, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

খুলনার নির্বাচন প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না: ফখুরুল

প্রকাশ: ২০১৮-০৫-১৫ ২২:৫৮:২০ || আপডেট: ২০১৮-০৫-১৫ ২২:৫৮:২০

Spread the love

খুলনার নির্বাচন প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না: ফখুরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘খুলনার সিটি নির্বাচন প্রমাণ করেছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।’ আজ মঙ্গলবার রাতে গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতার কারণে খুলনা সিটি নির্বাচনে পুলিশের হামলার মাধ্যমে বিএনপি কর্মীদের দাঁড়াতে দেয়নি। বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজেরাই নৌকা প্রতীকে সিল মেরেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’

দলটির মহাসচিব বলেন, ‘অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সেনা মোতায়েন করতে হবে। না হলে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। আজ খুলনায় সেনা মোতায়েম থাকলে ফলাফল যাই হোক ভোট ব্যবস্থা এমন হতো না। বিরোধী দল সুন্দরভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারতো।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণমাধ্যমকে সরকার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। সেটা প্রমাণ হয়েছে যখন আমরা ওখান থেকে খবর পাচ্ছি এক ধরনের, সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে এক ধরনের এবং অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রচার হয়েছে আবার ভিন্ন ভাবে। আসলে তারা আসল ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচার করতে দেয়নি।’

ফখরুল বলেন, ‘ভোট চলাকালে যখন সংবাদ এলো ১টার পর একের পর এক কেন্দ্র দখল হয়েছে। তখন সিইসিকে ফোন করি, বলি খুলনা নির্বাচনে অনিয়মের কথা। সিইসি আমাকে বলেন, আপনারা রাজনৈতিক দল দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিন। কোথাও কোনো অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। আমি যখন বললাম আমি আপনাকে সোর্স বলছি তখন সিইসি নুরুল হুদা বলেন, কোনো টিভি চ্যানেলে দেখায়নি। তখন আমি সংবাদ মাধ্যমগুলোর নাম বললে তিনি বলেন আমি দেখছি। এখনও তিনি দেখছেন।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘এর আগে গাজীপুরের সিটি নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে আটকের বিষয়ে জানালে তিনি তখনও বলেছেন আমি দেখছি। তিনি শুধুই দেখছেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার পুলিশকে বিরোধী দলের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। বেশির ভাগ জায়গায় পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে বিরোধী দলের ওপর চড়াও হচ্ছে। এটা কখনও একটা জাতির জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। কিন্তু এখন দেখি পুলিশ নিজেরা উদ্যোগী হয়ে একটা বিশেষ রাজনৈতিক দলকে প্রটেক্ট করছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যারা নিরপেক্ষ সরকারের জন্য আন্দোলন করেছেন তিনিই ক্ষমতায় এসে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা বাতিল করেছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনেছে যাতে একদলীয় ভোট করে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে পারে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের যে দোহায় দেওয়া হয় সেখানেও বলা ছিল জাতির স্বার্থে দুটি নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার। কিন্তু সেটিও তারা মানে নি। সরকার পুরোপুরি নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

এই নেতা বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। এমনকি সাবেক সিইসি শামসুল হুদা ও কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন নিজেই বলেছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ।

Logo-orginal