, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

admin admin

চট্টগ্রাম কলেজ সভাপতি উত্ত্যক্ততা মামলার আসামি এবং সাধারণ সম্পাদককে ভূমিদস্যু

প্রকাশ: ২০১৮-০৯-২০ ২১:৪৩:৫৩ || আপডেট: ২০১৮-০৯-২০ ২১:৪৩:৫৩

Spread the love

চট্টগ্রাম কলেজ সভাপতি উত্ত্যক্ততা মামলার আসামি এবং সাধারণ সম্পাদককে ভূমিদস্যুচট্টগ্রামঃ ঘোষিত কমিটির সভাপতিকে উত্ত্যক্ততার মামলার আসামি এবং সাধারণ সম্পাদককে ভূমিদস্যু আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের একাংশ। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি জানায়।খবর বিডিনিউজের ।

কলেজ ছাত্রলীগের এই অংশের নেতারা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

অন্যদিকে ঘোষিত কমিটিতে প্রাধান্য পেয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের এই নেতারা চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিকেও মেয়াদোত্তীর্ণ বলে প্রত্যাখ্যান করেন। এই মহানগর কমিটিই কলেজ কমিটি ঘোষণা করেছে।

সরকারি সিটি কলেজ, ইসলামিয়া কলেজ ও এমইএস কলেজ শাখা কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের পক্ষে অবস্থান জানায় তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এম কায়সার উদ্দিন, তিনি নিজেকে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন।

ঘোষিত চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিতে এই পক্ষের সাত সদস্যের পদত্যাগের ঘোষণাও দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।

গত সোমবার রাতে মাহমুদুল করিমকে সভাপতি ও সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্যের কমিটি করে অনুমোদন দেন মহানগর কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।

মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিতেও মহিউদ্দিনের অনুসারীদের প্রাধান্য রয়েছে।

কমিটি ঘোষণার পর নাছিরের অনুসারীরা প্রত্যাশিত পদ না পেয়ে মঙ্গল ও বুধবার চট্টগ্রাম কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে।

সংবাদ সম্মেলনে কায়সার বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে শিবির ও বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে মেয়াদোত্তীর্ণ চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রাতের আঁধারে এ কমিটি দিয়েছে।

“যাদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে, তারা ছাত্রলীগের সুনাম নস্যাৎ করার জন্য যথেষ্ট। সভাপতি মাহমুদুল করিম ২০১৭ সালে পহেলা বৈশাখের সময় ইভটিজিংয়ের অভিযোগে এবং সাধারণ সম্পাদক সবুজ ভূমিদস্যু হিসেবে আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।”

ঘোষিত কমিটিতে অতীতে শিবিরে যুক্ত থাকা ব্যক্তিরাও স্থান পেয়েছেন বলে দাবি করেন কায়সার।

সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল, ওবায়দুল হক, শাহজাহান সম্রাট ও মোক্তার হোসেন রাজু, যুগ্ম সম্পাদক স্বরূপ রায় সৌরভ, সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য মজুমদার ও মোহাম্মদ বেলালের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা উপস্থিত থাকলেও তাদের পক্ষ হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রেজাউর করিম রনি। তার সঙ্গে মহানগর ছাত্রলীগে নাছিরের অনুসারী নেতা ওয়াহিদ রাসেল, মোহাম্মদ শাকিল, মঈন শাহরিয়ারসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

Logo-orginal