admin
প্রকাশ: ২০১৮-১০-০৯ ২০:২৪:৫০ || আপডেট: ২০১৮-১০-০৯ ২০:২৪:৫০
যেকোনো দলেই সেরা খেলোয়াড়কে দেয়া হয় ১০ নম্বর জার্সি। ফুটবলে ১০ নম্বর জার্সির মাজেজা অন্যরকম। এটা যেই পড়ুক না কেনো একটা প্রত্যাশার চাপ পড়ে তার ওপর। প্রতিবেদন বিবিসি বাংলার ।
বাংলাদেশের নারী ফুটবলে বয়স-ভিত্তিক দলগুলো এই দশকে আঞ্চলিক আসরগুলোতে যেভাবে মাঠ মাতাচ্ছে সেখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে তাদের মধ্যে কিছু ফুটবলার উঠে আসছে যাদের খেলা চোখে পড়ার মতো, স্বপ্না তাদেরই একজন।
২০০১ সালে রংপুরে জন্ম হয় সিরাত জাহান স্বপ্না।
খেলায় আসার আগে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল স্বপ্নার, তার আগে দু বোনের বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবার।
তবে স্বপ্না পরিবারকে বুঝিয়ে খেলার পথে আসেন, স্কুল ফুটবলের গন্ডি পেড়িয়ে এখন তিনি জাতীয় দলের খেলোয়াড়।
অনুর্ধ্ব ১৮ দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ এই গোলদাতা অবশ্য বলেন, পরিবারের জন্যই তার আজ এই অবস্থানে আসা।
স্বপ্না বলেন, ‘অবশ্যই, বিশেষত আমার বাবা খেলাধুলা পছন্দ করতো, মা একটু অপছন্দ করতো, কিন্তু বাবার ইচ্ছাতে ফুটবল খেলতে আসি, এখন ভালো করার পর মা-বাবা দুজনই সাপোর্ট দেন।’
সেপ্টেম্বর মাসে ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব ১৬ সাফে পাকিস্তানকে ১৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
এক মাসের ব্যবধানে অনূর্ধ্ব ১৮ সাফে বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তান হজম করে ১৭ গোল। মেয়েদের ফুটবলে বাংলাদেশের এটাই সবচেয়ে বড় জয়।
নেপালের বিপক্ষে জয়ের পর সিরাত জাহান স্বপ্না
আর এই জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন স্বপ্না, বাংলাদেশের ১০ নম্বর জার্সিধারী।
স্ট্রাইকার স্বপ্না ছয়টি গোল করেন সেদিন, মানে ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’।পুরো আসরে মোট সাতটি গোল করেন সিরাত জাহান স্বপ্না।
স্বপ্নার অবশ্য এনিয়ে খুব একটা আক্ষেপ নেই, ‘যেটা চলে গেছে সেটা চলে গেছে, দল জিতেছে, এখন চাইবো সামনে যেসব টুর্নামেন্ট আসে সেগুলোতে ভালো করতে।’
স্ট্রাইকারের যেসব গুণাবলি তাতে স্বপ্না আছেন বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে সবার আগে, নিজ পারফরম্যান্স ও পরিসংখ্যান দিয়ে মাঠে প্রমাণ করেছেন নিজেকে। তিনি বলেন, খুঁটিনাটি আরো কিছু জায়গায় দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সময় প্রয়োজন।
‘ভালো খেলতে গেলে আরো কিছু জায়গায় উন্নতি হবে, হ্যা, চ্যাম্পিয়ন হয়েছি ঠিক তবে সেখানেও কিছু কমতি ছিলো’
স্বপ্না যোগ করেন, ‘আমি স্ট্রাইকিংয়ে যেহেতু খেলি তাই ফিনিশিং, মুভমেন্ট, রানিং, ড্রিবলিং-য়ে মোটমাট ভালো খেলা প্রয়োজন।’