rtm
প্রকাশ: ২০১৮-০৬-১০ ১১:০৮:০৪ || আপডেট: ২০১৮-০৬-১০ ১১:০৯:১২
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম: সাগরে লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রামে শনিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণ যেন থামছেই না। বাইরের টানে যারা বেরিয়েছেন সবাইকেই চলাফেরা করতে হচ্ছে ভারী বৃষ্টিতে। চলাফেরায় একটু অসুবিধা হলেও চট্টগ্রামের মানুষের মনে এ বৃষ্টি এনে দিয়েছে প্রশান্তির ছোঁয়া। প্রশান্তি এ কারণেই শনিবার পর্যন্ত রোদের খড়তাপে দগ্ধ হয়েছিল মানুষ। যদিও কদিন ধরে চট্টগ্রামের আকাশে ছিল মেঘের লুকোচুরি খেলা।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল ও চট্টগ্রামের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপ ঘণীভূত হয়ে হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের ওপর বিস্তার লাভ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যেই বৃষ্টিপাত শুরু হয় চট্টগ্রামে। সাগরে সৃষ্ট ওই লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রামসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সর্তকতা সংকেতও রয়েছে। লঘুচাপটি সরে না যাওয়া পর্যন্ত নগরীতে বৃষ্টিপাত হতে থাকবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে নগরীর বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্ভোগের পড়েছে ঈদের বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা। বিভিন্নস্থালে জলাবদ্ধতার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের পোশাকের দোকানের বিক্রেতা সালাউদ্দিন শূভ জানান, প্রবল বর্ষণের ফলে রিয়াজউদ্দিন বাজার আমতলা এবং বাজারের অভ্যন্তর হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। ব্যস্ততম বাজারে ঈদের শপিংয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছেন ক্রেতারা। দুর্ভোগের শেষ নেই বিক্রেতাদেরও। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে বেচা-বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে।
রিয়াজউদ্দিন বাজারে পোশাক কিনতে আসা নাজনীন ইউসুফ বলেন, বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। রিয়াজউদ্দিন বাজারে কিছু পোশাক কিনতে এসে দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।
জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।