, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আবারো হারলো জিম্বাবুয়” জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২০১৮-০১-২৩ ১৯:৪২:৪৬ || আপডেট: ২০১৮-০১-২৩ ১৯:৪২:৪৬

Spread the love

আবারো হারলো জিম্বাবুয়” জিতল বাংলাদেশ
ক্রীড়া ডেস্কঃ জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে নিজেদের প্রথম দেখাতে অনায়াসেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালও নিশ্চিত হয়ে যায় তাতে। কিন্তু মঙ্গলবার আগে ব্যাট করে মাত্র ২১৬ রানের পুঁজি গড়ার পর সামান্য শঙ্কার মেঘ জমা বাঁধতে থাকে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের মনে। কিন্তু তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের ফিফটিতে টাইগারদের ৯ উইকেটে গড়া ২১৬ রানের স্কোরটাই জিম্বাবুয়ের জন্য এদিন পাহাড় সমান হয়ে দাঁড়ালো। ব্যাট হাতে ফিফটির পর বল হাতে এদিনও ৩ উইকেট নিলেন আগের দুই খেলার ম্যান অব দ্যা ম্যাচ সাকিব। ২টি করে উইকেট নিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সানজামুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান। তাতে ৩৬.৩ ওভারে ১২৫ রানেই গুঁড়িয়ে গেল জিম্বাবুয়ের ইনিংস। লো স্কোরিং ম্যাচেও বাংলাদেশের ৯১ রানের জয়টাকে দাপুটে না বলে উপায় আছে কি?

২১৭ রানের লক্ষ্য দিয় বোলিংটা যেমন হওয়া চাই তেমনই হলো। দুই দুই জন বোলার জাগালেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। প্রথমে সাকিব আল হাসান, পরে সানজামুল ইসলাম। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সাকিবকে দিয়ে বোলিং শুরু করালেন। অন্য প্রান্তে নিজে। মোস্তাফিজুর রহমান বা রুবেল হোসেনের মতো স্ট্রাইক বোলারদের হাত ঘোরানোর পালা এলো বেশ পরের দিকে। সেখানে মোস্তাফিজ নিজের বোলিং শুরু করলেন কিনা টানা ২৩ বল ডট দিয়ে। শটস সিলেকশনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের ফ্রন্ট ফুট-ব্যাক ফুটের সিদ্ধান্ত নিতেও নিশ্চয়ই ইনিংস জুড়ে বুক কাঁপানো অবস্থা তখন।

একমাত্র সিকান্দার রাজাই যা ভয়-ডরহীন ব্যাটিং করতে চাইলেন। কিন্তু টাইগার বোলাররা তা হতে দিলে তো। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে প্লেড অন হয়ে ফিরতে হলো তাকে ৩৯ রান করে। জিম্বাবুয়ের অস্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেন রাজা। এরপর তেন্দাই চাতারাকে ফিরিয়ে সাকিব নিজের ৩ উইকেট পূরণ করেন। ১০ রান করা জার্ভিসকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুড়িয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান।

এরআগে ১৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। ইদানিং নেতৃত্বগুন বা মাঠের বাইরের অন্য অনেক কিছুতেই যার বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা হয় না খুব একটা, সেই মাশরাফি এদিনও প্রমাণ করলেন কেন এখনো দেশের সেরা পেসারে কাতারে তার নামটা রাখা যায় অবলিলায়। ১১ রান করা ক্রেইগ আরভিনকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানিয়ে সেটি আরো বেশি করে প্রমাণ করেন মাশরাফি। আরভিন চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেছেন। মাঝে পর পর দুই বলে সলোমন মিরে (৭) ও ব্রেন্ডন টেলরকে (০) ফিরান সাকিব। সপ্তম ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট পেয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাটা অবশ্য বাস্তবে পরিণত করতে পরেননি সাকিব।

এরপর সানজামুলও পর পর দুই উইকেট নিয়ে একই কাজ করলেন। শুরু থেকেই উইকেট পাওয়ার আকুলতা ছিল সানজামুলের শরীরী ভাষায়।বেশ খানিকটা অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে। চতুর্থ আর পঞ্চম উইকটের মাঝে জিম্বাবুয়ে খেলেছে ৭৯ বল। সিকান্দার রাজা ও পিটার মুরের ৩৪ রানের জুটি হয়েছে তাতে। মুরকে (১৪) ফিরিয়ে সামজামুল সেটি ভাঙ্গতেই জিম্বাবুয়ের সব সম্ভাবনা শেষ সেখানেই। ওয়ালারকে (০) ফিরিয়ে সানজামুল হ্যাটট্রিকের আশা জাগালেন। এরপর ২৩ রান করা গ্রায়েম ক্রেমার শিকার হন রুবেল হোসেনে।সুত্রঃ পরিবর্তন ডটকম।

Logo-orginal