, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা

প্রকাশ: ২০১৮-০৯-১৭ ২১:৪৮:০০ || আপডেট: ২০১৮-০৯-১৭ ২১:৪৮:০০

Spread the love

প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা
ঢাকা: এক দফতর থেকে আরেক দফতরে ফাইল চালাচালি না করে অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। একইসঙ্গে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম জানান, সরকারি চাকরিতে ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত কোটা না রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে অন্যান্য গ্রেডে কোটা রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রিপরিষদের ওই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে কোটা আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘কমিটি যে সুপারিশ দিয়েছে তা আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। পাশাপাশি আমাদের দাবি ছিল সকল চাকরির ক্ষেত্রে যে কোটা পদ্ধতি রয়েছে তার একটি যৌক্তিক সংস্কার। সচিব নবম গ্রেড থেকে তেরতম গ্রেড পর্যন্ত বাতিলের যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটিকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। পাশাপাশি আমরা দাবি জানাচ্ছি এর পাশাপাশি যে গ্রেডগুলো রয়েছে সেখানে একটা যৌক্তিকভাবে কোটার সহনীয় সংস্কার করা হোক। কোটা সংস্কার প্রজ্ঞাপন আকারে জারি না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।

সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি, যেদিন আমাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন হবে, সেদিনই আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাব। এসময় তিনি তিনদফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক সব মামলা প্রত্যাহার করা, হামলাকারী‌দের দৃষ্টান্তমূলক শা‌স্তি দেয়া ও পাঁচ দফার আলোকে কোটার সংস্কার করা।’

কোটা সংস্কার চেয়ে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে শাহবাগে অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দিনভর অবস্থানে শাহবাগ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের হটিয়ে দিতে পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।

ওইদিন রাতে ঢাবি ক্যাম্পাস ও এর আশপাশের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। রাতে আন্দোলনের সময় ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনেও হামলা করে একদল দুর্বৃত্ত।

পরদিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আন্দোলনকারীদের সাথে বৈঠকে বসেন। এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে ৭ মে পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়।

তবে আন্দোলনকারীরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। পরে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা স্বাগত জানিয়ে এ বিষয়ে অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারির আহ্বান জানান। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় তারা ফের আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

এর মধ্যে ৭ মে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে জানান, কোটা নিয়ে কোনো অগ্রগতি নেই।
তার এই বক্তব্যের জের ধরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা ৯ মে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হন।

১০ মে’র মধ্যে কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে ১৩ মে থেকে সারাদেশের সব স্কুল-কলেজে কঠোর আন্দোলন শুরু হবে বলে ঘোষণা দেন তারা। তবে ওই দিনই (৯ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক তিন দিনের মধ্যে কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন।

এরপর কোটা সংস্কার-পর্যালোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম কোটা পর্যালোচনায় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রধান। উৎসঃ সারাবাংলা ।

Logo-orginal