, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

যেভাবে শহীদ হয়েছিলেন আমীর ওমর বিন খাত্তাব( রা:)

প্রকাশ: ২০১৭-১১-০৬ ১১:৪২:২৩ || আপডেট: ২০১৭-১১-০৬ ১১:৪২:২৩

Spread the love

যেভাবে শহীদ হয়েছিলেন আমীর ওমর বিন খাত্তাব( রা:)
যেভাবে শহীদ হয়েছিলেন আমীর ওমর বিন খাত্তাব( রা:)
(ছবি:আল ফারুক মসজিদ দুবাই) আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ইসলাম ডেস্কঃ সেইদিন ছিল মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক, যেদিন কুখ্যাত এক কাফেরের আঘাতে শহীদ হয়েছিলেন আমীরুল মুমেমিন হযরত ওমর বিন খাত্তাব( রা:)।

আমর বিন মাইমুন রা. বলেন, যেদিন সকালে উমর রা. আহত হন, সেদিন সকালে আমি তার সাথে দাঁড়ানো ছিলাম। আমাদের দুজনের মাঝে আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা. ছিলেন। আর তখন ছিল ফজরের সময়। তিনি যখন নামাযের মুহূর্তে দুই কাতারের মাঝখান দিয়ে অতিক্রম করতেন, তখন তিনি মুসল্লিদের লক্ষ করে বলতেন, তোমরা কাতার সোজা করে দাঁড়াও তখন মুসল্লিগণ ঠিকভাবে কাতার সোজা করে দাঁড়াতো।

এসময় তিনি লক্ষ করতেন যে কোন কাতারে খালি জায়গা আছে কিনা। যদি তিনি কাতারে খালি জায়গা দেখতে না পেতেন তখন তিনি মুসল্লিদের সামনে গিয়ে তাকবীর বলে নামায শুরু করতেন। আর তিনি অধিকাংশ সময় ফজরের নামাযের প্রথম রাকাতে সূরা “ইউসুফ” বা সূরা “নাহল” অথবা এজাতীয় অন্য কোন দীর্ঘ সূরা পড়তেন যাতে লোকজন সবাই জা’মাতে শামিল হতে পারে।

আমর বিন মাইমুন রা. বলেন সেদিন তাকবীর দিয়ে নামায শুরু করতেই আমি শুনলাম তিনি বলে উঠলেন, আমাকে কুকুরটি খেয়ে ফেললো বা মেরে ফেললো, কারণ এসময় একটি কালো নিগ্রো কাফের উমর রা.-কে দু’ধারী তরবারি দিয়ে আঘাত করে পালাতে লাগলো এবং আশে পাশে যারই পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছে তাকেই আঘাত করেছে। এভাবে সে একে একে তের জনকে আহত করল। এর মধ্যে আঘাতপ্রাপ্ত সাত জনই মারা গেলেন। এই মুহূর্তে একজন মুসলমান লক্ষ করল যে, হত্যাকারী লোকটি পলায়ন করছে।

তখন তিনি কানটুপিওয়ালা একটি ভারী পোশাক তার দিকে ছুড়ে মারলেন। ফলে হত্যাকারী লোকটি মাটিতে পড়ে গেলো এবং সে বুঝতে পারল যে, সে ধরা পড়ে যাবে। তাই সে আত্মহত্যা করল।

এমন অবস্থায় হযরত উমর রা. আব্দুর রহমান বিন আউফ রা. এর হাত ধরে নামাযের ইমামতির জন্য তাকে সামনে বাড়িয়ে দিলেন। তখনো আমি উমর রা. এর নিকটেই ছিলাম। ফলে আমি সব কিছুই লক্ষ করছিলাম এবং আমার আশপাশে যারা ছিল তারাও তা লক্ষ্য করলো। আর যারা মসজিদের প্রান্তে ছিল তারা কিছুই বুঝতে পারছিল না।

তবে তারা এটুকু বুঝতে পারল যে তারা উমর রা. এর নামাযের কিরাত শুনতে পাচ্ছেনা। তাই তারা সুবহানাল্লাহ বলে তাকবীর দিতে লাগল। কিন্তু ততক্ষণে আবদুর রহমান বিন আউফ রা. সংক্ষিপ্তভাবে নামায শেষ করে দিলেন। যারা এঘটনা বুঝতে পারেনি তারা যার যার বাড়িতে চলে গেলেন। আর তাঁর কাছে ডানে বামে যারা ছিলেন তারা নামাযের পর উমর রা. এর সামনে জমায়েত হয়ে গেলেন।

