, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আলেম সমাজের উজ্জ্বল নক্ষত্র মরহুম হযরত আলহাজ্ব শাহ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুছ (রহ:)

প্রকাশ: ২০১৮-০৩-২০ ১৪:০১:০২ || আপডেট: ২০১৮-০৩-২০ ১৪:০১:০২

Spread the love

আলেম সমাজের উজ্জ্বল নক্ষত্র মরহুম হযরত আলহাজ্ব শাহ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুছ (রহ:)
লোহাগাড়া, চট্টগ্রামঃ আলেম সমাজের উজ্জ্বল নক্ষত্র মরহুম হযরত আলহাজ্ব শাহ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুছ (রহ:)

হাফেজ মাওলানা আবদুল বারী মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
★ভূমিকা:-
বাংলাদেশে চট্টগ্রাম জেলা অলি-আউলিয়া ও দ্বীন ইসলামের জন্য বিখ্যাত।চট্টগ্রামের মধ্যে লোহাগাড়া -সাতকানিয়া উপজেলা আলেম-ওলামা ও পীর বুজর্গের জন্য সু-প্রসিদ্ধ। যুগে যুগে এখানে তাশরীফ এনেছেন ইসলাম প্রচারক সুফী সাধকগন।এ উপজেলা সমূহে জম্ম হয়েছে অসংখ্য অলী আল্লাহ ও পীর মাশায়েখ। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গারাংগিয়া দরবারের বড় হুজুর ও ছোট হুজুর।এই দরবারের অন্যতম মহান সাধক হযরত বড় হুজুর (রহ:) এর বাগানের অসংখ্যা ফুলের মধ্যে একটি ফুল হচ্ছে ধলিবিলার মরহুম হযরত আলহাজ্ব শাহ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুছ (রহ:)

★জম্ম:-
মরহুম হযরত অালহাজ্ব শাহ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুছ (রহ:) ১ লা জানুয়ারী ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ধলিবিলা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মিয়াজি পরিবারে জম্মগ্রহণ করেন।তাঁর পিতার নাম আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইসমাঈল মিয়াজি।তাঁর মাতার নাম ছায়েরা খাতুন।তারা ২ ভাই ১ বোন।ভাইবোন সবার মধ্যে তিনি সবার বড়।

★শিক্ষা জীবন:-
ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে মাওলানার পাঠ্য জীবন শুরু হয়।বিশেষ করে বাড়ীর আশে-পাশে ফোরকানিয়া মাদ্রাসা না থাকায় বাড়ী থেকে প্রায় ৫ কি: মি: দুরে পদুয়া বাগমুয়া প্রসিদ্ধ আলেমেদ্বীন মরহুম মাওলানা মুহাম্মদ হাসমত সাহেবের কাছ থেকে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে আমিরাবাদ রাজঘাটা বলিরো মাদরাসায় ভর্তী হয়ে সেখানে কয়েক বছর অধ্যায়ন করেন।আবার,সেখান থেকে গারাংগিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসায় ভর্তী হয়ে সেখান থেকে দাখিল,আলিম,ফাযিল ও কামিল পাশ করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি একজন মেধাবী ছাএ ছিলেন।তার বাংলা,ইংরেজী ও আরবী হাতের লিখা খুবই সুন্দর ছিল।তা-ছাড়া তিনি আরবী,ফার্সি, উর্দু সাহিত্য,মোনতেক,দর্শন শাস্ত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহে শিক্ষা লাভ করেন। শিক্ষাক্ষেএে সাফল্যের পাশাপাশি তিনি ছিলেন অন্যায়,অবিচার,নিপীড়ন ও পাপাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার।তা – ছাড়া তিনি তার জীবদ্দশায় অসংখ্য গানের আসর বন্দ করেছেন।
★কর্মজীবন:-
দ্বীনি শিক্ষার সার্কিক দিকে পূর্ণতা হাসিলের পর তিনি শিক্ষাকতাকেই সর্বপ্রধান ও সর্বপ্রথম পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন।তিনি একদিকে ছিলেন ফোরকানিয়া মাদরাসার শিক্ষাক অপরদিকে ছিলেন ধলিবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাক। তা-ছাড়া তিনি শিক্ষাকতার জীবনে আঁধারমানাক প্রাইমারী,দোহাজারী খাকরিয়া প্রাইমারী,বাগমুয়া প্রাইমারী স্কুল সমূহে কিছুদিন শিক্ষাকতা করেন।তিনি
সর্বশেষ ধলিবিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাকতার মাধ্যমে কর্মজীবনের ইতি টানেন।
আবার শিক্ষাকতার পাশাপাশি ধলিবিলা অছিয়র রহমান চৌধুরী জামে মসজীদের আজীবন পেশ ইমাম ও খতীবের মহান পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তার জীবনে ফোরকানিয়া মাদরাসার চাকরী ও মসজীদের খতীবের চাকরীর জন্য এলাকার মানুষের কাছ থেকে কোনো বেতন ভাতা গ্রহণ করেননি। শুধুমাএ এই দুইটি পেশা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই আমৃত্যু পর্যন্ত করে যান।আল্লাহ তাকে উওম জাযাদান করুক।আমিন।

