admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৭-১৯ ২১:৩৭:২৪ || আপডেট: ২০১৮-০৭-১৯ ২১:৩৭:২৪
রাজশাহী: সরকারের চাপে বিএনপির সঙ্গে ধানের শীষের প্রচারে ভোটার মাঠে জামায়াত নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সিটি ভোটে বিএনপির সঙ্গে প্রচারে জামায়াত নেই কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ স্তব্ধ করার জন্য ২০ দলীয় জোটের উচ্চা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মামলা, মোকাদ্দমা, হামলা; নানাভাবে হয়রানি চলছে। তার মধ্যে জামায়াতকে আলাদা চাপে রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জামায়াতকে আলাদা পেশারেও রাখে আবার জামায়াতকে কাছে টানারও নানা কৌশল তারা অবলম্বন করছে। কিন্তু এখনো জামায়াত তাদের কথায় সায় দেয় নায়। জামায়াত এখনো বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় ঐক্য জোটের সঙ্গে আছে। সে কারণে জামায়াতের উপর তাদের আলাদা নজর আছে এবং জামায়াতের নেতাকর্মীদের যে কোন মহুর্তে গ্রেপ্তার করতে পারে এ আশঙ্কা তাদের মধ্যে কাজ করছে।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো টানপোড়ন চলছে কি না সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘চাওয়া পাওয়ার ব্যাপারে কোথাও কোথায় মতভেদ থাকবে। কিন্তু মৌলিক প্রশ্নে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ২০ দলীয় জোট ঐক্যমতে।’
এ সময় মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পুঠিয়া দূর্গাপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তাফা, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আবারো সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে বলেন, নির্বিঘ্নে ভোটাররা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট প্রদান করতে পারেন সেই নিশ্চয়তার জন্য সাতদিন পূর্বে স্ট্যায়কিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী প্রয়োজন।
বুলবুল বলেন, সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষ থেকে সাধারণ ভোটাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তার পক্ষে মাইকিং করতে বাধা দেয়া ও নির্বাচনী প্রচারে নিয়োজিত কর্মীদের গালিগালাজ করছে। এই অবস্থায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।