তখন উমর রা. বললেন, হে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর, তুমি দেখোতো কে আমাকে আঘাত করলো? তাই তিনি ঐ লোকটিকে দেখে এসে বললেন, মুগিরার নিগ্রো গোলামটি আপনাকে আঘাত করেছে। একথা শুনে উমর রা. বললেন সেই দক্ষ কারিগরটি নাকি? ইবনে আব্বাস রা. বললেন হ্যাঁ, সেই লোকটিই। তখন তিনি বললেন- আল্লাহ তাকে ধ্বংস করুন। তবে শোনো আমি তোমাদেরকে তার সাথে ভালো ব্যবহার করার আদেশ দিচ্ছি। কারণ আমাকে তার সাথে ভাল ব্যবহার করার আদেশ দেয়া হয়েছে। এরপর তিনি বললেন, সমস্ত প্রসংশা একমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য। যিনি আমার মৃত্যু এমন একজন লোকের হাতে নির্ধারণ করেননি যে ব্যক্তি ইসলামের দাবীদার। কাফেরের হাতে মৃত্যু বরণ করা আল্লাহর পথে শাহাদত বরণের সমতুল্য।

হে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস! তবে আমার একটা জিনিসের জন্য আফসোস হয়। সেটা হলো তুমি ও তোমার পিতা মদীনায় নিগ্রো গোলামদের আধিক্য পছন্দ করতো। আর তিনি একথা বলার কারণ হল সাহাবায়ে কেরামেরও মাঝে হযরত আব্বাস রা. সবচে‌য়ে বেশি গোলামের অধিকারী ছিলেন। ইবনে আব্বাস রা. একথা শুনে হযরত উমর রা. কে বললেন, আমি সমস্ত গোলামকে হত্যা করে দিব। কিন্তু উমর রা. বললেন, হে ইবনে আব্বাস! তুমি ভুল বললে, কারণ তারা তোমাদের ভাষায় কথা বলে, তাছাড়া তাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা তোমাদেরমত হজ্জ আদায় করে, তোমাদের কেবলার দিকে অভিমুখী হয়ে নামায আদায় করে। তাই কিভাবে তাদেরকে হত্যা করা যেতে পারে?

আমর ইবনে মাইমুন রা. বলেন, এসমস্ত আলাপ আলোচনার পর উমর রা. কে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলো। সাথে আমরাও তার বাড়িতে গেলাম। হযরত উমর রা. বাড়িতে গিয়ে বললেন আমার মনে হচ্ছে ইতিপূর্বে মুসলমানেরা এধরণের বিপদের সম্মুখিন হয়নি। কারণ তিনি গুরুতর আহত ছিলেন। যার কারণে সমস্ত মানুষ পেরেশান হয়ে পড়ল। তবে তাদের মধ্য হতে একজন বলল, আমার মনে হচ্ছে তার কোন বিপদ হবে না, তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। একথা শুনে অন্য একজন বলল, আমার মনে হচ্ছে আমরা তার ব্যাপারে আশঙ্কা মুক্ত নই। কিছুক্ষণ পর পান করার জন্য তার সামনে শরবত নিয়ে আসা হলো, তিনি তা পান করলেন। কিন্তু তা তার উদর থেকে বের হয়ে গেলো। আবার দুধ আনা হলো এবং তিনি তা পান করলেন তাও তার উদর থেকে বের হয়ে গেলো। ফলে লোকেরা বুঝতে পারলো তার মৃত্যু অবধারিত।

আমর বিন মাইমুন রা. বলেন, অতপর আমরা কয়েকজন তার সাথে একান্তে মিলিত হলাম এবং কিছুক্ষণ তার সাথে কথা বললাম তারপর আরো কিছু মানুষ উপস্থিত হলো এবং তারা প্রশংসা করতে লাগল। তাদের মধ্যে একটি যুবক বলতে লাগলো, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ গ্রহণ করুন। কারণ আপনিতো রাসূল সা. এর সান্নিধ্য লাভ করেছেন এবং আমার জানামতে আপনি সর্বাগ্রে ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছেন। তারপর রাসূল সা. এর ইন্তেকালের পর (হযরত আবু বকর রা. এন্তেকালের পর) আপনি রাষ্ট পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন এবং ইনসাফ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তারপর আপনি মৃত্যুর সময় আল্লাহর রাস্তায় শাহাদাত বরণ করতে যাচ্ছেন। একথা শুনার পর তিনি বললেন, আমি আশা করছি জীবনে আমি যা করেছি তা আমার জন্য যথেষ্ট হবে। আল্লাহর কাছে আমি তারই কামনা করি। এ আলোচনা শেষ হওয়ার পর যুবকটি চলে যাচ্ছিল, ঠিক তখনি হযরত উমর রা. দেখলেন যে তার লুঙ্গিটি মাটি স্পর্শ করছে, তখন তিনি বললেন হে ভাতিজা! তুমি তোমার কাপড় টাখনুর উপরে পরিধান কর। কেননা তা তোমার কাপড়ের জন্য অধিক পরিচ্ছন্নতাকর এবং আল্লাহর তাকওয়া অর্জনের ক্ষেত্রে বড় সহায়ক।