★আধ্যাত্মিক জীবন:-
ছাএ জীবনে গারাংগিয়া মাদরাসার থাকাকালে তাঁর কাছ থেকে তরিকতের শিক্ষা গ্রহণ করেন।তিনি আমৃত্যু পর্যন্ত এই তরিকতের কাজ চালিয়ে যান।প্রতিদিন বাদে মাগরিব ফাতেহা শরীফ,বাদে ঈশা ও বাদে ফজর খতম শরীফ সহ তরিকতের বিভিন্ন ছবক গ্রহণ করেন। তিনি আধ্যাত্মিক জীবনে গারাংগিয়া দরবারের সিপাহসালার হযরত শাহ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ (রহ:),আবদু রশিদ (রহ:),চুনতির শাহ সাহেব কেবলা (রহ:),বাইতুশ শরফের পীর আবদুল জব্বার (রহ:),মুজাহিদে আজম মরহুম ছিদ্দীক আহমদ আজাদ (রহ:) ও মাওলানা আবুল হাসনাত (রহ:) প্রমুখের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছিলেন।তা-ছাড়া অাবদুল হাই পীর সাহেব তার খুব ঘনিষ্ট বন্দু ছিলেন।

★পবিএ হজ্জপালন:-
তাঁর জীবদ্দশায় আল্লাহ ও তার রাসূলের ঘর তথা মক্কা-মদীনা একে একে দুইবার পবিএ হজ্ব পালন করেছেন।

★শিক্ষাক্ষেএে তার অবদান:-
মরহুম হযরত শাহ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুছ (রহ:) ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী ও গ্যানপিপাসু। দ্বীনি শিক্ষার প্রসার,কোরান পাকের হেফাজতে তাঁর অপরিসীম অবদান রয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক
১.ফোরকানিয়া মাদরাসা,
২.মসজীদ,
৩.এতিমখানা,
৪.হেফজখানা,
৫.নূরানি খানা,
৬.এবং উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেএে তার অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে।
বিশেষ করে
পদুয়া আইনুল উলুম দারুচ্ছুন্নাহ ফাযিল মাদরাসা।
আঁধার মানিক হেফজ খানা,
আঁধার মানিক উচ্চবিদ্যালয়,
এবং,
তার প্রতিষ্ঠিত ফোরকানিয়া মাদরাসা উল্লেখযোগ্য।

ধলিবিলার আপামর জনসাধারণের কোরআন শিক্ষার প্রদানের জন্য ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ধলিবিলা ফোরকানিয়া হামেদিয়া মজিদিয়া সালামিয়া মাদরাসা।যেই সময় আশে পাশে আর কোন ফোরকানিয়া মাদরাসা ছিল না।

অএ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা,
মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা,
নির্মাণ,
সস্কার,
পাকাকরণ,
মাদরাসার চতুর্দিকে দেওয়াল নির্মাণ,
মাদরাসার জন্য প্রায় দুইখানি জায়গা ক্রয় সহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজে তার অসমান্য পরিশ্রম ও অবদান রয়েছে।যার অবদান এলাকাবাসি কখনো ভূলতে পারবে না।

তিনি প্রায় সময় বলতেন এ প্রতিষ্ঠান তাঁর পরকালে নাজাতের উছিলা হবে।সেই কারণেই তিনি জনগনের সহযোগিতা নিয়ে অএ প্রতিষ্ঠানের বাস্তব রুপ দান করেন।আর,এটাই হল সত্যিকার আশেকে রাসূলের নিদর্শন।

★সাদাসিদে জীবন:-
তিনি অত্যন্ত সাদাসিদে জীবন পছন্দ করতেন।খাওয়া-দাওয়া,চলা-ফেরা,চাল-চলন,লেন-দেন,ওঠা-বসা,এমন কি সব সময় তিনি নিজেকে খুব ছোট মনে করতেন।কোনো ধরনের অহংকারী ভাব, হিংসা-বিদ্বেশ,লোভ ও রিয়ার ভাব তার মধ্যে ছিল না।

