, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

সম্পদ দিলে মুক্তি পাবে সৌদি রাজপুত্ররা

প্রকাশ: ২০১৭-১১-১৯ ০১:০৩:৩৮ || আপডেট: ২০১৭-১১-১৯ ০১:০৩:৩৮

Spread the love

সম্পদ দিলে মুক্তি পাবে সৌদি রাজপুত্ররা
সম্পদ দিলে মুক্তি পাবে সৌদি রাজপুত্ররা
নিউজ ডেস্কঃ দুর্নীতির অভিযোগে আটক হওয়া সৌদি আরবের রাজপরিবারের সদস্য ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কয়েকজনের সঙ্গে চুক্তি করতে চাইছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, মুক্তি পেতে সম্পদ ও অর্থ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ওই কয়েকজনকে।

দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রিন্স, মন্ত্রী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিকে আটক করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী প্রিন্স ওয়ালিদ বিন তালালও রয়েছেন।

তবে অভিযোগ উঠেছে, শাসনব্যবস্থায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্যই ওই ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, আটক এক ব্যবসায়ী তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি সৌদি রিয়াল তুলে নিয়েছেন। সরকারের সাবেক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাঁর ৪০০ কোটি রিয়াল মূল্যের শেয়ারগুলোর মালিকানা হস্তান্তরে রাজি হয়েছেন।

বিশিষ্ট ওই ব্যক্তিদের আটকের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্র বলেছে, গত সপ্তাহে সৌদি সরকার দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে বহু মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা শুরু করে। তবে অল্প সময় পরই এই অবস্থান থেকে সরে গিয়ে ‘অনাহূত সম্পদ হস্তান্তরের’ নির্দেশনা জারি করে কর্তৃপক্ষ। এসব বিষয়ে অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে সৌদি সরকারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক খবরে জানিয়েছিল, সন্দেহভাজন আটক ব্যক্তিদের কয়েকজনের সম্পদের ৭০ শতাংশ চাইছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এসব অর্থ ও সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ’ হস্তান্তরে রাজি থাকলে রিয়াদের রিজ কার্লটন হোটেলে আটক থাকা সময়কে ওই ব্যক্তিদের সাজার মেয়াদ হিসেবে ধরা হবে। দুর্নীতির অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে এই পাঁচ তারকা হোটেলে রাখা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

গত সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট এক সৌদি কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, দুর্নীতির অভিযোগে ২০৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে গত কয়েক দশকে সৌদি আরবে অন্তত ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। শুধু দেশের মধ্যেই নয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতেও এই তদন্তের পরিধি বাড়ানো হয়েছে।

Logo-orginal