admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৯-১৪ ০০:১৮:৪১ || আপডেট: ২০১৮-০৯-১৪ ০০:১৮:৪১
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান দীর্ঘদিন ধরে দেশটির ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানের খোলনলচে পাল্টানোর কাজ করে যাচ্ছেন। তার প্রচেষ্টায় আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্ক কর্তৃক প্রবর্তিত অনেক নিয়ম-কানুনই আর বলবৎ নেই। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন নির্দেশনা বাস্তবায়ন করল দেশটির সরকার।
নতুন নির্দেশনায় দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। দেশের সব স্কুলে মসজিদের পাশাপাশি অজুর স্থান সহ ডাইনিং রুম, প্রশাসনিক কার্যালয়, ক্যান্টিন, রান্নাঘর, আর্কাইভ রুম ও যথেষ্ট পরিমাণ টয়লেট থাকারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তুরস্কের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তুরস্ক সরকার দেশটিতে আট হাজার ৯৮৫টি মসজিদ নির্মাণ করেছে।
২০১৪ সালে তুরস্ক সরকার দেশটির সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি করে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই মধ্যে প্রায় সব মসজিদ নামাজের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
তুরস্কের সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী ও কোরআনে কারিমের নির্বাচিত কিছু অংশ মুখস্থ করতে হয় তাদের।
ইসলামি শিক্ষা প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘আমরা ধর্মপরায়ণ এক যুব প্রজন্ম তৈরি করতে চাই। আপনারা কী মনে করেন যে একেপি পার্টি একটি ইসলামবিদ্বেষী প্রজন্ম তৈরি করবে? এটা কখনও আমাদের মিশন হতে পারে না। আমরা এমন এক প্রজন্ম তৈরি করতে চাই, যারা রক্ষণশীল গণতন্ত্রবাদী ও গণতান্ত্রিক। যারা নাস্তিক নয়; জাতির নীতি-নৈতিকতা ও মূলবোধকে যারা বুকে লালন করবে।’
২০১৩ সালে এরদোগান সরকার হিজাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। ২০১৫ সালে তুরস্কের সংসদের ২৫তম অধিবেশনে আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২১ জন নারী সংসদ সদস্য হিজাব পরে শপথ বাক্য পাঠ করেন। একই বছরের আগস্টে ‘আয়েশা গোরসেন’ প্রথম হিজাবি নারী হিসেবে তুরস্ক সরকারের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। উৎসঃ এরাবিয়ান জার্নাল ।