, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের আশা বাদ দিয়ে হার এড়ানোর চিন্তা টাইগারদের

প্রকাশ: ২০১৮-০২-০৩ ১৪:৫৮:০২ || আপডেট: ২০১৮-০২-০৩ ১৪:৫৮:০২

Spread the love

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের আশা বাদ দিয়ে হার এড়ানোর চিন্তা টাইগারদের
ক্রীড়া ডেস্কঃ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে শেষ প্রশ্ন আপনি জয়ের আশা করছেন? খানিকটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সুজন বলেন, ‘নট রিয়েলি।’ জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সুজনের জবাবটা ছিল সংক্ষিপ্ত। তার এই জবাবে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে টাইগারদের হতাশার চিত্রটাই ফুটে উঠেছে। জয়ের আশা বাদ দিয়ে সুজনের ভাবনায় এখন হার এড়ানোর চিন্তা। অথচ চট্টগ্রাম টেস্ট জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৫১৩ রানের পুঁজিও গড়েছিলো স্বাগতিকরা। বড় পুঁজি নিয়ে বোলারদের সুযোগ ছিল জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করার। তবে এখন প্রশ্ন হলো কি রেজাল্ট হবে এই টেস্টের?

কিন্তু তাদের সাদামাটা বোলিং ও লঙ্কানদের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে জয়ের সম্ভাবনা ফিকে হয়ে গেছে। এরিমধ্যে ৩ উইকেটে হারিয়ে ৫০৪ রান তুলে নিয়েছে সফরকারী। আজ চতুর্থ দিনে লঙ্কানরা চাইবে প্রথম ইনিংসে লিডটা বড় করতে। সেটা করতে পারলে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে তাদের। তৃতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কা ভালো অবস্থানে থাকলেও খালেদ মাহমুদ মনে করেন ম্যাচটা এখনো উন্মুক্ত, ‘শ্রীলঙ্কা ভালো অবস্থানে আছে। তবে দুই দলের খেলা বাকি এখনো। কালকের দিনটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কত দ্রুত ওদের অলআউট করতে পারি, লিডটা কত বড় হয়, সেটাই হচ্ছে কথা। আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং অনেক ভালো করতে হবে। ম্যাচ এখনো উন্মুক্ত আমি মনে করি। উইকেট যদিও ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো আছে এখনো।’ মজাটা হচ্ছে, প্রথম দিনে ভালো ব্যাটিংয়ের পর বাংলাদেশ চেয়েছে দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে উইকেট হয়ে উঠবে পুরোপুরি স্পিন-সহায়ক। এখন ঠিক তার উল্টো। অন্যদিকে এ ম্যাচে ব্যাট হাতে টাইগাররা দারুণ সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু নিজেদের ভুলেই সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বলেও স্বীকার করে নেন তিনি। সুজন বলেন,‘টেস্ট ম্যাচে এমন সুযোগ কমই আসে। আমরা যদি এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারতাম ভালো হতো। কিন্তু ভাগ্যও হয়তো আমাদের সহায় ছিল না। ক্যাচ মিস করেছি, রান আউটের একটা সুযোগ ছিল। ফিল্ডিংটা আরো ভালো হতে পারতো। ক্যাচগুলো ধরতে পারলে ভালো হতো। আম্পায়ারের কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে আসেনি। সব মিলিয়ে ভাগ্যের একটা ব্যাপার ছিল। ফিল্ডিংটা ভালো করতে পারলে ওদেরকে বেঁধে রাখা যেত। আমাদের আসলে স্পেশালিস্ট ফিল্ডার দরকার।’

এছাড়াও ৫১৩ রান করার পরও সুজনের আক্ষেপ ঝরেছে ব্যাটিং নিয়েও। তিনি বলেন, ‘এরকম উইকেটে ভালো একটা টার্গেট নিয়ে ব্যাটিং করেছি। প্রথম দিন ৪ উইকেটে ৩৭৪ যেটা হয়েছে সেটা আসলে ২ বা ৩ উইকেটে হতে পারতো। শেষের দিকে একটা রান আউট আমাদের জন্য কস্টলি হয়েছে। ভুল শট না খেললে হয়তো বা ছয়শ’র মতো করতে পারতাম। মুমিনুল, মুশফিক, তামিম, ইমরুল ভালো ব্যাট করেছে। আমরা ডমিনেট করেছি। ছোট ছোট ঘটনাগুলো যদি না ঘটতো তাহলে হয়তো প্রথম ইনিংসে আমরা আরো বেশি স্কোর করতে পারতাম।’ এছাড়াও নিজেদের সমালোচনা উঠেছে অভিজ্ঞ রাজ্জাককে চারবছর পর দলে ডেকেও না নেয়ার। আর বোলিং আক্রমণটা নিয়ে প্রশ্নও কম নয়। এ নিয়ে দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর অবশ্য অন্য ব্যাখ্যা দিলেন। তিনি বলেন, ‘রাজ্জাককে না নেয়ার তেমন বিশেষ কোনো কারণ নেই। সে যেহেতু আন্তর্জাতিক ফিগার। সে এতদিন আমাদের সঙ্গে ছিল না। সে সেটআপের সঙ্গেই অনেক দিন ধরে নেই।

কিন্তু সেটআপের কারণে অথবা সানজামুলের প্রতি টিমের আস্থা বেশি ছিল সে কারণে তার কথাই আমরা চিন্তা করেছি।’
এছাড়াও সুজন অকপটে স্বীকার করেছেন লঙ্কাই এখন চালকের আসনে। সেই সঙ্গে শেষ দুদিন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ও ঝরে তার কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন শুরু করেছিলাম তখন জয়ের লক্ষ্যেই খেলা শুরু করেছি। ম্যাচের এই পর্যায়ে হয়তো নিয়ন্ত্রণটা শ্রীলঙ্কার হাতে। তাদের সেট ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করছে। কালকে সকালটা অনেক কিছু বলে দেবে ম্যাচের কন্ট্রোল কার কাছে থাকবে। # এমটিনিউজ২৪,

Logo-orginal