, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

বাবার পেনশনের টাকার জন্য ভাইকে হত্যার চেষ্টা

প্রকাশ: ২০১৮-০৪-২৩ ১৮:২২:৩৩ || আপডেট: ২০১৮-০৪-২৩ ১৮:২২:৩৩

Spread the love

বাবার পেনশনের টাকার জন্য ভাইকে হত্যার চেষ্টা
বাবার পেনশনের টাকার জন্য সৎ ভাইকে হত্যার চেষ্টা করেছে দুই ব্যক্তি। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইছানগরে সোমবার (১৬ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন আনোয়ার হোসেন বাবলু ও আমজাদ হোসেন টিটু। তারা ওই এলাকার মরহুম এবিএম ছিদ্দিকের ছেলে। এছাড়াও ওই দুজনের স্ত্রী হাছিনা আকতার ও শেলি আকতার হামলায় অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে এ ঘটনার ভুক্তভোগী মো. শাহাদাৎ হোসেন কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন পেনশনের টাকা ও সম্পত্তি নিয়ে এবিএম ছিদ্দিকের দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত ১৬ এপ্রিল অফিস যাওয়ার পথে সৎ ভাই ও তাদের স্ত্রীরা শাহাদাতের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তখন হামলাকারী তাকে লোহার রড দিয়ে বেড়ধক মারধর করে। তাদের দুই স্ত্রী শাহাদাতকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় হামলাকারীরা পেনশনের টাকা না দিলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। শাহাদাতের আত্ম-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মামলার এজাহার আরো উল্লেখ করা হয়, ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা সাতটার দিকে একই কারণে উল্লেখিত ব্যক্তিরা শাহাদাতের ছোটভাই মো. রাসেল ও আবু সুফিয়ান রাবুর উপর হামলা চালায়। এতে মো. রাসেলের চোখের উপরে জখম ও রাবুর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পায়। এতে আবু সুফিয়ান রাবু আহত হলে সে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।

জানা যায়, রেলওয়ের সাবেক কর্মকর্তা এবিএম ছিদ্দিক বছর খানেক আগে মারা যান। সেসময় তিনি তার ছোট স্ত্রীকে পেনশনের টাকার ওয়ারিশী হিসেবে রেখে যান। কিন্তু বড় স্ত্রীর সন্তানরা সেটি মেনে নিতে পারেননি। তাই এবিএম ছিদ্দিকের দুই সংসারে দীর্ঘদিন বিরোধ লেগে আছে। এর আগে এবিএম ছিদ্দিকের বড় স্ত্রীর সন্তানেরা ছোট স্ত্রী ও তার মেয়ের উপর কয়েক দফা হামলা চালায়।

এসব ঘটনায় আদালত ও থানায় কয়েক দফা মামলার পরেও প্রশাসন পদক্ষেপ নেয়নি বলে শাহাদাত অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আনোয়ার হোসেন বাবলুর বউয়ের বোন সদরঘাট থানার সাবেক ওসি মর্জিনা আকতার। তার প্রভাব কাটিয়ে মামলাও হওয়ার পর সহজে তারা জামিন নিয়ে ফেলে। আমরা একাধিকবার হামলার শিকার হয়েও কোনো বিচার পায়নি।

শাহাদাত হোসেন বলেন, বাবা মারা যাওয়ার সময় আমার মাকে পেনশনের টাকার নমিনী করে যায়। সেটা উনার ব্যাপার। কিন্তু এই অজুহাতে আমার সৎ ভাইরা আমাদের পরিবারকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে একাধিবার হামলা করেছে। এখন আমরা বাড়ি ছাড়া। কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির লোভে তারা আমাদেরকে বাড়ি ফিরলে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে।

তবে মর্জিনা আকতার বলেন, আমরা আইনের লোক। সবার আগে আইন আমাদের মানতে হবে। কেউ যদি অপরাধ করে, প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাকে শাস্তি পেতে হবে। এখানে আমাদের কোনো প্রভাব থাকে না। যারা এ ধরণের অভিযোগ করছে, তারা না জেনে করছে। তিনি খোঁজখবর নিয়ে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বলেন।

অন্যদিকে মতামত জানতে কর্ণফুলী থানার ওসি সৈয়দুল মোস্তফাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। @সিটিজি টাইমস ।

Logo-orginal