, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

হেরে গেলে চিটাগাং ভাইকিংস

প্রকাশ: ২০১৭-১১-১২ ১৮:৩৯:১৫ || আপডেট: ২০১৭-১১-১২ ১৮:৩৯:১৫

Spread the love

হেরে গেলে চিটাগাং ভাইকিংস
হেরে গেলে চিটাগাং ভাইকিংস
ক্রীড়া ডেস্কঃ বিপিএলের পঞ্চম আসরে চিটাগং ভাইকিংসকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে খুলনা টাইটান্স।
রোববার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসকে ১৮ রানে পরাজিত করেছে মাহমুদউল্লাহ দল।

ঢাক ডায়নামাইটসের বিপক্ষে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করার পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সকে পরাজিত করে খুলনা টাইটান্স।

অন্যদিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করার পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে পরাজিত করে চিটাগং ভাইকিংস। তৃতীয় ম্যাচে ফের পরাজয়ের বৃত্তে বন্দী হলো মিসবাহ-উল-হকের দল।

মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে খুলনা টাইটান্স। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৮ রান তুলতেই চার শীর্ষ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কার মুখে পড়ে চিটাগং ভাইকিংস। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে না পারা দলটি নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানে আটকে যায়।

চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে সিকান্দার রাজা সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন। মিসবাহ ৩০ রান করলেও খেলেন ৩৭ বল। এছাড়া রিকি লুইস ২২, তানভির হায়দার ১০ বলে ১৪ এবং এনামুল হক বিজয় করেন ১৮ রান।
খুলনা টাইটান্সের হয়ে আবু জায়েদ সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন জোফ্রা আর্চার, শফিউল ইসলাম ও ক্রেইগ ব্রাফেট।
১৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় চিটাগং ভাইকিংস।

আবু জায়েদের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লুক রনকি। পরের বলেই ক্রেইগ ব্রাফেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে রনকিকে অনুসরণ করেন সৌম্য।

দুই বলে দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই বিদায় নেন মুনারাবিরা। এবারও ঘাতক আবু জায়েদ। তার করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে রিলে রুশোকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুনারাবিরা।

পঞ্চম ওভারে এনামুল হককে ক্যাচ আউটের শিকার বানিয়ে চিটাগংকে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে দেন ব্রাফেট। পঞ্চম উইকেটে মিসবাহ ও সিকান্দার মিলে ৫৯ রানের জুটি গড়লেও রান রেটের সঙ্গে ঠিকমতো তাল মেলাতে পারেননি। দলীয় ৯৭ রানের মাথায় সিকান্দার এবং ১০৭ রানের মাথায় মিসবাহ ফিরে গেলে চিটাগংযের হার সময়ের ব্যাপারে পরিণত হয়। রিকি লুইস ও তানভির হায়দারের ব্যাটিং শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমায়।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনা টাইটান্সের। ২৯ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। তবে শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আরিফুল হক ও ক্রেইগ ব্রাফেটের দারুণ ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে খুলনা।

খুলনার হয়ে মাহমুদউল্লাহ এবং আরিফুল সমান ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। ব্রাফেট ১৪ বলে ৩০ এবং রিলে রুশো ২৬ বলে করেন ২৫ রান।

চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে তাসকিন আহমেদ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিলেও ৪ ওভারের স্পেলে ৪৩ রান দেন। এছাড়া সানজামুল ইসলাম দুটি ও দিলশান মুনারাবিরা ও শুভাশিষ রায় নেন একটি করে উইকেট।@শীর্ষ নিউজ।

Logo-orginal