, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

অবিশ্বাস্য হলে সত্য” গরু পান করে বিদেশী ব্রান্ডের মদ

প্রকাশ: ২০১৮-০৮-১৮ ১৪:৫১:০৯ || আপডেট: ২০১৮-০৮-১৮ ১৪:৫১:০৯

Spread the love

অবিশ্বাস্য হলে সত্য" গরু পান করে বিদেশী ব্রান্ডের মদ
একেই বলে বাস্বতার নির্মম উপহাস! গরু খায় বিদেশী ব্রান্ডের মদ! এ বর্তমান সময়ে বাংলাদেশি তরুণদের মুখে এবং অনলাইনে সব চেয়ে বেশি ব্যবহৃত শব্দটি হচ্ছে ‘মাদ খাও’। ভারতসহ এশিয়ার বেশকটি দেশের ভাইরাল নিউজ এটি।

অনলাইনের ভাইরাল হওয়া প্রবাশী বাংলদেশি সেফাত উল্লাহর সেই বিখ্যাত ডায়লগ। কি আমাকে দেখে হিংসে হয়? মদ খাও, মদ খাও।

আর যারা গরীব ভক্ত তাদের উদ্দেশ্যে বলেন শুটকি খেতে। তবে সেফাতুল্লার ‘গরীব’ ভক্তরা মদের বদলে শুটকি খাচ্ছে কিনা সেটি জানা না গেলেও, ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের একটি ষাঁড় গরু নিয়মিত মদ পান করার কথা জানা গেছে। প্রতি সন্ধ্যা সে রুটিন করে সে মদ্যপান করে থাকে।

নাম সুলতান। এই সুলতান ভারতের সবচেয়ে বড় এবং সবচাইতে বেশি দামি ষাঁড়। তার খাদ্য তালিকা দেখেই ভিড়মি খাওয়ার মতো অবস্থা। এ যেন এক রাজকিয় খাবারের আয়োজন। প্রতিদিন এই সুলতান ৩৩ পাউন্ড আপেল, ৪৪ পাউন্ড গাজর, ২২ পাউন্ড শস্যদানা এবং ২২ পাউন্ড ঘাসখেয়ে থাকে। এছাড়া সে ১০ কেজি দুধও পান করে প্রতিদিন। এতো কিছুর পর তার প্রতিদিনের সন্ধ্যার আকর্ষণ হলো নামি দামি ব্রান্ডের মদ খাওয়া। মজার ব্যাপার হলো, প্রতিদিন সে একই ব্রান্ডের মদ খায় না, একেকদিন এক এক ব্রান্ডের মদ খায় সে আবার সপ্তাহে একদিন তার মদ খাওয়া বন্ধ থাকে!

ষাঁড় সুলতানের সাপ্তাহিক মদ খাওয়ার রুটিন এবং ব্রান্ডের নাম-
•    শনিবার- ব্ল্যাক লেভেল (black level)
•    রবিবার – টিচার্স (teacher’s)
•    সোমবার – ব্ল্যাক ডগ (black dog)
•    মঙ্গলবার – এ দিন মদ খাওয়া বন্ধ
•    বুধবার – হান্ড্রেন্ড পাইপারস (100 pipers)
•    বৃহস্পতিবার – ব্যালেন্টাইন (ballentine)
•    শুক্রবার- সিভাস রিগাল (chevas regal)

মঙ্গলবার তার সপ্তাহিক মদ্যপান বিরতি, এদিন সে মদ খায় না। তবে সুলতান নিজে মদ খেলেও তার বাচ্চাদের রাখা হয় মদ থেকে বঞ্চিত৷ কে জানে, বড় হলে হয়ত তারাও মদ খাওয়ার অনুমতি পাবে!

সুলতান ষাঁড়টির মালিক নরেশ কুমার। তার হিসাবে সুলতানের ওজন ১৭০০ কেজি, উচ্চতা পাঁচ ফুট এগারো ইঞ্চি! নরেশ কুমার বলেন, সুলতানের মূল্য ৩০ লাখ ডলারের চেয়েও বেশি। যদিও তিনি সুলতানকে বিক্রি করতে চান না। দক্ষিণ আফ্রিকার এক খামারি সুলতানের জন্যে ২১ কোটি রুপি প্রস্তাব করেছিলো, নরেশ সে প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন।

সোনার ডিম পাড়া হাঁস কি কেউ বিক্রি করে। মাত্র দুই লাখ চল্লিশ হাজার রুপিতে কেনা সুলতান এখন তাকে মিলিয়ন মিলিয়ন রুপির যোগান দিচ্ছে, এই সুলতানকে তিনি ছাড়তে চাইবেন কেনো!

বিশালদেহী এই ষাঁড়ের স্পার্মের চাহিদা মারাত্মক। ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই বিক্রি হয়েছে প্রতিটি সিমেন ৩০০ রুপি করে। শুধু সিমেন বিক্রি করেই প্রতি বছর নরেশের আয় ১০ মিলিয়ন রুপিরও বেশি!

এছাড়া সুলতান বিভিন্ন এওয়ার্ডও জিতেছে। পশুদের প্রতিযোগিতায় সাতবার সে প্রথম হয়েছে। জিতবেই না কেনো! প্রতিদিন সকালে সে নিয়ম করে পাঁচ কিলোমিটার হাঁটে। তার জন্য করা হয়েছে স্পেশাল খাদ্য তালিকা। তার উপর প্রতিদিন সন্ধ্যায় যে হুইস্কি পান করে, তাকে হারাবে কোন গরু?

সাত বছর বয়সী মুররাহ-ব্রীড প্রজাতির এই ষাঁড়টি ইতিমধ্যে হরিয়ানা রাজ্য তথা গোটা ভারতেই কৃষিবিদ ও খামারিদের কাছে আলোচিত এক বিষয়। প্রতিদিন অনেকে দর্শনার্থী সুলতানকে দেখতে ভিড় জমায়। সবচেয়ে আমোদ যোগায় সুলতানের হুইস্কি পান।

এ দৃশ্য হরিয়ানার দর্শনার্থীদের কাছে নতুন। দিন দিন তাই সুলতানের কদর বাড়ছে, ষাঁড় হিসেবে তাকে সফলই বলা যায়! সুলতানও যেন খুশি, স্বাস্থ্য দেখলেই বোঝা যায় সেটা। আর খুশি হবেই না কেন? প্রতিদিন হুইস্কি খেয়ে ‘চিল’ করার কপাল কয়টা ষাঁড় পায়!#সংগৃহীত।

Logo-orginal