, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল” মেসির দিকে পেছন ফিরে কেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক?

প্রকাশ: ২০১৮-০৬-১৮ ১২:০৭:১৬ || আপডেট: ২০১৮-০৬-১৮ ১২:০৯:২৩

Spread the love

সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল” মেসির দিকে পেছন ফিরে কেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক?
এমনভাবেই পিছন ফিরে জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন কাবায়েরো। — বাফানা বাফানা লেটস গো টুইটার পেজ

আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ এখন অতীত। সামনের ক্রোয়েশিয়া, নাইজেরিয়া ম্যাচ কার্যত মরণ-বাঁচন ম্যাচ আর্জেন্টিনার কাছে। আপাতত গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচেই ফোকাস করছেন মেসি-আগুয়েরোরা।

তবে আইসল্যান্ড ম্যাচ নীল-সাদা ভক্তরা ডিলিট করে দিলেও একটা ছবি কিছুতেই যেন মন থেকে হঠাতে পারছেন না আম-আর্জেন্টিনা ফ্যান। আর্জেন্টিনার জাতীয় সঙ্গীতের সময়ে মেসি, আগুয়েরো, ডি মারিয়া প্রত্যেকেই দৃষ্টি স্থির রেখে গাইলেন দেশের গান।

তবে গোলকিপার উইলি কাবালেরোকে দেখা গেল অন্য পোজে। মেসির দিকে পিছন ফিরেই তিনি জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা সতীর্থদের দৃষ্টি যখন সামনে, তখন তিনি পাশে আড়াআড়িভাবে দাঁড়ানো। এমন ভঙ্গিতে গোলকিপারকে দেখে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল। তাহলে কি চেলসিতে খেলা গোলকিপারের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ কাবায়েরোর?

এমন বেখাপ্পাভাবে কেন ছিলেন কাবায়েরো, সেই রহস্যই এবার ফাঁস হল। সেখানেই জানা গেল, মোটেই লিওনেল মেসির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ নয় তার। আসলে তার দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল দেশের জাতীয় পতাকার প্রতি। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিল ম্যাসকট জাবিভাকা। সেই ম্যাসকটের হাতেই ছিল পতাকা। সেই পতাকার দিকে তাকিয়েই দেশাত্মবোধক গান গাইলেন তিনি।

অবশ্য কাবায়েরোই প্রথম এমন নন, স্পেনের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকেও দেখা গিয়েছিল এমন অদ্ভূত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে। বলা হচ্ছে, আর্জেন্টিনার সাবেক তারকা ডিফেন্ডার ফ্যাব্রিসিও কোলোচ্চিনির সঙ্গে একসময়ে যুব পর্যায়ে খেলতেন কাবায়েরো। সেই ডিফেন্ডার এমনভাবেই জাতীয় সঙ্গীত গাইতেন। সাবেক সতীর্থের সংস্কারই এবার শুরু করলেন তিনি বিশ্বকাপের মঞ্চে।

আরো পড়ুন :
মেসি-নেইমারদের কী হয়েছে?
বি’ গ্রুপে পর্তুগাল-স্পেন ম্যাচ ড্র’য়ে নিস্পত্তি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়৷ ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগিজদের একাই টেনে নিয়ে গেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো৷ সেখানে ২০১০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্প্যানিশ দল সেয়ানে সেয়ানে লড়াই চালিয়ে গ্রুপের সব থেকে কঠিন ম্যাচ উতরে গেছে না হেরে৷ তবে ‘ডি’ গ্রুপে আইসল্যান্ডের কাছে আর্জেন্টিনার আটকে যাওয়া ও ‘এফ’ গ্রুপে মেক্সিকোর কাছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হার কার্যত রাশিয়া বিশ্বকাপের শুরুতেই অঘটন হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে৷

অঘটনের তালিকা আরো দীর্ঘ হলো ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল সুইজারল্যান্ডের কাছে আটকে যাওয়ায়৷ প্রথমার্ধে কুটিনহোর গোলে এগিয়ে গিয়েও নেইমাররা ১-১ গোলে ড্র করে সুইসদের বিরুদ্ধে৷

বিশ্বকাপের আগে ফুটবল বিশ্বের নজর ছিল রোনালদো, মেসি, নেইমার ত্রয়ীর দিকে৷ প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে সিআর সেভেন বিশ্বকাপের নায়ক হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ গোল করা তো দূরের কথা, আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচে পেনাল্টি মিস করে কার্যত খলনায়ক বনে গেছেন মেসি৷ সেই অর্থে নেইমারকে খলনায়ক বলা যাবে না বটে, তবে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচে তাকে পার্শ্বচরিত্র হিসাবেও বিবেচনা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে৷

মেসির মতো একাধিক মার্কার বরাদ্দ ছিল নেইমারের জন্যও৷ এক মুহূর্তের জন্য খালি জায়গা ছেড়ে রাখা হয়নি নেইমারের আশেপাশে৷ প্রতিপক্ষের বেড়াজাল ভাঙতে পারেননি মেসি৷ নেইমারও পারলেন না৷ তবু ব্রাজিল সমর্থকদের আশাবাদী করে তুলেছিল ২০ মিনিটে ফিলিপ কুটিনহোর দুরন্ত গোল৷ প্রথমার্ধে চালকের আসনে থাকা ব্রাজিল দ্বিতীয়ার্ধে গোল খেয়ে বসায় কাজে লাগেনি বার্সা তারকার মূল্যবান অবদান৷

৫০ মিনিটের মাথায় হফেনহেইমের মিডফিল্ডার স্টিভেন জুবের কর্ণার কিক থেকে হেডারে ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান৷ বাকি সময়ে ব্রাজিল মরিয়া আক্রমণে গিয়েও ম্যাচের স্কোরলাইন বদলাতে পারেনি৷ প্রতিআক্রমণ থেকে সুইসরাও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল বটে, তবে ধৈর্য দেখাতে না পারায় তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা৷ সুত্র:নয়া দিগন্ত।

Logo-orginal