admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৪-১৮ ১৭:১৮:৫১ || আপডেট: ২০১৮-০৪-১৮ ১৭:১৮:৫১
সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্কঃ বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে করে কোলকাতা থেকে মেলবোর্ন আসছিলাম। ঘুমাতে চেষ্টা করছি, হঠাৎ দেখি খুব ঝাঁকুনি হচ্ছে এবং ঘোষণা এলো যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে প্লেন নিকটবর্তী এয়ারপোর্ট থাইল্যান্ডে জরুরী অবতরণ করছে। সবাই খুব সঙ্কার মধ্যে কাটাচ্ছিল।
প্লেন অবতরনের পর আমাদের সবাইকে এয়ারপোর্টে একটাবড় হলরুমের মতো জায়গায় নিয়ে যাওয়া হল।
সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা থাকার পর জানা গেল আজ আর প্লেন ছাড়বেনা। এরপর বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তান ছাড়া বাকি পাসপোর্টধারীদের আলাদা করে আমাদের ৫ তাঁরা হোটেলে নিয়ে গেল।
আমার পাসপোর্ট ভিন্ন হওয়ায় আমিও পাচতারা হোটেলে জায়গা পেলাম।
“আলুর গুদামে আগুন লাগলে নাকি কিছু লোক লবন নিয়ে যায় আর জিজ্ঞেস করে আবার কবে আগুন
লাগবে”!
আমাদের দশা সেরকম হল।
ভাল আবাসনের সাথে ইচ্ছেমত খাওয়ার ভাউচার পেলাম। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর যখন আমাদের এয়ারপোর্টে নিয়ে যাওয়া হল: দেখি প্রায় ১৫০ জনের উপর বাংলাদেশি সেই ছোট জায়গাটির মধ্যে আছে। বাহিরে যাবার অনুমতি ওদের নেই। খাবার বলতে ১টা কলা, ১টা আপেল আর দুই টুকরা ব্রেড। দুইটা টয়লেট বন্যায় ভেসে গেছে।
একজন আমাকে দেখে বললো “ভাই আমরা তো ভেবেছি আপনাদের অন্য ফ্লাইটের ব্যাবস্থা করে পাঠিয়ে দিয়েছে”। বাচ্চা সহ তিনটি পরিবার অবর্ণনীয় অবস্থায় আছে।
আমি ফুড ভাউচার নিয়ে বের হয়ে খাবার কিনে বৃদ্ধ এবং বাচ্চাদের পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে খেলাম।
আমাদের দেশের পাসপোর্টকে এরকম হেয় করতে দেখে খুব লজ্জা পেলাম। ওরা আমাদের মতো টিকেট কেটে এসেছে কিন্তু সবুজ পাসপোর্টের কারনে এই দুর্দশা আমাদের নেতারা স্বাধীনতার চেতনার কথা বলতে গিয়ে গলার রগ ফুলিয়ে ফেলে।
মার্চ আর ডিসেম্বর মাসে সবুজ আর লাল রঙের বাহারি পাঞ্জাবি আর টি-সার্টে দেশ ছেয়ে যায়।
কিন্তু সারা বিশ্বের কাছে এই সবুজ পাসপোর্ট কে সম্মানের করার জন্য যা করা দরকার তা নিয়ে ভাবার সময় এই আহাম্মকদের আছে কি?
#লিখেছেন ফখরুল ইসলাম Melborn প্রবাসী।