, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

প্রেমের টানে ফরিদপুরের সিংকুর বধূ এখন আমেরিকান শ্যারু

প্রকাশ: ২০১৮-০৪-১৭ ২০:৩০:৩২ || আপডেট: ২০১৮-০৪-১৭ ২০:৩০:৩২

Spread the love

প্রেমের টানে ফরিদপুরের সিংকুর বধূ এখন আমেরিকান শ্যারু
প্রেমের টানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করলেন চল্লিশ বছর বয়সী আমেরিকান শ্যারুন খান। এই নারী পেশায় একজন ব্যাংকার। ১০ এপ্রিল ছাব্বিশ বছর বয়সী বাংলাদেশি মো. আশরাফ উদ্দিন সিংকুকে বিয়ে করেন।

ফেসবুকে পরিচয় হয় তাদের। তাদের ছয় মাসের প্রেম এসে এখন গড়িয়েছে বিয়েতে। আমেরিকান মেয়েকে বিয়ের ঘটনায় পরিবারসহ গোটা এলাকা এখন আনন্দে ভাসছে। আর এ বিষয়টাকে ধারুন উপভোগ করছেন শ্যারুন। তিনিও এলাকার সকলকে আপন করে নিয়েছেন। আর ভাঙা ভাঙা বাংলা বলছেন তিনি।

ফরিদপুরের সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের ছেলে মো. আশরাফ উদ্দিন সিংকু পড়াশুনো করেন ঢাকার কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাষ্টার্স শেষ বর্ষে। বাবা-মায়ের দুই মেয়ে, এক ছেলের মধ্যে সিংকু বড়। বাবা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গাড়িচালক। সে হিসেবে বাবাকে থাকতে হয় ঢাকায়। তবে তার পরিবার থাকে ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্টাফ কোয়ার্টারে।

এ ব্যাপারে আশরাফ উদ্দিন সিংকু জানান, গত ছয় মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় নিউইয়র্কে কর্মরত এক ব্যাংকার নারীর সঙ্গে। কথা বলার এক পর্যায়ে সে বিয়ে করার কথা জানায় আমাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ এপ্রিল বাংলাদেশে আসে সে। ১০ এপ্রিল তারা বিয়ে করেন ঢাকায় মুসলিম রীতিনীতি মেনে। ধর্মগতভাবে দুই পরিবার একই হওয়ার কারণে তাদের বিয়ে নিয়ে কোন জটিলতা হয়নি বলে জানান পরিবারের লোকজন।

তিনি আরো বলেন, আমার ও আমার বৌয়ের বয়সের কিছুটা ব্যবধান থাকলেও আমরা দুজনকে দুজন পেয়ে খুবই খুশি। তারা সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

আমেরিকান নারী শ্যারুন খান বলেন, বাংলাদেশে এসে খুবই ভালো লাগছে। এছাড়া আমার স্বামী, তার পরিবার ও এদেশের মানুষসহ গোটা পরিবেশ খুবই ভালো লেগেছে। আশা করছি, ২১ এপ্রিল চলে যাওয়ার পর আমি দ্রুত আবার এখানে ফিরে আসব।

তিনি বলেন, আমি বাংলার প্রেমে পড়ে গেছি, এদেশের মানুষেরও।

এদিকে পরিবারের সকলে এমন ভালো বৌ পেয়ে যেন খুশিতে তারা ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন। এলাকায় আসার পরে প্রতিবেশী তাদের দেখতে আসছেন ঝাঁকে ঝাঁকে। সবাই তাদের এই বিয়েকে স্বাগত জানিয়েছে বলে জানান পরিবারের সকলে।

সিংকুর শাশুড়ি নার্গিস আক্তার বলেন, আমি এতো খুশি এমন বৌ পেয়ে তা বলার ভাষা নাই। আমার ছেলেকে যদি বাংলাদেশে বিয়ে দিতাম তবু এতো ভালো বৌমা হয়তো আমি পেতাম না।

তিনি বলেন, সে আমাকে আম্মু বলে যে ডাকটি দেয়- তাতে আমি নিজেকে গর্ব অনুভব করি।

প্রতিবেশী মাসুম জানান, আমরা প্রতিবেশী হিসেবে খুবই গর্বিত যে আমাদের প্রতিবেশী সিংকু আমেরিকান এক মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছে। আমরা এখন তাদের দুজনের মঙ্গল কামনা করি সব সময় তারা যেন সুখে থাকে।

এ বিষয়ে কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, আমেরিকার কন্যা প্রেমের টানে ফরিদপুরে এসেছে। তাদের ইতোমধ্যে বিয়ে হয়েছে। এলাকার মানুষ মেয়েটিকে দেখতে ভিড়ও জমাচ্ছে।

এদিকে আমেরিকা থেকে শ্যারুন প্রথমে ঢাকায় আসে ৬ এপ্রিল, এরপর ঢাকায় ১০ এপ্রিল বিয়ে হয় দুজনের। সেখান থেকে গত ১৫ এপ্রিল আসে আসে ফরিদপুরে। আর এখন তারা ফরিদপুরে তাদের গ্রামের বাড়ি ও শহরের বাড়িতে অবস্থান করছেন। তবে দ্রুত তাদের ফরিদপুর থেকে ঢাকায় চলে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন। @ঢাকাটাইমস ।

Logo-orginal