, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

বিএনপি কি পাগলা কুকুর, যে কামড়ালে আমাদের আতঙ্ক হবে? ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ২০১৮-০৮-১১ ১৩:৫৭:২৬ || আপডেট: ২০১৮-০৮-১১ ১৩:৫৭:২৬

Spread the love

বিএনপি কি পাগলা কুকুর, যে কামড়ালে আমাদের আতঙ্ক হবে? ওবায়দুল কাদের
বিএনপিকে নিয়ে আতঙ্কে ভুগতে হবে কেন- সে প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমি জানতে চাই, বিএনপি কি পাগলা কুকুর, যে কামড়ালে আমাদের আতঙ্ক হবে? এ প্রশ্নটা মির্জা ফখরুল করেছেন। তাকেই জিজ্ঞাসা করুন।’

শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কাওলায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখুন, বিএনপি নেতারা মাঝে মাঝে এমন কিছু উদ্ধৃতি দেন, কিছু কিছু প্রবাদ নিয়ে আসেন, আবার সেই কথার ফাঁদে নিজেরাই পড়ে যান। যে প্রশ্নটা আপনারা করেছেন, সবাই জানেন, পাগলা কুকুর যখন কামড়ায় জলাতঙ্ক রোগ হয়।’

এটা দ্বারা কী বোঝাতে চেয়েছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘জলাতঙ্ক রোগটা তো পাগলা কুকুর কামড়ালে হয়। বিএনপি কি পাগলা কুকুর যে তারা কামড়ালে বা আক্রমণ করলে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত হব?’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়িতে বাসের ধাক্কা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আস্তে আস্তে এটার পরিবর্তন হবে, পরিবর্তন এখন হতেই হবে। গতকাল (শুক্রবার) আমি গাজীপুর সাভারে গিয়েছিলাম। দেখলাম, পরিবহনগুলোতে মামলা হচ্ছে। তার মানে পুলিশ এগুলো এখন ভালোভাবে দেখছে। বাসগুলো আগে ফ্রিস্টাইলে চলত। এখন সেই স্টাইলে চলার কোনো সুযোগ নেই। যেগুলোর ফিটনেস নেই, সেগুলো এখন করা মনিটরিংয়ের মধ্যে আছে। যে কারণে সমাধানের সম্ভাবনাও এগিয়ে আসছে।’

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘উনি তো কোনো ফোন করেননি। আমি অনেকবার ফোন করেছি, উনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, আমি ফোন করেছি। তিনি বললেন, কথা বলতে পারবেন না। এজন্য তার সঙ্গে কথা হয়নি। আমাকে কল দিতে হবে- এমন কোনো পূর্ব শর্ত থাকতে পারে না।’

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অগ্রগতি তুলে ধরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শুরুতে কাজটিতে গতি দিতে পারছিলাম না। ফান্ডিং ছিল না। কাজটা এখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারা জানেন, এটা কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালি পর্যন্ত পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার পর্যন্ত যাবে।’

তিনি বলেন, ‘তিন ধাপে এ কাজটি বাস্তবায়ন হবে। প্রথম ধাপে বিমানবন্দর রেল স্টেশন থেকে বনানী রেল স্টেশন পর্যন্ত মোট সাড়ে ৭ কিলোমিটার সড়ক হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কিছুদিন আগে আমি এটি দেখতে এসেছিলাম। তখন খুবই হতাশ হয়েছিলাম। তবে এখন আমরা আশাবাদী, কাজটি গতি পাচ্ছে।’

দ্বিতীয় ধাপে বনানী রেল স্টেশন থেকে বড় মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক এবং তৃতীয় ধাপে বড় মগবাজার রেলক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের কুতুবখালী পর্যন্ত বাকি সড়কের কাজ হবে বলে জানান মন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একইসঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজগুলো আগামী ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে।’

রাজনৈতিক পরিবেশ খারাপ হলে কাজ থেমে যাবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সব কাজই আগামী নির্বাচনকে ঘিরে নয়, আমাদের কাজগুলো পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। নির্বাচনের জন্য কাজগুলো শেষ করতে হবে- এমন কোনো কমিটমেন্ট আমাদের নেই।’ তাই সামনে নির্বাচনকে ঘিরে কোনো রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলেও কোনো উন্নয়ন কাজ থেমে থাকবে না বলে জানান তিনি।

কাদের বলেন, এটা দেশের কাজ। দেশের কাজ কখনও থেমে থাকবে না। এ রাজনীতি যারা করে, তারা দেশকে ভালবাসে না। সরকার আসবে, সরকার যাবে। কাজ তো থেমে থাকবে না। আওয়ামী লীগ যদি সামনের নির্বাচনে আসতে না পারে, তাহলে কি কাজ চলবে না? কাজ নিয়ে মনে হয় রাজনীতির প্রশ্নই আসে না। #ইনকিলাব ,

Logo-orginal