, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

গুগল, ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবকে যে হুমকি দিল ইউরোপীয় কমিশন

প্রকাশ: ২০১৮-০৯-১৩ ০০:৩১:৫৯ || আপডেট: ২০১৮-০৯-১৩ ০০:৩১:৫৯

Spread the love

গুগল, ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবকে যে হুমকি দিল ইউরোপীয় কমিশন নিউজ ডেস্কঃ গুগল, ফেসবুক এবং টুইটারকে এখন হতে যে কোন চরমপন্থী পোস্ট এক ঘন্টার মধ্যে তুলে নিতে হবে, নইলে তাদের বিরাট অংকের জরিমানা করা হবে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট নতুন এক প্রস্তাবে এই হুমকি দিয়েছেন। লিড নিউজ বিবিসি বাংলার ।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ ইয়ংকার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দেয়া তার ভাষণে বলেন, “এক ঘন্টার মধ্যেই এদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী করবে।”

গত মার্চ মাসে বিশ্বের এই বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে তিন মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল চরমপন্থীদের প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য।

ইউরোপীয় কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারপর এসব কোম্পানির পক্ষ থেকে খুব সামান্য ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, কোন কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন যে ফেসবুক, টুইটার বা ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়া কোন পোস্ট চরমপন্থার প্রচারণা চালাচ্ছে, তাহলে সেই পোস্ট এক ঘন্টার মধ্যে মুছে ফেলতে হবে। নইলে এই প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে তাদের বার্ষিক টার্নওভারের চার শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।


‘দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বিরাট অংকের জরিমানা’: জ্যাঁ ক্লদ ইয়ংকারের হুঁশিয়ারি
তবে ইউরোপীয় কমিশনের এই প্রস্তাব ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবগুলো দেশের অনুমোদন পেতে হবে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টেও এই প্রস্তাব পাশ হতে হবে।

ইউরোপীয় কমিশনের এই প্রস্তাবের জবাবে ফেসবুক বলেছে, “সন্ত্রাসবাদের কোন স্থান ফেসবুকে নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যে লক্ষ্য ঠিক করেছে, তার সঙ্গে আছে ফেসবুক। একমাত্র সব কোম্পানি, সিভিল সোসাইটি এবং প্রতিষ্ঠান মিলে এর বিরুদ্ধে লড়াই করলেই এই লক্ষ্য অর্জন করা যাবে বলে মনে করে ফেসবুক।”

ফেসবুক আরও বলেছে তারা সন্ত্রাসবাদী প্রোপাগান্ডা খুঁজে বের করে তা ফেসবুক থেকে দ্রুত সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আরও অনেক করার রয়েছে।

প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন চরমপন্থা দমনে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চাপের মধ্যে আছে।
ইউটিউবের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সহিংস চরমপন্থী কনটেন্ট দ্রুত সরিয়ে নেয়া এবং এবং তাদেরকে এই প্লাটফর্মে জায়গা না দেয়ার জন্য ইউরোপীয় কমিশনের দাবির সঙ্গে পুরোপুরি একমত তারা।

“এজন্যেই এক্ষেত্রে আমরা অনেক লোক নিয়োগ করেছি। অন্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আমরা এ নিয়ে সহযোগিতাও করছি।”

ইউরোপীয় কমিশনের এই নির্দেশনা মানতে হলে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে তাদের কনটেন্টের ওপর নজরদারির জন্য নতুন অনেক পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে। কিন্তু সেটা কিভাবে করা হবে তা এখনো পরিস্কার নয়।

Logo-orginal