, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

জনপ্রিয় হচ্ছে তুরস্কের হালাল পর্যটন

প্রকাশ: ২০১৮-০৯-২৫ ০০:১৪:১২ || আপডেট: ২০১৮-০৯-২৫ ০০:১৪:১২

Spread the love

জনপ্রিয় হচ্ছে তুরস্কের হালাল পর্যটননিউজ ডেস্কঃ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য নির্বিঘ্নে ছুটি কাটানোর ব্যবস্থা করতে বিশ্বব্যাপী হালাল পর্যটন জনপ্রিয় হচ্ছে। তুরস্কেও এই ধরনের চল বেড়েছে।

আলাদা সুইমিংপুল

তুরস্কের মোট ৬০টি হোটেল ও রিসোর্টে মুসলমান পর্যটকদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা আছে। এর মধ্যে আছে, নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা সুইমিংপুল ও সৈকতের ব্যবস্থা, প্রতিটি হোটেল রুমে আছে জায়নামাজ আর কুরআন মজিদ। আর আছে হালাল খাবার। এসব হোটেলে কোনো অ্যালকোহল পাওয়া যাবে না।

হালাল পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে

নিরাপত্তার অভাব ও রাজনৈতিক কারণে তুরস্কে সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটকের সংখ্যা কমলেও হালাল পর্যটন বেড়েছে।

হালাল বুকিং ডটকম ওয়েবসাইটের উফুক সেচগিন বলছেন, ‘গত কয়েক বছরে অনেক পর্যটক ছুটি কাটানোর গন্তব্য হিসেবে তুরস্ককে বয়কট করেছেন। কিন্তু হালাল পর্যটন বেড়েছে। কারণ হালাল প্রিয় পর্যটকেরা সহজে শিরোনাম (গণমাধ্যমের) দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন না।’

সেচগিনের কোম্পানির মাধ্যমে ২০১৫ সালে তুরস্কে ১২ হাজার পর্যটক গিয়েছিল। এর পরের দুই বছর পর্যটকের সংখ্যা প্রতিবারই দ্বিগুণ করে বেড়েছে। চলতি বছর তার কোম্পানি ৭০ হাজার পর্যটক আশা করছে।

হালালবান্ধব পর্যটন বাড়লেও তুরস্কে ২০১৬ সালে পর্যটক সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় এক চতুর্থাংশ কমে গিয়েছিল। ওই বছর দেশটিতে ব্যর্থ অভ্যুত্থান ও কয়েকটি বোমা হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

এ ছাড়া রাশিয়ার সাথে বিতর্কে জড়নোর কারণে রুশ পর্যটকেরাও তুরস্ক থেকে দূরে ছিলেন। তবে গত বছর থেকে পর্যটন খাত আবার ঘুরে দাঁডিয়েছে। এ বছর চার কোটি পর্যটক আশা করছে তুরস্ক।

তৃতীয় স্থানে

গত নভেম্বরে প্রকাশিত এক রিপোটে বলছে, সেরা ‘ইসলামি হলিডে’-র গন্তব্যের তালিকায় তুরস্ক চার ধাপ এগিয়ে তিন নম্বরে এসেছে। প্রথম দু’টি হচ্ছে- আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া।

নারী কর্মী

ওমে ডিলাক্স হোটেল। সেখানে নারীদের জন্য যে সুইমিংপুল আছে, সেখানে নারী নিরাপত্তাকর্মীরা কাজ করেন। স্পা’র জন্যও আছেন নারী কর্মী। ফোন আর ক্যামেরা জমা দেয়ার পরই অতিথিরা সেখানে প্রবেশ করতে পারেন।

বিদেশী পর্যটক

ওমে ডিলাক্স হোটেলের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ জারসেকার জানান, কয়েক বছর আগেও তাদের হোটেলে আসা পর্যটকদের ৮০-৯০ শতাংশ ছিলেন তুর্কি। আর এখন ৬০ শতাংশ অতিথিই হচ্ছেন বিদেশী। বিদেশী পর্যটকদের বেশির ভাগই ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাসিন্দা। এসব দেশে ডানপন্থীদের উত্থান ও অভিবাসীবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক মুসলমান পর্যটক ছুটি কাটাতে অন্য স্থানে যাওয়া শ্রেয় মনে করেন।

ফ্রান্সে বুর্কিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা

ফ্রান্সের বিভিন্ন স্থানে মুসলিম নারীদের সাঁতারের জনপ্রিয় পোশাক বুর্কিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই সে দেশের অনেক মুসলিম নারী অন্য দেশে যাচ্ছেন। যেমন রিহাব হাসাইনি। তুরস্কে ছুটি কাটানোর ফাঁকে তিনি জানান, ফ্রান্সে তারা সৈকত কিংবা সুইমিংপুলে যেতে পারেন না।

সবাই তাকিয়ে থাকে

জার্মানি থেকে পরিবার নিয়ে তুরস্কে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ইয়াভুজ তানরিভারদি। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী বোরকা দিয়ে ঢাকা বিকিনি পরেন। এখানে (তুরস্ক) এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু জার্মানিতে বিষয়টি সেরকম নয়। সবাই এমনভাবে তাকায় যেন আমরা এই সমাজের কেউ নই। উৎসঃ এরাবিয়ান জার্নাল ।

Logo-orginal