, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার দাবী তুলল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ২০১৮-১০-১১ ১৯:১৭:১০ || আপডেট: ২০১৮-১০-১১ ১৯:১৭:১০

Spread the love

বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার দাবী তুলল আওয়ামী লীগ বিএনপি তার জন্মের শুরু থেকে বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সেই সঙ্গে বিএনপি যে একটা ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’-এটা দিবালকের মতো স্পষ্ট। তাই এ দেশে তাদের রাজনীতি করার আর কোনো সুযোগ নেই। তাদের এখনই রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় বক্তারা এই দাবি করেন। ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় : বিএনপির বৈধতা সংকট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে সিটিজেন ফর রেসপনসিবল ডেমোক্রেসি।

অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুকে তো বিশ্বাস করেই না, উল্টা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপেক্ষর শক্তির নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে বারবার সমূলে নিশ্চহ্ন করার চেষ্টা করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দণ্ড হওয়ার মধ্যদিয়ে তাদের রাজনৈতিক ও দলীয় সংশ্লিষ্টতা আবার প্রমাণ হয়েছে। এরপর বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার ও আইনগত বৈধতা থাকতে পারে না।

বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তেব্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-হানিফ বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চর হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। বিভিন্নভাবে সেটার প্রমাণ পাওয়া যায়। ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সমর্থ্য হন। মুক্তিযোদ্ধারা ছিল তার চোখের বিষ। তিনি ধরে ধরে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ফাঁসি দিয়েছিলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুলের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় প্রত্যাক্ষাণ আমাদের হতাশ করেছে। জাতির প্রত্যশা ছিল বিএনপি ক্ষমাপ্রার্থনা করে সুষ্ঠুধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে। কিন্তু সেটা না করে তারা ওই মিথ্যাচারের রাজনীতিতে থেকে গেলেন। ২১ আগস্টের হামলা ছিল কালেকটিভ প্রচেষ্টা। বিএনপি এটার দায় এড়াতে পারে না।

সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ২১ আগস্ট হামলার দিকে তাকালে দেখা যায় এটা কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয় বরং দার্শনিক হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ যেমন একটা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। আর অন্য শক্তিটা হল বিএনপি, জামায়াত, বঙ্গবন্ধুর খুনি, জঙ্গি এই চারটা মিলে তৈরি নেক্সাস। এই নেক্সাস বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। যতদিন ক্যান্সার না সাড়ানো যাবে ততদিন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ সমস্যা থেকে যাবে।

অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কর্মী খুশি কবীর বলেন, দলীয় দায়িত্ব ছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটানো সম্ভব নয়। এটা আরও স্পষ্ট হওয়া উচিত।

সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, বিএনপি জজমিয়া নাটক করে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার সঙ্গে সেসময় মশকরা করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে আরেকটা মামলা হওয়া উচিত। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পেছনে পাকিস্তান, আফ্রিকান জঙ্গিবাদ, বিএনপি, জামায়াত, জঙ্গি সবার ইনভলভমেন্ট ছিল।

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, ২১ আগস্টে হামলা ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রের সন্ত্রাস। সেসময় ছিল বিএনপি জামায়াত সরকার। এই মামলার রায় রাজনৈতিক জবাবদিহিতার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। বিএনপিকেও তাই জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। কেননা যারা এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের যুক্ত থাকে তাদের রাজনৈতিক লেজিটেমেসি থাকতে পারে না।

ড. আশিকুর রহমানের সঞ্চালনায় গোলটেবিলে বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু, মঞ্জুরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তৌকির আহমেদ, অ্যাডভোকেট নূরজাহান বেগম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আলী শিকদার, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান প্রমুখ। উৎসঃ আমাদের সময়।

Logo-orginal