, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

নেপালকে টপকাতে পারলেই বাংলাদেশ হতে পারে চ্যাম্পিয়ান

প্রকাশ: ২০১৮-০৯-০৭ ১৯:৫৩:৩১ || আপডেট: ২০১৮-০৯-০৭ ১৯:৫৩:৩১

Spread the love

নেপালকে টপকাতে পারলেই বাংলাদেশ হতে পারে চ্যাম্পিয়ানক্রীরা ডেস্কঃ নেপালকে টপকাতে পারলেই বাংলাদেশ হতে পারে চ্যাম্পিয়ান, গত দুই ম্যাচে জয় পেয়ে দারুন ফর্মে আছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল টীম । দলের পারফরমেন্সে খুশী বাংলাদেশের দর্শকরা ।

সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ‘এ’ গ্রুপে ভুটান ও পাকিস্তানকে হারানোর পর বাংলাদেশের ফুটবল অনুরাগীদের প্রত্যাশার পারদ আকাশ ছুঁয়েছে। হিসাব-নিকাশেও স্বাগতিকরা এগিয়ে। বলা যায়, বাংলাদেশের হাতেই সেমির ভাগ্য। শনিবার ভাগ্যটা নিজেদের হাতে রেখেই গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ হবে সন্ধ্যা ৭টায়। কিন্তু, নেপাল কি সত্যিই বাংলাদেশের জন্য বড় বাধা?

‘এ’ গ্রুপের যে সমীকরণ, তাতে নেপালের বিপক্ষে শনিবার ড্র করলেই চলছে বাংলাদেশের। কিন্তু, পাকিস্তান যদি হারিয়ে দেয় ভুটানকে আর বাংলাদেশ হেরে যায় নেপালের কাছে তহালে বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানের পয়েন্ট হয়ে যাবে সমান, ৬। বেশ জটিল সমীকরণেই পড়তে হবে তখন। কিন্তু, দুটি করে ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ কি আর চাইবে গ্রুপের শেষ ম্যাচ হেরে বিপদ ডেকে আনতে?

বরং নেপালকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দাপটের সঙ্গে সেমিতে পা দেবে বাংলাদেশ, এটিই প্রত্যাশা দর্শকদের।

কিন্তু নেপাল? নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের হেরে যাওয়া ছিল অনেকটাই অঘটন। ফেভারিট হিসেবে মাঠে নেমেও ২-১ এ হেরে যায় তারা। কিন্তু, ভুটানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দারুণভাবে টুর্নামেন্টে ফিরে এসেছে তারা।

২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ জিতে যাওয়া দলটাকে সাফে টিকে থাকতে একটাই পথ, হারাতে হবে বাংলাদেশকে। ভারত খাওয়াজ, সুনিল বাল, অনন্তরা তাই এদিন সবটাই ঠেলে দেবে ম্যাচে।
পাকিস্তানকে হারানোর পর নেপাল কোচ বাল গোলাপ মহাজন তো বলেই গেলেন, সেমিফাইনালে খেলবে তার দল। বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জটা তাই এখানেই।

বৃহস্পতিবার প্রবল চাপের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের দলে এখন স্বস্তির হাওয়া। নয় বছর যে দলটা সাফের দ্বিতীয় পর্বে (সেমিফাইনাল) পা দিতে পারেনি, সেই দল টানা দুই জয়ে কিছুটা নির্ভার থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।

শুক্রবার কোচ জেমি ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে খেলা খেলোয়াড়দের দিলেন বিশ্রাম। হোটেলে কিছুটা জিম সেশন কাটিয়েছেন তারা। বাকিদের নিয়ে অনুশীলন করলেন কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে।

তবে টিম হোটেলে ঢু মেরে বাংলাদেশ দলের আবহ বুঝার চেষ্টায় যা মিলল, তাতে এই দলটা এখানেই তৃপ্ত নয়। কোচের কড়া নির্দেশে তারা সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। তবে কমলাপুর স্টেডিয়ামে যাওয়ার বাসে বসার আগে কোচ, খেলোয়াড়, কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য কথা-বার্তায়া যা যা আভাস, তাতে নেপালকেই এখন সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ মানছে বাংলাদেশ।

২০১৩ কাঠমান্ডু সাফে দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল সর্বশেষ। যেখানে ০-২ গোলের হার বাংলাদেশের। তার আগে একই বছর এশিয়ান কাপে নেপালকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সবমিলে দুই দলের ২১ বারের দেখায় এগিয়ে বাংলাদেশ। ১২ ম্যাচে জয় বাংলাদেশের, ৬টি হার আর ৩ ড্র। ২৬ গোলের বিপরীতে বাংলাদেশ গোল হজম করেছে ১৪টি।

প্রথম দুই ম্যাচে জয় পাওয়া বাংলাদেশ নেপালের বিপক্ষেও জয় পাক, প্রত্যাশা আমদের সবার । জিতবে বাংলাদেশ হাসবে সবাই, দেশের ফুটবল অঙ্গনে ফিরে আসবে সেই পুরনো প্রাণ ।

Logo-orginal