, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

Avatar rtm

সিলেট সিটি নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীর প্রতীক টেবিল ঘড়ি

প্রকাশ: ২০১৮-০৭-১০ ২১:২৩:৩৮ || আপডেট: ২০১৮-০৭-১০ ২১:২৬:৩৪

Spread the love
সিটি নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীর প্রতীক টেবিল ঘড়ি

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম: নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন হারানোর জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এখন নতুন পরিচয়ে পরিচিত হচ্ছেন। সে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ থেকে নির্বাচন করছেন। সুপ্রিমকোর্টের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ কে ভোটে ব্যবহার নিষেধাজ্ঞা আছে। আর এ কারণে জামায়াতের এই নেতাকে অন্য একটি প্রতীক নিতে হয়েছে।

আগামী ৩০ জুলাইয়ের ভোটকে সামনে রেখে প্রতীক বরাদ্দের দিন জামায়াত নেতা জুবায়ের পেয়েছেন টেবিল ঘড়ি। তার পছন্দের তালিকায় এটি ছাড়াও ছিল বাস।

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন হারানো জামায়াত নেতারা গত চার বছরে বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি এই নির্বাচনের ভোটও দলীয় প্রতীকে হলেও জামায়াত প্রার্থীদেরকে অন্য প্রতীক বেছে নিতে হয়েছে।

চলতি মাসের শেষে যে তিন মহানগরে ভোট হচ্ছে তাতে সিলেট দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে জোটের শরিক বিএনপি-জামায়াতের লড়াইয়ের কারণে।

এখানে বিএনপি প্রার্থী করেছে ২০১৩ সালে জয়ী আরিফুল হক চৌধুরীকে। তবে জামায়াতের দাবি ছিল, এখানে বিএনপি বসে গিয়ে তাদের প্রার্থীকে সমর্থন দেবে। আর বিএনপি চেষ্টা করছিল জামায়াতকে বাগে এনে তাদেরকে বসিয়ে দিতে।

৯ জুলাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিনটিতে দৃষ্টি রাখতে বলেছিলেন বিএনপি নেতারা। কিন্তু জামায়াত মনস্থির করেছে বিএনপির সঙ্গে শক্তির লড়াইয়ে নামবে তারা।

কেবল জামায়াত নয়, বিএনপিরও আরেক নেতা প্রার্থী হয়েছেন সিলেটে। দলের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম পেয়েছেন জামায়াত নেতার আরেক পছন্দের বাস প্রতীক।

অন্যদিকে দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান নৌকা আর বিএনপির আরিফুল ধানের শীষ পাবেন, সেটা আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল।

প্রতীক পাওয়ার পরই প্রার্থীরা নেমে গেছেন প্রচারে। নৌকা আর ধানের শীষের পাশাপাশি ঘড়ি আর বাসের পক্ষেও প্রচার দেখা গেছে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর প্রথম দিন।

২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনে কামরানকে ২৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন আরিফুল। এবার ঘড়ি আর বাস প্রতীকে কত ভোট পড়ে, তার ওপর জয় পরাজয় নির্ভর করবে, সেটা সহজেই অনুমেয়।

Logo-orginal