, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

হেলমেট ব্যবহার না করলে মোটরসাইকেল স্টার্ট নেবেনা”

প্রকাশ: ২০১৭-১১-০৬ ১৪:৩৪:৩৯ || আপডেট: ২০১৭-১১-০৬ ১৪:৩৪:৩৯

Spread the love

হেলমেট ব্যবহার না করলে মোটরসাইকেল স্টার্ট নেবেনা"
হেলমেট ব্যবহার না করলে মোটরসাইকেল স্টার্ট নেবেনা”
নিউজ ডেস্কঃ হেলমেট পরে মোটরসাইকেল চালানোর আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা মানা হয় না। জরিমানা ও মামলার ভয় দেখিয়েও প্রশাসন সফল হচ্ছে না আরোহীদেরকে হেলমেট ব্যবহারে। তাই চালকদেরকে এটি ব্যবহারে বাধ্য করা যায় কিনা-এমন চিন্তা থেকেই নতুন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র মতিউর রহমান রিয়াত।

রিয়াত তার উদ্ভাবিত পদ্ধতির নাম দিয়েছেন স্মার্ট বাইক সিস্টেম। এই প্রযুক্তিতে হেলমেট ব্যবহার না করলে মোটরসাইকেল স্টার্ট নেবেনা। এমনকি নেশাগ্রস্থ থাকাবস্থায়ও মোটরসাইকেল চালানো সম্ভব হবে না।

রিয়াত ইলেকট্রনিক্স বিভাগের সপ্তম সেমিষ্টারের ছাত্র। বাড়ি দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার ছাতইল গ্রামে। বাবা ছাতইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মা ঝর্ণা বেগম একজন গৃহিনী। দুভাইয়ের মধ্যে রিয়াত বড়। ছোট ভাই ৯ম শ্রেণীর ছাত্র আতিকুর রহমান। রিয়াত ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখেন দেশ ও জাতির জন্য কিছু করার। এরপর থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি চালিয়ে যান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা।

ইতোমধ্যে ৬টি প্রজেক্টের সফল উদ্ভাবনীর জন্য জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হবার কৃতিত্ব। সর্বশেষ ২০১৬ সালে উইন্ড পাওয়ার মিলের জন্য জাতীয় পর্যায়ে ৩য় স্থান অধিকার করে রিয়াত। এবার সর্বশেষ রিয়াতের আবিস্কার করেছে ‘স্মার্ট বাইক সিস্টেম’।

এই প্রযুক্তিতে হেলমেটের সামনে একটি বায়ু সেন্সর বা ঘ্রাণ সংবেদনশীল যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। মোটরসাইকেলের নির্দিষ্ট স্থানে একটি ডিভাইসটি বসানো থাকবে। যা ওয়ারলেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হেলমেটে বসানো অপর ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত করা থাকে। চালক ওই নির্দিষ্ট হেলমেট মাথায় না পরলে বাইক চালু হবে না। ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছাকৃত কেউ যদি হেলমেট ছাড়া বাইক স্ট্যার্ট করতে চায় তাহলে বাইক থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বারবার বলা হবে ‘বাইকটি সক্রিয় করতে অনুগ্রহ করে হেলমেট ব্যবহার করুন। একই সঙ্গে ডিসপ্লেতেও লেখা উঠবে ‘হেলমেট ব্যবহার আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে। বাইকের ডিভাইসটি বাইক থেকে বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করবে। হেলমেটের ওপর থাকা সোলার কোষ থেকে হেলমেটের ডিভাইসটি বিদ্যুৎ পাবে। এছাড়া পেনসিল ব্যাটারি ব্যবহার করেও হেলমেটের ডিভাইসটি সচল রাখা যায়। এই প্রযুক্তি তৈরি করতে রিয়াতের খরচ হয়েছে এক হাজার টাকা। গত ৫ মাসের পরিশ্রমে তিনি পদ্ধতিটির সফল ব্যবহারে সক্ষম হয়েছেন।

চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকলেও বাইক চালু হবে না। প্রথম অবস্থায় স্টার্ট নিলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও সাময়িকভাবে মোটরসাইকেল চুরি হওয়া থেকেও রক্ষা করা যাবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে।

জেলা পর্যায়ে ‘স্কিলস কম্পিটিশন-২০১৭’ অনুষ্ঠিত হয় গত মাসে। সেখানে ১০টি উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মধ্যে রিয়াতের উদ্ভাবিত ‘স্মার্ট বাইক সিস্টেম’ প্রথম স্থান অধিকার করেছে। স্মার্ট বাইক সিস্টেমের জন্য বেশ কয়েকটি সম্মাননাও পেয়েছেন উদ্ভাবক।

কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল ড. মোঃ নুরে আলম বলেন, মোটরবাইক আরোহীদের বাধ্যতামূলক হেলমেট ব্যবহারে এই প্রযুক্তি ভাল ভূমিকা রাখতে পারে। সুত্রঃ যমুনা নিউজ।

Logo-orginal