, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর লাশ মিলল আওয়ামী লীগ নেতার

প্রকাশ: ২০১৮-০৮-১৪ ১৯:০০:৪৭ || আপডেট: ২০১৮-০৮-১৪ ১৯:০০:৪৭

Spread the love

ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর লাশ মিলল আওয়ামী লীগ নেতার
চট্টগ্রামঃ রাঙ্গুনিয়ায় রাস্তার পাশে ঝোপের ভেতর থেকে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম মো. আলতাফ হোসেন (৫০)। তিনি মরিয়মনগর ইউনিয়নের মৌলভী মাসুমের বাড়ির হাজী আবদুল মোতালেবের পুত্র। কাটাখালী এলাকায় চট্টগ্রাম–কাপ্তাই সড়কের পাশের ঝোপের ভেতর তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। আলতাফ হোসেন ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য ছিলেন। গত ইউপি নির্বাচনের আগে মরিয়মনগর ইউপি থেকে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচনে তিনি কাউন্সিলরদের ভোটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিন রাতেই র‌্যাবের হাতে তিনি ইয়াবাসহ আটক হয়ে জেলে যান। ফলে তিনি আর নির্বাচন করতে পারেন নি। রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, তার বিরুদ্ধে মাদক, হত্যা, চাঁদাবাজি, পুলিশের উপর আক্রমণসহ ১১টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী বলেও ওসি জানান।

নিহত আলতাফের পরিবার সূত্রে বলা হয়, গত রোববার রাত আটটায় নিজ গ্রামে তিনি একটি সালিশী বৈঠক করছিলেন। এ সময় সাদা পোশাকধারী কিছু লোক ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ মিলছিল না। রাঙ্গুনিয়া থানাসহ সম্ভাব্য সব আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর দুয়ারে ধর্ণা দিয়েও কারো কাছে তাকে আটক বা গ্রেফতারের কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ১৫ ঘন্টা পর সোমবার (গতকাল) সকাল ১১টায় বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়ার খবর পায় তার পরিবার। পরে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ বাড়িতে নিয়ে এলে পুলিশ এসে সেই লাশ নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় কাটাখালী এলাকার কাপ্তাই সড়কের পাশের একটি ঝেপের ভেতর আলতাফের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এ সময় তার লাশের পাশে একটি পিস্তল পড়ে থাকতে দেখা যায়। আলতাফের শরীরের বুকের ডান ও বাম পাশে তিনটি গুলির ক্ষত ছিল।

রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, আলতাফ হোসেনকে কে বা কারা গুলি করে হত্যা করেছে তা পরিষ্কার নয়। তিনি বলেন, ‘তার পরিবার থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে তুলে নেয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে সে রকম কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।’ তিনি বলেন, ‘আলতাফ হোসেন ওরফে কানা আলতাফ পুলিশের খাতায় একজন পলাতক আসামী। ঘটনার বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর তার বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্যে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, লাশের পাশে পড়ে থাকা পিস্তলটি পাওয়া যায়নি। তবে সেটি উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে নিহতের ভাই সুমন জানান, তারা লোক মারফত খবর পেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ নিয়ে বাড়িতে আসেন। তখন সেখানে কোন পিস্তল পাওয়া যায় নি। তবে এলাকাবাসীর তোলা মোবাইলের ছবিতে পিস্তলটি দেখা গেছে। কে বা কারা সেটি সরিয়ে নিয়েছে তা আমাদের পরিবারের কেউ জানে না। উৎসঃ আজাদী।

Logo-orginal