তারপর উমর রা. তার ছেলেকে বললেন, হে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর! তুমি দেখতো আমার কাছে মানুষের কত টাকা পাওনা আছে? তখন তিনি উপস্থিত সকলকে নিয়ে হিসাব করে দেখলেন প্রায় ছিয়াশি হাজার দিরহাম। তখন উমর রা. শুনে বললেন যদি আমার সম্পদ দ্বারা তা আদায় করা সম্ভব হয় তাহলে এই সম্পদ দ্বারাই তা আদায় করে দাও। আর যদি আমার সম্পদ এর জন্য যথেষ্ট না হয়, তাহলে আদি ইবনুল খিয়ার গোত্রের নিকট যাবে, তারপর যদি তাদের মাল দ্বারাও আদায় করা সম্ভব না হয় তাহলে কোরাইশদের থেকে সহযোগিতা নিবে।

উল্লেখিত ব্যক্তিরা ব্যতিত অন্যের নিকট চাইবে না। বরং পরবর্তীতে তুমি আমার পক্ষ থেকে তা আদায় করতে চেষ্টা করবে। আমি এটাই কামনা করি।

হে আমার বৎস! এখন তুমি আয়েশা রা. এর কাছে গিয়ে বল, উমর রা. আপনার কাছে সালাম পাঠিয়েছেন। তবে তুমি আমীরুল মু’মিন বলবে না কারণ এ অবস্থায় আমি রাষ্টের দায়ীত্বের উপর বহাল থাকছিনা, কেননা আমার মৃত্যু অবধারিত। যাহোক তুমি আয়েশা রা. কে বলবে যে, উমর তার সাথীদের সাথে দাফন হওয়ার অনুমতি চাচ্ছে। এরপর তিনি আয়েশা রা. এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে সালাম জানালেন এবং তিনি ভিতরে যাওয়ার অনুমতি চাইলেন। তিনি ভিতরে প্রবেশ করে দেখলেন যে আয়েশা রা. বসে বসে কাঁদছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. তাকে বললেন, আমার বাবা আপনার কাছে সালাম পাঠিয়েছেন এবং এই মর্মে আবেদন করেছেন যে, তিনি তার সাথীদ্বয়ের সাথে সমাহিত হওয়ার আশা রাখছেন। একথা শুনার পর তিনি বললেন, আমি এই স্থানটি আমার জন্য নির্বাচন করে ছিলাম। কিন্তু আজ আমি তাকে আমার উপর প্রাধান্য দিলাম। তুমি নিশ্চিন্তে ফিরে যাও তার কথামত এখানেই তার সমাধি হবে।

তারপর যখন তিনি আয়েশা রা. এর কাছ থেকে ফিরে এলেন, তখন বলা হল, এইতো আব্দুল্লাহ ইবনে উমর এসে গেছেন। একথা শুনে তিনি বলেন আমাকে উঠিয়ে বসাও তখন একজন লোক তাকে উঠিয়ে বসালেন। তিনি বললেন কি সংবাদ হে বৎস? ইবনে উমর বললেন, হে আমীরুল মু’মিন আপনি যা কামনা করেছেন তাই হয়েছে। আপনাকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন এটাই আমার নিকট সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। যখন আমার মৃত্যু হবে তখন আমাকে আয়েশা রা. এর নিকট বহন করে নিয়ে যাবে, তারপর সালাম দিয়ে বলবে- উমর আপনার কাছে অনুমতি প্রার্থনা করছে। তখন যদি আমাকে অনুমতি দেয়া হয়, তাহলে আমাকে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করবে। আর যদি ফিরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে সাধারণ মুসলমানের কবরস্থানে আমাকে দাফন করবে।

এই মুহূর্তে উম্মুল মুমিনীন হরত হাফসা রা. উপস্থিত হলেন এবং তার সাথে কয়েকজন মহিলাও এলেন। আমরা তাকে দেখার পর উঠে গেলাম এবং তিনি তার নিকট উপস্থিত হয়ে কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করলেন। কিছুক্ষণ পর আবার কিছু লোক এসে অনুমতি নিয়ে তাদের ভেতরের কক্ষে প্রবেশ করলেন। এসময় আমরা ভিতরের কক্ষ থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম।

