admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৪-১৬ ১৮:২১:১৩ || আপডেট: ২০১৮-০৪-১৬ ১৮:২১:১৩
এক রাজ্যে এক যুবক বয়সী চোর ছিল। সে ছিল সুঠাম দেহী ও সহসী।সে ধনী ও উজির উমরাদের ঘরে চুরি করত।ঘটনা ক্রমে সে এক রাতে রাজপ্রাসাদে চুরি করতে গেল।মধ্য রাত সে রাজার রুম থেকে কিছু কথোপকথন শুনতে পেল।রাণী : আলহামদুলিল্লা,দেখতে খতে আমাদের একমাত্র মেয়ে রাজকুমারী বেশ বড় হয়ে গেছে। তাঁর বিয়ের কথা ভাবতে হবে।রাজা : তুমি তো জানো যে,ইতিমধ্যে অনেক রাজপরিবারের শাহজাদের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। অনেক ধনীর দুলাল আছে যাঁরা আমার মেয়ের জন্য পাগল।
কিন্তু তুমি তো অবগত আছো যে,আমি কোন দুনিয়াদার ধনীর দুলালের কাছে আমার মেয়ে বিয়ে দিব না।রাণী : তাহলে আল্লাহ্ ওয়ালা পরহেজগার যুবক কোথায় পাবেন?রাজা : আমি রাজ্যে ঘোষণা করে দিয়েছি,যদি কোন আল্লাহ্ ভীরু পরহেজগার যুবকের সন্ধান পাওয়া যায় আর যদি সে অতি গরিবও হয় তবু তাঁর কাছে আমার মেয়ে বিয়ে দিব।রাণী : আল্লাহ্ আমাদের মনোবাসনা পূর্ণ রুক,তিনিই একমাত্র ফায়সালাকারী।যুবক চোর হলেও আগেথেকেই রাজকুমারীর প্রতি তাঁর হৃদয়ের টান ছিল।আর রাজকুমারীও ছিল অত্যন্ত রূপবতী ও ণবতী।যুবক চোর রাজারাণীর কথা শুনে সে মিছেমিছি দরবেশ সাজল।যুবক চোর দরবেশী পোষাক পড়ে এক শহরের কাছেই এক নির্জন সজিদে থাকতে লাগল।তার মনে ছিল যদি দরবেশী ভাব দেখে রাজা তাকে পছন্দ করে তবই সে তার প্রিয়তমাকে পেয়ে যাবে। এভাবে মাস যেতে ,বছর যেতে লাগল,কিন্তু তার কোন ফল হচ্ছে না।অন্যদিকে সে একনাগাড়ে মসজিদে থাকতে থাকতে ও আল্লাহর ইবাদত জিকির আসগার করতে করতে প্রকৃত পক্ষেই আল্লাহ্ কে চিনে ফেলে ও খাঁটি আল্লাহ্ প্রেমিক হয়ে যায় এমনকি সে রাজকুমারীকেও ভুলে যায় আর রাজার কথা মনে নেই।
ক্রমান্বয়ে তাঁর আল্লাহ্ ভীরুতা ও বুজুর্গীতা সারা দেশময় ছড়িয়ে পড়ে। আর এই আল্লাহ্ ভীরু যুবকটিকে রাজার মেয়ের জন্য পছন্দ হয়ে যায়।রাজা তাঁর শাহী শান শওকত ও উজির উমরা সাথে নিয়ে এসে এই আল্লাহ্ ওয়ালা যুবকের কাছে তাঁর মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু যুবক দরবেশ রাজার প্রস্তাবকে গ্রহণ করল না।কেননা এই যুবকের মনে আল্লাহ্ প্রেম এতই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে তাঁর কাছে রাজকুমারী ও রাজ্য একেবারেই তুচ্ছ ও নগণ্য।সে রাজকুমারী কে পাওয়ার আশায় দরবেশী সেজে প্রকৃত আল্লাহ্ প্রেমিক দরবেশ হয়ে যায়।
#গল্পটি ইসলামীক পেইজ “মুক্তির পথে শান্তির বাণী” হতে সংগৃহীত।