, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

তারেকসহ দলের নেতাদের সর্বোচ্চ সাজা হলেও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেনা বিএনপি

প্রকাশ: ২০১৮-১০-০৯ ২৩:৪৪:৩০ || আপডেট: ২০১৮-১০-০৯ ২৩:৪৪:৩০

Spread the love

তারেকসহ দলের নেতাদের সর্বোচ্চ সাজা হলেও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেনা বিএনপিঢাকাঃ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতাদের সর্বোচ্চ সাজা হলেও কঠোর কর্মসূচিতে যাবে না বিএনপি। মামলায় রায় দেখে দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি দিতে পারে দলটি। এক্ষেত্রে সারা দেশের জেলা সদরে এবং বিভাগীয় শহরের থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। খবর দৈনিক যুগান্তরের ।

বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক যুগান্তরকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় সরকারের দাবি নিয়ে মাঠে সোচ্চার রয়েছে বিএনপি। এ নিয়ে হয়তো তাদের সামনে কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে। তাই গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের সাজা হলেও ইস্যুটিকে সামনে আনতে চাইছে না দল। কারণ, এটিকে সামনে আনা হলে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় সরকারের দাবি চাপা পড়ে যাবে।

মঙ্গলবার বিকালে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, রায় কী হয় তারপরেই আমরা আমাদের বক্তব্য ও মতামত জানাব। তবে আমরা যেটাই করি, সেটা শান্তিপূর্ণই হবে। আমরা এমন কোনো ধরনের কাজ করব না সেটাতে জনগণ কষ্ট পায়। তিনি দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী যে কোনো কর্মসূচি পালন করার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বানও জানান।

সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রিজভী আরও বলেন, অতীতের মতো বর্তমান অবৈধ সরকার নানাভাবে নিজেরাই নাশকতা সৃষ্টি করে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মতো পরিকল্পনা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর দায় চাপাতে পারে। সরকারের কোনো উসকানিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যও তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বিএনপির একজন নীতিনির্ধারক যুগান্তরকে বলেন, ২১ আগস্ট মামলার রায়ের দিন কোনো কঠোর কর্মসূচির বার্তা নেই। রায়ের আগের দিন মঙ্গলবার দেশবাসীর প্রতি ভিডিওবার্তায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানেও এমন কোনো ধরনের বার্তা ছিল না।

বিএনপির ওই নীতিনির্ধারক আরও বলেন, তারেক রহমান দলের সব স্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, অতীতের বাস্তবতায় বলা যায় ২১ আগস্ট মামলার রায়ের দিন আগের মতোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রায় শুনবে জনগণ। এই রায়কে পুঁজি করে সরকার হয়তো আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে আমার বিরুদ্ধে তাদের চলমান অপপ্রচারের মাত্রা আরেকটু বাড়িয়ে দেবে। আমিও দেশ এবং জনগণের স্বার্থে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত। দেশ এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করতে গেলে বিপদ আসবেই। সে কারণেই আমি দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেছি।

সূত্র জানায়, দলের সিনিয়র নেতাদের একাধিক বৈঠকে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে দেয়া গায়েবি মামলার বিষয়টি উঠে এসেছে। তারা মনে করছেন, তারেক রহমানের সাজাকে কেন্দ্র করে বিএনপি আন্দোলনে যেতে পারে এমন ধারণা থেকে সরকার হয়তো এই মামলাগুলো দায়ের করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একজন যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তারেক রহমানের সাজাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে গেলে সরকার এর সুবিধা নিতে চাইবে। দেশ-বিদেশে বার্তা দেবে যে, বিএনপি সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। বিএনপি চায় না, এ ইস্যুতে আন্দোলনে নেমে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় সরকার ইস্যু ও ঐক্য প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে। তাই বড় কর্মসূচিতে যাচ্ছে না বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পরও যেভাবে নেতাকর্মীরা শান্ত থেকেছেন, এবারও তাদের সেই রকম নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

Logo-orginal