, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

সেইদিন এরদোয়ানের হস্তক্ষেপে পাল্টে যায় কাতারের চিত্র

প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৭ ১১:১৮:১৭ || আপডেট: ২০১৭-১২-২৭ ১১:১৮:১৭

Spread the love

সেইদিন এরদোয়ানের হস্তক্ষেপে পাল্টে যায় কাতারের চিত্র,
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, মধ্যপ্রাচ্যে: সেইদিন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের হস্তক্ষেপে পাল্টে যায় কাতারের চিত্র। কাতার হাটতে থাকে এরদোয়ানের দেখানো পথে ।

২০১৭ সালের ৫ জুন সৌদি আরবসহ ৮টি দেশ একতরফাভাবে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং দেশটির বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে।

তখনি হতভম্ব কাতারের পাশে দাঁড়ায় তুরস্ক ও ইরান । সহানুভূতি জানিয়ে পাশে থাকার ঘোষণা দেয় মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ কুয়েত ও ওমান ।

কিন্তু পর্দার আড়ালে চলতে থাকে ভিন্ন ষড়যন্ত্র, অবরোধের পর সামরিক হস্তক্ষেপ ও অভ্যূত্থান ঘটিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে কাতারের আমীর শেখ তামিমকে ।

কাতারে তুর্কি সেনা

তুরস্কের বিশিষ্ট লেখক ইয়েনি সাফাকের বিশিষ্ট সাংবাদিক মুহাম্মাদ আসিদের লিখিত একটি গ্রন্থে কাতারে সেনা অভ্যূত্থান নিয়ে সব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

ঐ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, অভ্যূত্থানের পরিকল্পনা হিসেবে কাতারের বর্তমান শাসক আমির শেখ তামিম হটিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি-আমিরাত।

তামিমের পরিবর্তে লন্ডনে অবস্থারত তামিমের ভ্রাতুষপুত্রকে বেছে নেয়া হয় নতুন আমির নিযুক্ত করার জন্য। যে আমির সৌদিপন্থি বলে পরিচিত।

অভ্যূত্থানরাতে কাতারে অবস্থানরত তুরস্কের প্রসিদ্ধ লেখক ইয়েনি সাফাকের বিশিষ্ট সাংবাদিক মুহাম্মাদ আসিদ কাতারে সেনা অভ্যূত্থান নিয়ে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। বইটির নাম দেন কাতারে সেনা অভ্যূত্থান ব্যর্থ করতে তুরস্কের ভূমিকা।

বইয়ে মুহাম্মাদ আসাদ লেখেন, সৌদি জোটের অবরোধ ঘোষণার পরবর্তী কয়েক ঘন্টায় কাতারে সেনা অভ্যূত্থান পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি-আমিরাত। আকস্মিক হামলা চালানোর জন্য কাতারের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাহরাইন সীমান্তে আমিরাতের নৌবাহিনী এবং পদাতিক বাহিনী ক্যাম্প বসায়।

আমিরাতের বাহিনী কাতারের নৌবন্দর এবং হামাদ বিমানবন্দর দখলে নেয়ার পরিকল্পনা নেয়। স্থল অভিযানের দায়িত্ব সৌদির হাতে দেয়া হয়। পাশাপাশি নির্দেশনা জারি করা হয়, অন্য কোন রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী যেন কাতারে আসতে না দেয়া হয়। এবং কাতারের আমিরের বাসভবনের কাছে যেন কোন সেনাপক্ষ অবস্থান না নেয়।

কিন্তু এসব পরিকল্পনা তখন ভেস্তে যায় যখন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান গোয়েন্দাসূত্রে এসব তথ্য জানতে পারেন। তড়িঘড়ি করে প্রেসিডেন্ট এরদোগান তুর্কি পার্লামেন্টে কাতারে সেনাঘাঁটি স্থাপনের অনুমোদন চান। অবরোধ ঘোষণার দিনেই (কাতারে তখন রাত) তুর্কি পার্লামেন্ট কাতারে সেনাঘাঁটি স্থাপনের অনুমোদন দেয়। ফলে দ্রুতই এরদোগান কাতারে চৌকশ তুর্কি সেনাদল পাঠিয়ে দেন।

এরদোগানের নিদের্শ পেয়ে পরের দিন তুর্কি সেনাদল কাতারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র মহড়া শুরু করে। ট্যাংক বহর নিয়ে কাতারের অলিগলিতে বিচরণ শুরু করে। এতেই ভেস্তে যায় সৌদি জোটের মহাপ্লান।

তুরস্কের এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয় সৌদি-আমিরাত। কিন্তু সৌদি জোটের করার কিছু ছিল না ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করা ছাড়া।


তুর্কি লেখক মুহাম্মাদ আসিদ

তুর্কি লেখক মুহাম্মাদ আসিদ জানান, তুরস্ক যদি সঠিক সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত না নিতেন এবং কাতারে সেনা না পাঠাতেন তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা এখন অন্যরকম হতো।

সৌদিজোট ভালেকরেই জানে, কাতারে তুরস্কের উপস্থিতি তাদের যেকোন সেনা অভ্যূত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবেসিত হবে।

Logo-orginal