তারপর উপস্থিত লোকেরা বলল, হে আমিরুল মুমিনীন আপনি আমাদেরকে কিছু উপদেশ দিন এবং আপনার পরবর্তী খলিফা নিযুক্ত করে যান। তিনি বললেন এদলটি যাদের ব্যাপারে রাসূল সা. সন্তুষ্ট হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন, তাদের চেয়ে খলিফা নিযুক্তির ব্যাপারে অন্য কাউকে বেশি হকদার মনে করছিনা। তখন তিনি ছয় ব্যক্তির নাম উল্লেখ করলেন-
১. হযরত আলী রা.
২. হরত উসমান রা.
৩. হযরত যুবাইর রা.
৪. হযরত সাআদ রা.
৫. হযরত তালহা রা.
৬. হযরত আব্দুর রহমান বিন আউফ রা.।

আর নিজের ছেলের ব্যাপারে বললেন, আব্দুল্লাহ বিন উমর রা. তোমাদের সাথে উপস্থিত থাকবে, তবে এ বিষয়ে তার কোন কর্তৃত্ব থাকবে না। কারণ এটা তার জন্য সান্ত্বনা মূলক কথা ছিল। তিনি বলেন, দায়িত্ব যদি সা’আদের নিকট আসে তাহলে তো আসলোই। আর যদি না আসে তাহলে তোমাদের মধ্যে যাকে দায়িত্ব দেয়া হবে সে যেন তার সাথে পরামর্শ করে। কারণ ইতিপূর্বে আমি তার অক্ষমতা বা খেয়ানতের কারণে অপসারণ করিনি।

তিনি বলেন আমি আমার পরবর্তী খলিফাকে প্রাথমিক পর্যায়ের মুহাজিরের ব্যপারে ওসিয়ত করে যাচ্ছি, তিনি যেন তাদের প্রাপ্য আদায়ে সচেষ্ট থাকেন এবং তাদের সম্মান রক্ষা করেন। সাথে সাথে আমি তাকে ঐ সমস্ত আনসারদের ব্যাপারে কল্যাণের আদেশ দিচ্ছি, যারা তাদের পূর্বেই ঈমান এনেছিলো এবং হিজরতের জন্য তাদের দেশকে তৈরি করে রেখে ছিল। অর্থাৎ তাদের ভালো বিষয়গুলো কবুল করা হবে এবং তাদের ভুল ত্র“টিকে মার্জনা করা হবে। অনুরুপ আমি তাকে শহরবাসীর ব্যাপারেও কল্যাণের আদেশ দিচ্ছি, কারণ তারা হচ্ছেন ইসলামের সাহায্যকারী, ট্যাক্স আদায়কারী এবং শত্রুর অন্তর্জ্বালার কারণ। তাই তাদের অতিরিক্ত মাল যেন তাদের সন্তুষ্টি ব্যতীত গ্রহণ করা না হয়। অনুরূপ আরব-বেদুইনদের ব্যাপারেও আমি তাকে কল্যাণের আদেশ দিচ্ছি। কেননা তারা হচ্ছেন মূল আরব এবং ইসলামের খুঁটি।

আর তাদের সাধারগণ যাকাতের মাল গ্রহণ করে নিজেদের দারিদ্রদের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হবে। কারণ এক্ষেত্রে এটা তাদের প্রাপ্য এবং আমি তাকে (পরবর্তী খলীফাকে) আল্লাহ ও তার রাসূলের পক্ষ থেকে অর্পিত দায়িত্বের অসিয়ত করছি। যেন তিনি সাধারণ মুসলমানদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন।

আর উল্লেখিত ব্যক্তিরা ব্যতীত যারা রয়েছে প্রয়োজনে তাদের ব্যাপারে যুদ্ধ করা হবে। তবে তাদেরকে যেন তাদের সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেয়া না হয়।

এ অসিয়তের পর যখন তিনি মারা গেলেন, তখন আমরা তাকে নিয়ে বের হলাম এবং হাঁটতে হাঁটতে আয়েশা রা. এর ঘরের কাছে পৌঁছলাম। তখন আব্দুল্লাহ বিন উমর রা. সালাম দিয়ে বললেন, উমর রা. অনুমতি চাচ্ছেন। তখন আয়েশা রা. বলেন তাকে ভিতরে নিয়ে এসো, তারপর তাকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হল এবং তাকে তার সাথীদ্বয়ের সাথে দাফন করা হলো। তার দাফনের কাজ সম্পন্ন হলে খিলাফতের জন্য প্রস্তাবিত ব্যক্তিবর্গ সমবেত হলেন।
#সংগৃহীত।

Logo-orginal