, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

নির্বাচনকালীন সরকারে থাকছেন এরশাদ অলি কাদের সিদ্দিকী

প্রকাশ: ২০১৮-০৯-২৩ ১৭:১৬:২৫ || আপডেট: ২০১৮-০৯-২৩ ১৭:১৬:২৫

Spread the love

নির্বাচনকালীন সরকারে থাকছেন এরশাদ অলি কাদের সিদ্দিকীনির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের তিন মাস আগে অর্থাৎ আগামী অক্টোবর মাসে গঠিত হবে নির্বাচনকালীন সরকার। নির্বাচনকালীন সরকারে আকার হবে ছোট।

ওই সরকারের সদস্য সংখ্যা হবে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ জন। কারা স্থান পেতে পারেন নির্বাচনকালীন সরকারে তা মোটামুটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাদের তালিকা এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রধানমন্ত্রী এখান থেকে দু’একজনের নাম কাটছাঁট করে নতুন দু’একজনকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। নির্বাচনকালীন সরকারে সংসদীয় দলের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর স্থান হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কিছুদিন আগে সাংবাদিকদের বলেন, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে।

নির্বাচনকালীন সরকারে ২০ দলের প্রতিনিধি কেউ থাকবেন না। কিন্তু অভিজ্ঞ মহল বলছে, নির্বাচনকালীন সরকারে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো ছাড়া বাইরে থেকে টেকনোক্র্যাট হিসেবে দু’একজনের স্থান হতে পারে। এদের মধ্যে যাদের নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত তারা হলেন- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে পারেন। গত বৃহস্পতিবার রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এরশাদ বলেছেন, তিনি নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রী হিসেবে থাকতে আশাবাদী।
এরশাদ এ সময় আরও বলেন, সরকারে আমার থাকতে সাংবিধানিক কোনো বাধা নেই। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকরা বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকারে ১৪ দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। থাকবে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণও। এর সঙ্গে চমক হিসেবে যোগ হতে পারে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক দলের দু’একজন নেতাও।আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের অন্যতম শরিক হচ্ছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। এলডিপির চেয়ারম্যান হলেন ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। কর্নেল অলিকে নির্বাচনকালীন সরকারে নিলে তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) দেশি-বিদেশি সবার কাছে বলতে পারবেন নির্বাচনকালীন সরকারে ২০- দলীয় জোটের শরিক নেতাদেরও অংশগ্রহণ রয়েছে। কাজেই নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিতর্ক করার সুযোগ নেই। কেননা এখানে সবার অংশগ্রহণ রয়েছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বর্তমান মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজনের বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। আলোচনায় আছেন- আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি এবং জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুও থাকতে পারেন নির্বাচনকালীন সরকারে।
তবে নির্বাচনকালীন সরকারে বিতর্কিত কারও স্থান হবে না বলে মনে হচ্ছে। বিতর্কিতদের মধ্যে কেউ নিজের কাজের দ্বারা বিতর্কিত এবং কেউ তার সন্তান ও স্বজনদের কাজের দ্বারা বিতর্কিত। এসব বিতর্কিতদের মধ্যে রয়েছেন- খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। বিভিন্ন সময় তারা বিতর্কিত হয়েছেন। তাদের নির্বাচনকালীন সরকার থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় ৩৩ জন পূর্ণ মন্ত্রী, ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী এবং দুজন উপমন্ত্রী আছেন। এ ছাড়া মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ ছাড়া মন্ত্রীর মর্যাদায় উপদেষ্টা আছেন আরও পাঁচজন। উৎসঃ খোলা কাগজ বিডি।

Logo-orginal