admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৯-১৬ ০০:৩৯:০৮ || আপডেট: ২০১৮-০৯-১৬ ০০:৩৯:০৮
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কেএম মোশারফ হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য তরুণলীগ নেতা আব্দুল জলিল (৪০) গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণলীগ নেতা আব্দুল জলিল কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও শঙ্করপুর গ্রামের হাবিবুল্লাহ গাইনের ছেলে।
কালিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিডিয়াকে জানান, ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলের পরিকল্পনায় জাপা নেতা ও কৃষ্ণনগর ইউপির চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে।
আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করে শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থল কৃষ্ণনগর বাজারে অস্ত্র উদ্ধারে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
ওসি বলেন, হাজারো মানুষের চাপে এখনো মরদেহটি আমাদের আয়ত্বে নিতে পারিনি। আব্দুল জলিল স্বীকার করেছিল চেয়ারম্যানকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র কৃষ্ণনগর বাজারেই লুকানো রয়েছে। পুলিশ তার দেয়া তথ্য মতে সেই অস্ত্র উদ্ধার করতে কৃষ্ণনগর বাজারে অভিযানে যায়। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে কৃষ্ণনগর বাজারে যুবলীগ অফিসে ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশারফ হোসেনকে গুলি করে ৫/৬ জন দুর্বৃত্ত। এরপর তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান কেএম মোশারফ হোসেন।