচ্ছি মাদারীপুর সমুদ্রবন্দরের নতুন লস্করদের।’

তাঁর স্ট্যাটাসের ওপর ভিত্তি করে একটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে। ওই খবরে বলা হয়, নিয়োগ পরীক্ষায় ৯২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। যার ৯০ জনই হচ্ছে মাদারীপুর জেলার। এরপর ওই তথ্য ফেসবুকে ছড়াতে থাকে। তবে নৌপরিবহন মন্ত্রী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

প্রশ্নোত্তর পর্বে জাসদের সাংসদ বাদল বলেন, ‘এখন চট্টগ্রামে প্রতিবাদ সভা হচ্ছে।

এটা নিয়ে আরও বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হবে। আমি গৃহকর বাড়ানো নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের মতো বলব, এটাই কি সময় হলো চট্টগ্রামের দুইজনকে চাকরি দেবার? আপনি এটা সারা বাংলাদেশকে ভাগ করে দেন চট্টগ্রামবাসী কিছু মনে করবে না।’
চট্টগ্রামের আরেকটি আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের যত নিয়োগ হয় সব পরীক্ষা ঢাকায় হয়, এটার কারণটা কী বুঝতে পারছি না? বন্দরের অন্য ডিপার্টমেন্টেরও পরীক্ষা হয় ঢাকায়। লোকাল এমপি হিসেবে লোকজন আমাদের কাছে আসে আমরা সুপারিশ করি, কিন্তু মেরিটেও তারা দিতে পারে না। এটা দুর্ভাগ্যজনক।

অথচ চট্টগ্রামের মানুষ এই বন্দরকে সচল রেখেছে। তাদের এখানে চাকরি পাওয়ার জন্মগত দাবি আছে। তাদের অধিকার আছে মেরিট অনুযায়ী চাকরি পাওয়ার। আর এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের ও মন্ত্রণালয়ের।

Logo-orginal