admin
প্রকাশ: ২০১৭-১১-২৬ ১৯:৩৮:৪৩ || আপডেট: ২০১৭-১১-২৬ ১৯:৩৮:৪৩
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, নিউজ ডেস্কঃ দেশে এখন চলছে শীতের মৌসুম। এ সময় শুষ্ক আবহাওয়ায় উড়ছে ধুলাবালি; রাজধানীর বাতাস হয়ে উঠছে দূষিত। ফলে স্কুলগামী শিশু-কিশোর,অফিসগামী চাকরিজীবী ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ প্রতিদিন বায়ূ দুষণের ধকল সংগে নিয়ে এই মহানগরে চলাফেরা করছেন।
দূষণ থেকে রক্ষা পেতে মুখে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করছেন সচেতন নাগরিকেরা। বায়ু দুষন জনিত রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে তারা এ সতর্কতা অবলম্বন করছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ঢাকার বায়ু এখনই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পৌঁছে গেছে। বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্র বস্তুকণা ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ছয় ধরনের গ্যাসীয় পদার্থ পরিমাপের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষন করা বায়ুমানের সূচক গত কাল শনিবার ছিল ৩১৫। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা মতে ঢাকার এ দূষণমাত্রাটি বর্তমানে মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ।
বিশষজ্ঞেরা বলছেন, রাজধানীতে এই জাতীয় ভাসমান বস্তুকণাজনিত দূষণের ৫৮ ভাগ দায় ইটভাটার, ১৮ ভাগ রাস্তা ও মাটি থেকে তৈরি ধুলা, ১০ ভাগ যানবাহন ও ১৪ ভাগ দায় অন্যান্য উৎসের।
এ প্রসংগে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বায়ুদূষনের ক্ষতিকর দিক বর্ননা কর রেডিও তেহরানকে বলেন, বায়ু দূষনের উৎস বন্ধ করতে হবে এবং যারা এ দূষণ করছে তাদের বিচারের অওতায় আনত হবে।
এ অবস্থায় রাজধানীর বায়ুদূষণ কমাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
শুক্রবার অধিদপ্তরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের এক মতবিনিময় সভায় বায়ুদূষণের বিভিন্ন দিক নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রইছউল আলম মণ্ডল সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন, শুষ্ক মৌসুমে (নভেম্বর থেকে মার্চ) রাজধানীতে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। এ সময় বাতাসে ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার আকারের বস্তুকণার উপস্থিতি বাড়ে। এই বস্তুকণা নিশ্বাসের সঙ্গে রক্তে মিশে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
সভায় বায়ুদুষণ রোধে ১১ দফা করণীয় সুপারিশ করা হয়েছে ।
সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইটভাটার দূষণ নিয়ন্ত্রণে সনাতন পদ্ধতি বাদ দিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর ইটভাটা করা; যানবাহনের কার্বন নিঃসরণমাত্রা পরীক্ষা করে ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধ করা; দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকলে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রাখা; শিল্পকারখানায় মনিটরিং জোরদার করা; নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বালু, সিমেন্ট, ইট ইত্যাদি পরিবহন ও মজুতের সময় ঢেকে রাখা।
এ ছাড়াও, নিয়মিত রাস্তা পরিচ্ছন্ন ও ধুলা নিয়ন্ত্রণে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা। সড়ক নির্মাণ ও মেরামত এবং সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয় করে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা; উন্মুক্ত স্থানে আবর্জনা না পোড়ানো-এসব সুপারিশও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।# পার্সটুডে ।