admin
প্রকাশ: ২০১৮-০১-২২ ১২:২৯:৩০ || আপডেট: ২০১৮-০১-২২ ১২:২৯:৩০
চট্টগ্রাম মহনগর ছাত্রলীগের কর্মী চট্টগ্রাম সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী ফারজানা আক্তার মিশুর ওয়াল থেকে নেওয়া।
বিদ্যানন্দীনির কাছে খোলা চিঠি
প্রিয় নেত্রী,
পত্রের প্রথমে সালাম নিবেন।আশা করি ভালো আছেন।মহান আল্লাহ তালার কাছে সব সময় একটি প্রার্থনাই করি বাংলাদেশকে বিকাশিত করতে এবং বাংলার ২০কোটি মানুষকে আলোকিত করতে আল্লাহ যেন আপনাকে ভালো রাখেন।
প্রিয় নেত্রী,
বাংলাদেশ এবং তথা সারা বাংলার অহংকার আপনি।
প্রিয় নেত্রী আজ অনেক কষ্ট নিয়ে এই চিঠি লিখছি আমি জানি না এই চিঠি আপনার কাছে পৌছাবে কিনা?তারপরও বুকের জমানো সকল কষ্ট চিঠির মাধ্যমে আপনাকে জানালাম।
প্রিয় নেত্রী,আপনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর একমাত্র অভিবাবক।প্রিয় নেত্রী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর এমন অনেক ইউনিট আছে যেখানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও দিন রাত পরিশ্রম করছে প্রাণের সংগঠনের জন্য।আর হয়তো এই কথাটা আপনার চেয়ে ভালো আর কেউ জানবে না।প্রিয় নেত্রী আপনি সব কিছুর খবর রাখেন আর আমি জানি আপনি কখনো অন্যায় হতে দিবেন না।
প্রিয় নেত্রী নারী উন্নয়নের জন্য যেখানে আপনি প্রতি নিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন সেখানে কেন নারীকে তার যোগ্যতা থাকার সর্তে ও মূল্যায়ন করা হয় না?কেন প্রতি নিয়ত নারীদেরকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় সে একজন নারী?প্রিয় নেত্রী আমি আপনাকে দেখে শিখেছি কীভাবে হাজার কষ্টের মাঝে যুদ্ধ করে জয় হতে হয়।আমি আর কারো কথা জানি তবে নারী আইডল হিসেবে আমি সব সময় আপনাকে লহ্ম্য করি।প্রিয় নেত্রী আমরা জানি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়ন পিছনে আপনার গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রিয় নেত্রী বাংলাদেশের নারী অগ্রযাত্রার উদাহরণ হিসেবে আমরা দেখেছি আমাদের মাননীয় স্পীকার শিরিন শারমিন আপাকে,কৃষিমন্ত্রী মতিয়া আপাকে,টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তারানা হালিম আপাকে,ড. দীপু মনি আপা সহ আমাদের ছাত্রলীগের সাবেক বড় বোনদেরকে যাদের অবস্হান দেখে বুঝা যায় আপনি নারীদের অগ্রাধিকার নিয়ে কতটা সোচ্চার।
প্রিয় নেত্রী আমরা ঢাকার বোনদেরকে দেখি বাংলাদেশে ছাত্রলীগ এর বিভিন্ন পদ-পদবী পেতে কিন্তু দুখের বিষয় হলো চট্টগ্রামের মেয়েরা চট্টগ্রাম এর রাজপথে অক্লান্ত শ্রম দেওয়ার পরেও তাদের কপালে “ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা”এই পদবীটা ছাড়া আর কিছুই জুটে না আর যদি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এর কথা চট্টগ্রামের মেয়েদের হ্মেত্রে আসে তাহলে সদস্য পদ ছাড়া আর কিছুই পায় না চট্টগ্রামের মেয়েরা আর তার চেয়ে দুঃখজনক হলো এটি নিয়ে মত প্রকাশ করতে গেলে শুনতে হবে তুমি তো মেয়ে তোমার উচ্চ পদবীর প্রয়োজন নাই!কিন্তু প্রিয় নেত্রী আমার প্রশ্ন -আমি যখন রাজপথে শ্রম দিচ্ছিলাম তখন তো কেউ আমাকে বলে নাই যে তুমি মেয়ে তুমি সংগঠন করতে পারবা না! তাহলে কেন পদ-পদবীর হ্মেত্রে একজন নারীকে নারী হওয়ার দোহাই দিয়ে তার যোগ্যতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়?কেন চট্টগ্রামের মেয়েদের কে রাজপথে সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করা হয় না? প্রিয় নেত্রী যদি এমনি চলতে থাকে তাহলে চট্টলার রাজপথে থেকে সময়ের সাথে নারী কর্মীরা হারিয়ে যাবে আর এটি আমাদের জন্য মোটেও সুফল নয়!
তাই আপনার কাছে একটায় চাওয়া চট্টলার নারী রাজনীতি যেন কোন রকম “দোহাই”র কাছে কুলষিত না হয়।
চিঠির লিখা বা কথায় যদি কোন রকম ভুল হয়ে থাকে তাহলে তা হ্মমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ইতি
আপনার একজন হ্মুদ্র নিবেদিত প্রাণকর্মী
ফারজানা আক্তার মিশু
চট্টগ্রাম সরকারী সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
(নোট: খোলাচিঠির বক্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত । ইহার জন্য কতৃপক্ষ বা সম্পাদকের কোন দায়বদ্ধতা নাই।)