যার কারণে সকল প্রকার মানুষ জাতী,ধর্ম,বর্ণ,নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক ব্যাক্তি সহ সকলে হুযুরকে সম্মান করতেন,মুহাব্বত করতেন,এবং তার জন্য হাদিয়া নিয়ে আসতেন।সকল মানুষেরা তার কাছে দোয়ার জন্য ছুটে আসতেন।
তার জীবনে কখনো কোনোদিন ৩ বেলা খাবার গ্রহণ করতেন না,সব সময় দৈনিক ২ বেলা খাবারই গ্রহণ করতেন।এটা ছিল তার ফিতরত।
এই ফিতরত থেকে কেউ তাকে এক বিন্দু নড়াতে পারতো না,শুধু তাই নয়,খাবারের ক্ষেএে এক ধরনের আইটেম খুবই পছন্দ করতেন।

কেউ তাকে বেশি করে খাওয়ার আবদার করল,
কেউ তাকে বেশি করে খাওয়ার আবদার করলে তার সাথে রাগ করে বলতেন–দউওয়্যা।(চিটিংগ্যা ভাষা)।
অর্থাৎ,
আমি খেতে পারবো না।

খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেএে চা,এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খুবই পছন্দ করতেন।সব সময় তিনি অল্পতে তুষ্ট থাকতেন।তার ব্যবহারিক জীবনে দুটি পান্জাবীর চাইতে বেশি ক্রয় ও করতেন না,কেউ দিলেও পছন্দ করতেন না। এ সব কিছু তিনি অপচয় মনে করতেন।

তার ব্যবহারিক জীবন ছিল খুবই পরিচ্ছন্ন।যার কারণে তার মৃত্যুর পর কোনো মানুষ একটি পয়সাও পাওনাদার ছিল না বরং তার টাকা অনেক মানুষ থেকে পাওয়া গেছে।
হর
তিনি মনে করতেন, যে জীবন আল্লাহর জন্য, সে জীবনতো দুনিয়ার মায়ায় জড়িয়ে পড়তে পারে না।

★বৈবাহিক জীবন:-
মরহুম হযরত আলহাজ্ব শাহ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুছ (রহ:) এর বৈবাহিক জীবনে ৪ ছেলে আর ৫ মেয়ে সহ সর্বমোট ৯ জন সন্তান সন্ততি রেখে মারা যান। ৫ মেয়ে আর প্রথম ৩ ছেলের বিবাহ বন্ধন তার জীবদ্দশায় সুসম্পন্ন করে যান তবে সর্ব কনিষ্ঠ ছেলে ব্যাতিত।তা-ছাড়া সকল ছেলে মেয়েদেরকে দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিক করে গড়ে তুলেন।

১/তার মধ্যে সবার বড় ছেলে :-
মাওলানা মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দীক। সে পদুয়া মাদরাসা থেকে দাখিল, চট্টগ্রাম বাইতুশ শরফ কামিল মাদরাসা থেকে আলিম,ফাযিল, কামিল পাশ করেন।
তা-ছাড়া,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স,মাস্টার শেষ করে বর্তমানে ফ্লোরা লিমিটেড নামক একটি উন্নত মানের বেসরকারি কোম্পানির মেইন হেড অফিসের সেকেন্ড অফিসারের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।

২/তার মেঝো ছেলে মুহাম্মদ আলা উদ্দীন ছিদ্দীক :-
সে একজন প্রতিবন্ধী (বোবা)।সে বর্তমানে পদুয়া একটি চাকরীরত আছেন।

৩/তার সেজো ছেলে মুহাম্মদ আবু রাশেদ সিদ্দিক:-
সে পদুয়া মাদরাসা থেকে দাখিল ও চট্টগ্রাম বাইতুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসা থেকে পর্যায়ক্রমে আলিম,ফাযিল, কামিল পাশ করেন। অপর দিকে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে অনার্স মাস্টার শেষ করে বর্তমানে ফ্লোরা লিমিটেট লালখান বাজার শাখায় একাউন্ট অফিসার হিসাবে চাকরীরত আছেন।

৪/তার ছোট ছেলে হাফেজ মাওলানা আবদুল বারী মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
সে হাফেজী শেষ করে পদুয়া মাদরাসা থেকে দাখিল আধুনগর ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা থেকে আলিম ও ফাযিল শেষ করেন। বর্তমানে সে চুনতি হাকেমিয়া কামিল মাদরাসায় কাগগমিল ১ম বর্ষ ফায়নাল পরীক্ষার্থী।
এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম কলেজে অনার্স ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত।বর্তমানে সে ধলিবিলা কেন্দ্রীয় জামে মসজীদের খতীব ও ফোরকানিয়া মাদরাসার পরিচালকের দায়িত্বে আছি।

