, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

অত্যন্ত সংকটকাল পার করছে প্রিন্ট মিডিয়া

প্রকাশ: ২০১৮-০৯-০৬ ১৭:৩৪:৩৯ || আপডেট: ২০১৮-০৯-০৬ ১৭:৩৪:৩৯

Spread the love

অত্যন্ত সংকটকাল পার করছে প্রিন্ট মিডিয়াঢাকা : ‘অত্যন্ত সংকটকাল পার করছে প্রিন্ট মিডিয়া। এই সংকটের মধ্যে নতুন সংকট হলো নিউজপ্রিন্টসহ সব ধরনের কাগজের দাম বৃদ্ধি পাওয়া।’

এমন শঙ্কার কথা জানান দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘এমনিতেই দেশে বিজ্ঞাপনের বাজার সংকুচিত হয়েছে। অন্যদিকে প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যয়ও বেড়েছে। কাগজ আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হয়েছে।’

‘সরকারি বিজ্ঞাপনের হার কমে যাওয়া, বছরের পর বছর সরকারি বিজ্ঞাপনের বিল বাকি থাকা- এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যা। তবে এসবের চেয়ে বড় সংকট হলো কাগজের দাম বেড়ে যাওয়া। নিউজপ্রিন্টের দাম অত্যাধিক বেড়েছে। ফলে প্রিন্ট মিডিয়ার টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়েছে।’
‘দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের বেশকিছু পেপার মিল বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে সহজেই কাগজ আমদানি করা যাচ্ছে না। প্রতি টনে বাড়তি পয়সা গুনতে হচ্ছে। অন্যদিকে দেশের বাজারেও কাগজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন মিলমালিকরা। ফলে মুদ্রণ শিল্প বেকায়দার মধ্যে পড়েছে’- যোগ করেন তিনি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় কী- জানতে চাইলে দৈনিক মানবজমিন’র প্রধান সম্পাদক বলেন, ‘সরকারের উচিত এই শিল্পের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া, সহযোগিতা করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমনটি দিয়ে থাকে। এখানে সহযোগিতা বলতে নগদ অর্থ নয়, কাগজ আমদানির শুল্ক উঠিয়ে দেয়া এবং দেশের পেপার মিলগুলোকে একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা। কারণ মন চাইলেই মালিকরা যেন কাগজের দাম বাড়িয়ে দিতে না পারেন।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক প্রিন্ট মিডিয়া বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের দেশেও নতুন বিনিয়োগ আসছে না। যেগুলো আছে সেগুলো অনেক কষ্ট করে টিকে আছে। এর মধ্যে নতুন করে ওয়েজ বোর্ড চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রিন্ট মিডিয়া এখন টিকে থাকবে কি না- সেটাই বড় বিষয়। দেশে অনলাইন, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রসার, বিশ্বাসযোগ্যতা, বিজ্ঞাপনের বাজার সংকোচন- সব মিলিয়ে এই সংকটটা আরও ঘনীভূত হয়েছে।’
মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সেলফ সেন্সরশিপের ফলে গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। অনেক কিছু বলা যায়, অনেক কিছু লেখা যায়; আবার অনেক কিছু বলাও যায় না, লেখাও যায় না। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী সমস্যা। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার, মালিক ও সংবাদকর্মীদের একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার মধ্যে আসতে হবে। টিকিয়ে রাখতে হলে সবার সহযোগিতার মনোভাব থাকতে হবে। তা না হলে আজ নয়তো কাল, নয়তো পরশু এ শিল্প বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’
সূত্র : জাগোনিউজ,

Logo-orginal