, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন স্থগিত হওয়া নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন

প্রকাশ: ২০১৮-০১-১৯ ১৮:৪০:০০ || আপডেট: ২০১৮-০১-১৯ ১৮:৪০:০০

Spread the love

ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন স্থগিত হওয়া নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে উপ নির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ উভয় সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও ১২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর নির্বাচন স্থগিত করেছেন আদালত। আলাদা রিট আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার উত্তর সিটি নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এর একদিন পর, দক্ষিণ সিটির নির্বাচনও স্থগিত হয়ে যায়।

নির্বাচন স্থগিত হওয়া নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন। এজন্য পরস্পরকে দায়ী করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সরকারপক্ষের দাবি, বিএনপি নেতার রিটের কারণেই স্থগিত হয়েছে নির্বাচন, এতে সরকারের কোন হাত ছিল না। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, সরকার নির্বাচন চাইছিল না বলেই আদালতের মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করেছে।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ মহসীন আলী বলেন, কোন নির্বাচনী এলাকায় নতুন এলাকা সংযোজন হলে, তার বিভিন্ন দিক আইনী প্রক্রিয়ায় গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হয়। ঢাকার দুই সিটিতে যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিক্রম ঘটেছে। ফলে এ নিয়ে আদালতে গেলে নির্বাচন স্থগিত হবে, এটাই স্বাভাবিক। সরকারও এটা জানতো, কিন্তু এখন তারা নির্বাচন চাইছিল না বলেই আদালতের মাধ্যমে তা সিদ্ধ করে নেয়। কেননা দুই এক মাস সময় নিয়ে এসব আইনী জটিলতা নিরসন করা সম্ভব ছিল।

ভোটার তালিকা প্রস্তুত না হওয়া, কাউন্সিলরদের মেয়াদকাল উল্লেখ না থাকা, ইউপি চেয়ারম্যানের অব্যাহতি সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ না হওয়া, এমন আইনি যুক্তি তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন উত্তর সিটিতে যুক্ত হওয়া দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। রিটকারী বেরাইদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবং ভাটারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। আর দক্ষিণ সিটি নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট করেন ডেমরার ভোটার মোজাম্মেল হোসেন মিয়া।

আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপ নির্বাচন এবং দুই সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি করে ৩৬ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের ১২ কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য গত ৯ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সেখানে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল।#পার্সটুডে।

Logo-orginal