, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

রাষ্ট্রহীনতার কারণে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা

প্রকাশ: ২০১৭-১১-০৩ ১৩:২২:৩৭ || আপডেট: ২০১৭-১১-০৩ ১৩:২২:৩৭

Spread the love

রাষ্ট্রহীনতার কারণে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা
রাষ্ট্রহীনতার কারণে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, চট্টগ্রামঃ রাখাইনে সামরিক অভিযানের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে নাগরিকত্ব দিয়ে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এসব মানুষ রাষ্ট্রহীন থাকতে পারে না। কারণ এই রাষ্ট্রহীনতার কারণে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, অতীতেও হয়েছেন।

ফিলিপো গ্রান্ডি আরও বলেন, যেসব মানুষ মিয়ানমারে ফিরে যাবে তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। নাগরিকত্ব দেওয়া না হলে তাদের ফিরে যাওয়া স্থায়ী হবে না।
রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে রাখাইনের উন্নয়নে সরকারকে একমত হতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ফিলিপো গ্রান্ডি জানান, মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন।

ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি
ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিন: ইউএনএইচসিআর

এর আগে এক প্রতিবেদনে বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

‘দিস ইজ আওয়ার হোম’ –স্টেটলেস মাইনোরিটিস এন্ড দেয়ার সার্চ ফর সিটিজেনশিপ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাটি জানায়, বিশ্বের ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের কোনও রাষ্ট্রীয় পরিচয় নেই। তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত।

আজ (শুক্রবার) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সে ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

রোহিঙ্গা শরণার্থী
রোহিঙ্গা শরণার্থী

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পরিচালক ক্যারোল ব্যাচেলর বলেন, ‘আপনি এই পৃথিবীতে নাগরিকত্ব ছাড়া বসবাস করা মানে হচ্ছে আপনার কোনও পরিচয় নেই। কোনও নথি নেই। কোন অধিকার নেই।’

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর উচিত তাদের ভূখণ্ডে জন্ম নেয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া। না হলে তারা রাষ্ট্রহীন থাকবে এবং এভাবেই থেকে যাবে।

ব্যাচেলর বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবেই বলতে চাই বিশ্বের ৩০ লাখ মানুষ নাগরিকত্ব পরিচয়হীন। তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া প্রয়োজন।’

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের নাগরিকত্ব অধিকার থেকে বঞ্চিত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু ফলের দিতে তাকাতে পারি। মিয়ানমারের একটা নাগরিকত্ব আইন আছে। সেই্ আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গারা তালিকায় নেই।’

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এ ঘটনাকে ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমার থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানের বাংলাদেশে প্রবেশের ঘটনাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট’ বলে উল্লেখ করেছে।# পার্সটুডে।

Logo-orginal