admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৫-০৯ ১৫:৩৬:১৯ || আপডেট: ২০১৮-০৫-০৯ ১৫:৩৬:১৯
কক্সবাজার: পবিত্র মক্কা নগরীতেই চির নিদ্রায় শায়িত হবেন এহসান।
প্রায় ২৫ বৎসর আগে পিতার সাথে পুত্রের শেষ দেখা। দু’তিন বছর বয়সী বাচ্চাকে আত্নীয়ের কাছে রেখে বিদেশ পাড়ি জমায় মা,বাবা দু’জনেই। ধীরে ধীরে বাচ্চাটি বড় হয়ে এখন পূর্ণ টগবগে যুবক। গত ১২/১৩ বৎসর আগে আয় রোজগারে জন্য স্বপ্নের দেশ সৌদি আরব চলে আসে “এহসান”।
পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার সদর ঈদগাঁতে “এহসান” এর গ্রামের বাড়ি।
সাপ্তাহ খানেক হল, অসুস্থ শরির নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছিল। ডাক্তার দেখানো হলো মক্কার প্রসিদ্ধ হাসপাতাল “তূনসি”র স্বনামধন্য বাঙ্গালী ডাক্তারের শেষ পরামর্শ এহসান “দেশে বাবা, মায়ের নিকট চলে যাও” তুমি.।
ডাক্তারের পরামর্শে বাড়ি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
গত সোমবার “৭’মে” রাত্রে তার ফ্লাইট ছিল জেদ্দা টু ঢাকা। তার মমতাময়ী মা জজনী কক্সবাজার থেকে ঢাকা এসে অপেক্ষা করছিলেন কোন একটা হোটেলে। দীর্ঘ ২৫টা বছর পর পুত্রের সোনাঝরা মুখটা একটিবার দেখবে, ছেলেকে একটু আদর দিবে, নাকে পুত্রের গন্ধ নেবে তার মা’য়ের এই আশার বাণী নিয়েই ছেলের জন্য অপেক্ষা ঢাকায়…
কিন্তু সকল স্বপ্ন মিনিটের মধ্যেই তছনছ হয়ে গেল হঠাৎ করে সৌদি আরব থেকে কারো মোবাইল কলে বলা হলো “আপনার ছেলে “এহসান” মৃত্যুর খবর শুনে…
কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস “৭’ই মে” সোমবার ভোরেই মরণব্যধী “ব্লাড ক্যান্সার” তাকে চিরতরে নিয়ে গেল পরপারে….
“ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন”
তার নিথর দেহ পড়ে আছে মক্কায় অবস্থিত সরকারী এক হাসপাতালের হিমাগারে…
উপার্জনের একমাত্র সম্বল পুত্রের মৃত্যুর খবর শুনে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন তার “এহসানের” গর্ভধারনী মা…
শোকে হতবিহবল তার বাবা শান্তনা দেবার ভাষাটুকুও হারিয়ে নির্বাক হয়ে বসে আছে নির্জন ঢাকার হোটেলে…
অদ্ভুত নিয়তি কাগজপত্র তৈরি হলে হয়তো আজ “৮ মে ২০১৮” তারিখে মক্কা মসজিদ আল হেরাম শরিফে জানাজা শেষে সরাইয়া কবরস্থানে চির নিদ্রায় দাফন করা হইবে…
হে মহান রব্বুল আলামীন রহমানুর রহীম…
আমার স্বদেশী এই ছোট ভাইটিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন, জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন ইয়া আললাহ্ আমীন…ছুম্মা আমিন…।
ছোট ভাই “এহসান” এর মৃত্যুতে…
“সৌদি প্রবাসি খুটাখালী” গর্ভীরভাবে শোকাহত।
>>লিখা ও ছবি- সংগ্রহীত<<
#ফেইচ বুক থেকে।