, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

Avatar rtm

চট্টগ্রামের সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী ২০১৮

প্রকাশ: ২০১৮-০৫-১৫ ১৭:৫৩:৫২ || আপডেট: ২০১৮-০৫-১৫ ১৭:৫৫:৩৩

Spread the love
* চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল -:

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম: খোশ আমদেদ মাহে রমজান, সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। বছর ঘুরে আবারো মানবতার সুমহান আদর্শ নিয়ে মুসলমানদের দরবারে হাজির হল পবিত্র রমজান। শান্তি, সমপ্রীতি, ত্যাগ, তিতিক্ষা ও সংযমের বার্তা নিয়ে প্রতি বছর বিশ্ববাসীর কাছে হাজির হয় কুরআন ঘোষিত শ্রেষ্ঠ মাস পবিত্র রমজান।

রোজার নিয়ত :-

বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।

অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত। মাসআলা: কেউ যদি ছুবহি ছাদিক্বের পূর্বে নিয়ত করতে ভুলে যায় তাহলে তাকে দ্বিপ্রহরের পূর্বে নিয়ত করতে হবে। তখন এভাবে নিয়ত করবে:

-: ইফতারের দোয়া :-

বাংলায় উচ্চারণ: (আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা, ওয়া তাওআক্কালতু আ‘লা রিঝক্বিকা, ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন) অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আমি আপনারই সন্তুষ্টির জন্য রোযা রেখেছি এবং আপনারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।

ইফতার-এর সুন্নত আমলসমূহ:

খুরমা বা খেজুর দ্বারা ইফতার শুরু করা সুন্নত। আমাদের নবীজি খুরমা বা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন।

ওয়াক্ত হওয়া অর্থাৎ আযান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত। হাদীছে কুদসী শরীফ-এ রয়েছে, আল্লাহ পাক বলেছেন: “আমার বান্দাদের মধ্যে আমার নিকট অধিকতর প্রিয় ওই ব্যক্তিরাই যারা তাড়াতাড়ি ইফতার করে অর্থাৎ সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করে।”

কিন্তু সময় হয়নি এমন অবস্থায় দ্রুত পানাহার করলে ক্বাযা-কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হয়ে যাবে। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ইফতার করার পূর্বে তিনবার দুরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।

কোন রোযাদারকে ইফতার করানো। এটি একটি অত্যধিক ফযীলতপূর্ণ কাজ।

-: রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ :-

1. ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।

2. স্ত্রী সহবাস করলে।

3. কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙ্গবে না)।

4. ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে।

5. নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষধ বা তৈল প্রবেশ করালে।

6. জবরদস্তি করে কেহ রোজা ভাঙ্গালে ।

7. ইনজেকশান বা স্যালাইরনর মাধ্যমে দেমাগে ওষধ পৌছালে।

8. কংকর পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।

9. সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সুর্যাস্ত হয়নি।

10. পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।

11. দাঁত হতে ছোলা পরিমান খাদ্য-দ্রব্য গিলে ফেললে।

12. ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালায়ে ধোয়া গ্রহন করলে। 13. মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে ।

14. রাত্রি আছে মনে করে সোবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।

15. মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর নিদ্রা হতে জাগরিত হওয়া এ অবস্থায় শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।

-: রোজার মাকরুহগুলো :-

* অনাবশ্যক কোনো জিনিস চিবানো বা চাখা

* কোনো দ্রব্য মুখে দিয়ে রাখা

* গড়গড় করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়া কিন্তু পানি যদি নাক দিয়ে গলায় পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে

* ইচ্ছাকৃত মুখে থুথু জমা করে গলাধঃকরণ করা

* গীবত, গালা-গালি ও ঝগড়া-ফাসাদ করা। কেউ গায়ে পড়ে ঝগড়া-ফাসাদ করতে এলে বলবে, আমি রোজাদার তোমাকে প্রত্যুত্থর দিতে অক্ষম

* সারাদিন নাপাক অবস্থায় থাকা। এটি অত্যন্ত গুনাহের কাজ

* অস্থিরতা ও কাতরতা প্রকাশ করা

* কয়লা চিবিয়ে অথবা পাউডার, পেস্ট ও মাজন ইত্যাদি দ্বারা দাঁত পরিষ্কার করা

Logo-orginal