শিকরিয়ার বিষয় হচ্ছে,
মরহুম হযরত আলহাজ্ব শাহ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুছ (রহ:) এর ৪ সন্তানের মধ্যে ৩ জনই হাফেজ এবং আলেম।তার ছেলের ঘরের ৭ নাতি নাতনি এবং মেয়ের ঘরের ১৮জন নাতি নাতনি সর্বমোট ২৫ জন নাতি নাতনি রয়ছে।
তার মধ্যে ২য় মেয়ের একজন নাতি হোসাইন মুহাম্মদ সোহেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে একজন জুটিসিয়াল মেসিস্ট্রেট পদে উন্নিত হয়েছেন।

তা-ছাড়া আরো ২ জন মেয়ের ঘরের নাতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন রত আছেন।আরেকজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া-লেখা করেন।বাকীরা সবাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত আছেন।

★ইন্তেকাল:-
দ্বীর্ঘ দুই মাসের কাছাকাছি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর হুজুরের কথা অনুযায়ী নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়।নিজ বাড়ীতে প্রায় এক সাপ্তাহ পরে ২৯ শে জানুয়ারী ২০২৫ সালে রোজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তার পবিএ জবান থেকে আল্লাহ আল্লাহ জিকির জারী হয়ে যায়।

সর্বশেষ,
২৯শে জানুয়ারী ২০১৫ সালে রোজ বৃহস্পতিবার আছরেরর পর পর মাগরিবের আগে আগে দু’আ কবুল হওয়ার সময়ে দুনিয়ার সকল মায়া ত্যাগ করে মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে শেষ নি:শেষ ত্যাগ করেন।
ইন্নানিল্লহি…….

পরেরদিন,
জোমাববার বিকাল ৩ ঘটিকার সময় ধলিবিলা সরকারি প্রাথমিক বদ্যালয়ের মাঠে মরহুমের জানাযার নামায অনুষ্টিত হয়।তার বড় ছেলে মাওলানা আবু বকর ছিদ্দীক পিতার জানাযার নামাযের ইমামতি করেন।

★জানাযার মাঠের দৃশ্য:-
জানাযায় নামাযের পূর্বে এক মুহুর্তের ভিতরেই জানাযার মাঠে মানুষের সমুদ্রে পরিনত হয়ে যায়।মনে হয় যেন,আকাশ থেকে অবতরণ হয়েছে।সেদিন অসংখ্যা আলেমকে কাঁদতে দেখিছি,কেঁদেছে আবাল বৃদ্ধ বনিতা সহ সকল প্রকার মানুষ।

সকলের যেন আপন মানুষ চলে যাচ্ছেন সকলকে ছেড়ে।আলেমদের অভিভাবক,সাধারণ মানুষের রাহবার,ইসলামের একজন মহান খাদেম।

আর তখন বিদায় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সারাদিনের কর্মক্লান্ত দিবাকর।পশ্চিমের আকাশ যখন পৃথীবির সূর্য বিদায় নিচ্ছিলো,পূর্বের আকাশে তখন ইসলামের এক জ্যােতিস্ক বিদায় নিচ্ছিলো।
সকলের চোখ অশ্রুসিক্ত এক আপন জন হারার অসহ্য বেদনায় হ্নদয়ের প্রতিটি তন্ত্রি ছিড়ে যাচ্ছিলো।বিদায় ইউনুছ!!! আপনাকে সিক্ত নয়নে বিদায়।

★হে মাওলানা ইউনুছ (রহ:):-
পৃথীবির চিরাচরিত নিয়মে কত মানুষ আসে আর কত মানুষ যায়।কে?তাদের হিসাব রাখে?
কিন্তু,
এ জীবন মৃত্যুর স্রোতে এমন কিছু মনিষী আসে যারা কোনোদিন মরে না।সময়/কাল/যুগ তাদেরকে নিঃশেষ করতে পারে না
তারাতো তাদের অমন কর্মের মধ্যে বেঁচে থেকে।

তারা বেঁচে থাকে যুগ থেকে যুগান্তরে,কাল থেকে কালান্তরে।তিনি শতশত দিশাহারা মানুষকে দিশা দিয়েছেন,গোমরাহদেরকে দিয়েছিলেন হেদায়াতের নূর।
তাদের জীবন ও কর্মে তারা বেঁচে থাকবেন।
তার সুযোগ্য সন্তানেরা ও রুহানী আওলাদেরা দোয়ার হাত তুলে বলবে…

“রব্বীর হামহুমা কামা রব্বয়ানি ছগিরা।”

লেখক:-
হাফেজ মাওলানা আবদুল বারী মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
শাহজাদা-হুজুরের সর্বকনিষ্ঠ ছেলে।
খতীব:-
ধলিবিলা কেন্দ্রীয় জামে মসজীদ।

Logo-orginal