, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

Avatar rtm

টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অসংখ্য খানাখন্দ

প্রকাশ: ২০১৮-০৬-১১ ২১:২৫:০৮ || আপডেট: ২০১৮-০৬-১১ ২১:২৬:২৮

Spread the love
টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অসংখ্য খানাখন্দ

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম: শনিবার (৯ জুন) থেকে টানা প্রবল বর্ষণের ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নমানের সংস্কারকাজ, সড়ক দিয়ে লবণ পরিবহন ও প্রতিনিয়ত ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে যানবাহন চলাচল করার কারণে মহাসড়কের এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

প্রতি বছর মহাসড়কটির বিভিন্ন অংশে সংস্কারকাজ করা হয়। কিন্তু সংস্কারকাজে ব্যাপক অনিয়মের কারণে কিছু দিনের মধ্যেই সংস্কার করা স্থানগুলো আবার ভেঙেচুরে একাকার হয়ে যায়। এ দিকে সড়ক সংস্কার বাবদ সরকারের প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার অপচয় হচ্ছে। অন্য দিকে সড়কে চলাচলরত যানবাহন চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এ ছাড়া যানবাহন মালিকেরাও ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন এ মহাসড়কের সাতকানিয়া অংশজুড়েই অসংখ্যা ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নমানের সংস্কার কাজের ফলে মহাসড়কের এই বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন পরিবহনের চালকেরা জানান, এ মহাসড়কজুড়েই ইট, পাথর, বিটুমিন ও খোয়া উঠে গিয়ে ছোট-বড় হাজার হাজার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তাদের পক্ষে এই মহাসড়কে গাড়ি চালানো খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে আর গাড়িরও অনেক ক্ষতি হচ্ছে।

বাস চালক মোজাম্মেল বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনি হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গাড়ির ব্রেকের সাথে সাথে পাথরের ঘষাতে সড়কের উপরের অংশ উঠে যাচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় গর্ত। যার ফলে গাড়ি নষ্ট হয়ে পড়তে শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সড়কের এহেন অবস্থার জন্য দায়ী তদারকির দায়িত্বে থাকা লোকজন। আর কয়েকদিন পরেই ঈদ। সড়কের এমন অবস্থায় ঈদে  ঘরমুখী মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না বলেও জানান তিনি।

এ পথে প্রতিনিয়ত যাতায়াতকারী মন্নান, সিরাজ, মোমেন ও মামুন জানান, বর্তমানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের এমন নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে যে মহাসড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য দিকে গাড়িতে করে গন্তব্যে পৌঁছতে অতিরিক্ত কয়েক ঘণ্টা সময় অপচয় হচ্ছে যাত্রীসাধারণের। সারা দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এই মহাসড়কটি বর্তমনে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা।

এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচলরত যানবাহন যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অথচ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি।

তবে দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) সুপারভাইজার শ্যামল বলেন, বৃষ্টি হলেই গাড়ির ব্রেকের সাথে সাথে চাকা আর পাথরের ঘষাতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের উপরের অংশ। সৃষ্টি হচ্ছে গর্তের। পরীক্ষা করেই ভালো মানের বিটুমিন দিয়ে সড়কের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। কেউ চাই না খারাপ কাজ করতে। যত দ্রুত সম্ভব মহসড়কের খোয়া গুলো ভরাট করে সংস্কার করা হচ্ছে।

Logo-orginal